এন্টারটেইন টাইমস প্রতিবেদক: Virus (ভাইরাস) S01 Full Web Series Explained Script in Bangla - Entertain Times
বিঃদ্রঃ স্ক্রিপ্ট লেখায় কিছু ভুল থাকতে পারে যেগুলো আপনারা ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং কিছুটা নিজে সাজিয়ে কমিয়ে, বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ! এটা তো আপনি একা ব্যবহার করছেন না, আপনার মতন আরো কিছু লোক এখান থেকে স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে।
....
আপনার ইন্ট্র দিন
সিরিজটির শুরুতেই আমরা আফজালকে দেখতে পাই, সে কোনো এক কারনে এখানে লুকিয়ে রয়েছে। স্ক্রিনে একটা লেখা ভেষে উঠে - Only the cleansed shall enter paradise. অর্থাৎ, কেবল পবিত্র ব্যাক্তিরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
কিছু ন্যাচারাল দৃশ্য দেখিয়ে সিন আসে এই বাজারে। লোকটির নাম নিরঞ্জন, সে কবিরাজি ওষুধ নিয়ে বাজারে বসে, সে এখানের একজন নামি দামি কবিরাজ। তো এই লোকটির কোন একটা সমস্যা হচ্ছে তাই তাকে এই লাঠির একটা কবিরাজি ওষুধ দেয়। তখন লোকটি জিজ্ঞেস করে- কি না একটা ভাইরাস আসছে! কি ভাইরাস!। সে বলে- ভাইরাস কতো আইবো যাইবো এটা নিয়া ভয় পেয়ে লাভ নাই। কবিরাজকে নৌকা উঠিয়ে দিয়ে লোকটি চলে যায়।
১ম পর্ব- ভেজাল।
আফজাল এখানে বসে ছিল মনে আছে! তখন এখান থেকে কবিরাজকে যেতে দেখে সে তাকে ডেকে নৌকা থামায়। সে নৌকায় উঠে সামনে কোনো গঞ্জে বা ঘাটে নামিয়ে দিতে বলে।
আফজালকে চাদর পরা দেখে সে জিজ্ঞেস করে- রোধ সয্য হয়না? রোধ অনেক কিছুর নিরাময় করে। কোথায় আসছিলেন- সে জানায়- এক কবিরাজের খোজে আসছিল। সে পালিয়ে ছিল কেনো জিজ্ঞেস করলে, সে বলে- তাকে ভাইরাস ধরছে লোকজন দেখলে ভয়পায়। তো সে তার ভাইরাস নিরাময় করতে আসছিল এই গ্রামে। এখানে সে নিরঞ্জন নামের এক কবিরাজকে খুজতে আসছে, কিন্তু সে তো এখন সব নিরঞ্জকেই বলছে। যেহেতু সে এর আগে কখনো নিরঞ্জন কবিরাজকে দেখেনি! তাই সে তাকে পেয়েও চিন্তে পারেনি। তো আফজাল এই গ্রামে এসে একটা চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। তখন এই লোকটি তাকে আফজালকে এরকম চাদর মোড়ানো অবস্থায় দেখে কৌতুহল বসতো এটা সেটা জিজ্ঞেস করে। লোকটি তাকে আর একটা চা দেওয়ার সুযোগে তাকে দেখে ফেলে, ব্যাছ! গ্রামের সকল লোককে নতুন ভাইরাস বলে চিৎকার করে সবাইকে এক করে তাকে ধাবার দেয়। তাই সে কারনেই তখন সে ওখানে লুকিয়ে ছিল।
কবিরাজকে তার অবস্থা দেখায়। সে অনেক ডাক্তারকে দেখিয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নায়। আর এই ভাইরাস ধরেছে ৩ মাস হলো। কিসের থেকে হইছে জানতে চাইলে, জানায়- নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারছেনা। কারন এই ভাইরাস কিভাবে হয়! কিছুই বোঝা যায়না। তবে সে ৩ মাস আগে একটা গ্রামে গেছিল, সেখান থেকে এই ভাইরাস আসছে কিনা, সেটা সে সঠিক ভাবে বলতে পারবেনা। কবিরাজ বলে- সে তাকে নিরঞ্জন কবিরাজের কাছে দিয়ে আসতে পারে। ৩ মাস আগে তার সাথে ওই গ্রামে কি হয়েছিল জানতে চাইলে, সে জানায়- কেউ বিশ্বাস করেনা, আপনিও বিশ্বাস করবেননা। কবিরাজ বলে- আপনি এখন মিত্থে কিছু বলার অবস্থায় নাই, তাই বলেন। আফজাল বলছে- বডার এলাকায় পাতালিয়া নামের একটা গ্রাম আসে। গ্রামটা খুবি অদ্ভুত, সেখানে বাহির থেকে কেউ জায়ও না আর আসেও না। তারা ফর্মালিং পাউডার ছাড়া কিছু খেতে পারেনা। পাউডার ছাড়া কিছু খেলে ভমি করে। ফর্মালিং কম বেশি আমরা সবাই খাই, কিন্তু ওদের নেশা হয়ে গেছে, ফর্মালিং খাবার খেতে খেতে জিহ্বা কালা হয়েগেছে। ২ দিন পাউডার না খেলে তারা পাগলের মতন হয়ে যায়।
সিন পিছনে, পাতালিয়া গ্রামে। শফিক লোকটি বিদেশ থেকে আসছে, তাই তারা এখানে বসে হিসেব করছে, তার জিহ্বা কালো হইতে কতদিন লাগতে পারে। তারা তাদের জিহ্বা কালো নিয়ে বেশ গর্ভ করতো। রসিদ লোকটি চা বানাচ্ছে। তখন তাকে একটু বেশি করে পাউডার দিয়ে চা বানিয়ে দিতে বলে। চা খেয়ে, আহ সেই স্বাদ। তারা শুনছে, ফর্মালিং এর দূর্বিক্ষ্য লাগতে পারে। তখন-ই কিছু লোক একটা মুরুব্বিকে চেয়ারে করে এখানে এনে এই রোদের ভিতর বসিয়ে রাখে। হইলো ব্যডা! আমরা গরমে বাচিনা আর তাকে এই ঠাডা পরা রোদের ভিতর রেখে দিছে। সে নাকি মরেছে ২ দিনের মতন হইছে। লোকটির ছেলে ওম্যান থাকে, আসতে ১ মাসের মতন লাগতে পারে। তাই তাকে এই দোকানের পাশে রেখে দিতে বলছে। এবার মৃত মানুষের বডি ১ মাস কিভাবে থাকবে সেটা নিয়ে ভাবছেন! তারা বলছে অরিজিনাল মাল খাইছে, মানে অরিজিনাল ফর্মালিং খাইছে। ১ মাস কেন ৩ মাসেও বডির কিছু হবেনা।
এখানে সম্ভবত কোনো একটা বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। হয়তো বা এই মেয়ে নতুন বউ না কিছু একটা হবে, আমরা নতুন কাউকে দেখলে মিষ্টি দেই আর এরা তাকে ২ বছর পূরণো ফর্মালিং যুক্ত আপেল দেয় খেতে। যাক দিক সেই অধিকার তাদের আসে আমরা সামনে যাই। শফিক পত্রিকা পরে জানায়- ফর্মালিং এর সংকট পরেছে, আর ফর্মালিং এর অভাবে দুর্বিক্ষ্য শুরু হইছে। লোকটি রসিদ কে জিজ্ঞেস করে মাল আসবে কবে, এভাবে আর কত না খেয়ে থাকবে। আমরা ফর্মালিং মুক্ত খেতে চাই আর এরা ফর্মালিং যুক্ত খেতে চায়। সেই স্বাদ। রসিদের কিছু লোককে শহরে পাঠাইছে মাল নিয়ে আসতে। তাই এদেরকে উপরে গিয়ে দেখে আসতে বলে কাউকে আসতে দেখা যায় কিনা। তারা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে একজনকে আসতে দেখে। লোকটি এসে বলে- পাউডার তারা পেয়েছিল কিন্তু তা নিয়ে আসতে পারলোনা। ডাকাতেরা সব নিয়ে গেছে আর তাদের মধ্যে অনেককে মেরে ফেলছে। সবার মধ্যে হই হুল্লোর লেগে যায়। তারা ফর্মালিং ছাড়া কিভাব থাকবে। এখানে তারা মিটিং করে কিছু লোক শহরে পাঠায় ফর্মালিং নিয়ে আসার জন্য। আর তাদের খাবার অবস্থা দেখে কি আর বলবো। মুখে এক লুকমা পর্যন্ত খাবার দিতে পারেনা। তাহলেই বমি করা শুরু করে। অনেকে খেতে না পেরে মরেও গেছে।
আফজাল বলছে- তার শরিলে ভাইরাস ওখান থেকেও আসতে পারে আবার নাও আসতে পারে। সে ঠিক বলতে পারছেনা। সে ওই গ্রামে একটা অফিসের কাজে গিয়েছিল। সে আর তার আর এক কলিগ মিজান। তারা বে-আইনি ভাবে পাউডারের ব্যবসা করতো আর সেটাই তাদের কম্পানির হয়ে সাপ্লাই দিতে গেছিল।
তারা দুজন এসে এই মৃত মুরুব্বীকে জিজ্ঞেস করে- পাতালিয়া যাওয়ার রাস্তা কোনটা। তাকে অনেক বার জিজ্ঞেস করে তার থেকে কোনো উত্তর পায়না। রসিদ বলে- তাকে প্রশ্ন করলে উত্তর পাবেন না। সে মরে গেছে ১০-১২ দিন আগে। এটাই পাতালিয়া গ্রাম। তো সে মরেগেছে ১০ - ১২ দিন হলো কিন্তু এখনো পচেনায় সেটা দেখে এরা অবাক। রসিদ জানায়- পচবে ক্যমনে, পাউডার খাওয়া বডি। তাদের পাউডার ছাড়া চা দিছে, তাই এদের লজ্জা করছে। তারা এখানে কেনো আসছে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে- এখানে তারা পাউডার সাপ্লাই দিতে আসছে। তারা এই কথা শুনে জেনো জান ফিরে পেলো। তাদের ফর্মালিং না থকায় এখন কি অবস্থা সেটাই তাদেরকে বলছে। তারা যেতে ধরলে এরাও তাদের পিছনে দৌড়তে থাকে। হালকে পাউডারের স্যাম্পল তাদের হাতে দিতে যেয়ে পরে গেলে তারা সেই গুলো মাটি থেকে উঠিয়ে খেতে থাকে। এই ছেলেটা চলে যায় সবাইকে ডেকে নিয়ে আসতে। তাদের আর গ্রামের ভিতর যাওয়া লাগবেনা। আফজাল তাদের সবাইকে সান্ত হতে বলে সে জানায়- তাদের পাউডারের দায়িত্ব সে নিলো। কার পাউডার লাগবো আর কার ট্যাবলেট লাগবো তাদের আলাদা একটা লাইনে দারাতে বলে একটু দুরে যায়। সে যাওয়ার পরে সবাই মিজানকে ঘিরে ধরে। তারা মিজানের শরিল থেকে পাউডারের গন্ধ পায়। এরপর আরকি। সবাই মিলে হিংস্র পশুর মতন তার রক্ত ভোগ করতে থাকে। উফফ,,, এখানের সিনটা যা ছিলনা!। আপনার সরিলের লোম দারিয়ে যাওয়ার মতন। আফজাল এখানের এই অবস্থা দেখে সে মিজানকে রেখে একাই পালিয়ে আসে।
এখানেই শেষ হয় সিরিজের ১ম পর্ব। আর আমি যে পর্ব গুলোর নাম বলবো তা বাস্তবে এবং সিরিজে মিল খুজে পানকিনা সেটা লক্ষ করবেন। তাহলে বেশি ইনজয় করতে পারবেন। এমনিতে আমি কোনো সিরিজের পর্বেন নাম উল্লেখ করিনা। কিন্তু এই সিরিজের পর্ব গুলা খুবি ইন্টারেস্টিং লেগেছে তাই আপনাদের কাছে পর্ব গুলোর নাম শেয়ার করছি।
২য় পর্ব- আমার কি?
আফজাল বলছে- ঘটনা এই পর্যন্ত থাকলে তো কোন কথাই ছিলনা। সে ঢাকায় এসে চাইছিল সব পুলিশকে বলে দিবে। কিন্তু তার আর সাহস হলোনা। তাকে কম্পানির লোক থ্রেড দিয়ে তার থেকে মিডিয়াকে জানায়- মিজান এখান থেকে টাকা চুড়ি করে পালাইছিল। সেই জন্য সে নিখজ আর সে তাকে চুরি করতে দেখেছিল, একারনে তাকে মৃত্যুর হুমকি দেয় তাই সে ৭ দিন পালিয়ে ছিল। কম্পানির লোকেরাও তা সোসাল মিডিয়ায় সত্য বলে চালিয়ে দেয়। আর এখন সোশাল মিডিয়াই তো সব। মানুষ এখন সোশাল মিডিয়ায় একটা কিছু দেখলে, তা সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত না জেনেই তার উপর ঝাপিয়ে পরে। যাই হোকে, কম্পানি তাকে দিয়ে মিজানের সন্তান আর বউয়ের বিরুদ্ধে মামলাও করায়। তখনি সে বুঝছে, সত্য প্রকাশ আর হবেনা। এরপর থেকে তার সরিলে এই ভাইরাস বাসাবাধে।
তাকে এই ভাইরাসের কারনে কম্পানিতে রাখতে চাচ্ছেনা সেটা মিঃ গ্রিন মানে গিয়াসকে জানালে সে উল্ট কম্পানির মালিককে বুঝায় তাকে বের করে দিতে, নয়তো তারা আবারো ফেসে যাবে। এরপরে তাকে বাসায় বসে মুরি খেতে বলে অফিস থেকে বের করে দেয় অফিসের বস।
তার কথা শুনে কবিরাজ বলে- এই গল্পের মধ্যে সেও আছে। বেশ কয়েক বছর আগের কথা। কাশিমপুরের ঠিকাদার পাড়ায় থাকতো। সিন পিছনে। ছাত্র নেতা হাবিবের ভোটের পোষ্টার লাগানো হচ্ছে। ছেলে পেলে ক্রিকেট খেলছে। হাবিব তার চ্যালাপ্যালা নিয়ে ওখান থেকেই জাচ্ছে। তখন একটা বল তার উপর এসে পরে। যেই ছেলেটা বল পিটাইছে তাকে কয়েকটা দিয়ে হোটেলে নিয়ে আসে, যে হোটেলে সে কাজ করে। হোটেলে লোককে এসেই একটা লাগিয়ে দেয়। এরপরে জিজ্ঞেস করে ও এই দোকানের কিনা। ছেলেটিকে সরি বলতে বলে। কিন্তু না, তার শুধু সরিতে হবেনা। তার ৪-৬ পিটাতে হবে। এরপরে ছেলেটাকে এভাবে ধরে ৪-৬ পিটান শুরুকরে। কেউ কিছু বলছেনা। এই চাচা আসে কিছু কিনতে। তাকে জিজ্ঞেস করে, ছেলেটিকে কয়টা মারবো। তার উত্তর! আপনার যা মনচায়। তাকে তারা ৪-৬ পিটাক আমরা সামনে জাই। এই যে কাপল দেখছেন। এরা হচ্ছে স্বামী স্ত্রি। তার নাম সাজ্জাদ। পেশায় একজন প্রাভেট টিচার। আর এখন সেই কাজি করতে যাচ্ছে। রাস্তায় নিরঞ্জন কবিরাজের সাথে দেখা হয়ে যায়। সাজ্জাদ গ্রামের একজন ভালো ছেলে। তাকে সবাই ভালো জানে। চায়ের দোকানে এসে চা আর গল্প করে তার এস,হক সেন্টারে ঢুকে। সে এখানেই কোচিং করায়।
হাবিব তার এক লোক্কে কোন এক লোকের কথা জিজ্ঞেস করে। তারা একটা জমি দখল করতে চাচ্ছে বা বলতে পারেন তার থেকে জোর করে কিনে নিতে চাচ্ছে কিন্তু সে তা দিতে রাজি না। তার অনেক সাহস আর সেই সাহস ছুটাতে হাবিব তার লোক নিয়ে বেরিয়ে পরে। বাজারে আসলে বুঝতে পারি তারা সাজ্জাদের কাছে আসছে। স্টুডেন্টস গুলোকে বের করে দিয়ে। সাজ্জাদের পকেটে তার ভোটে মননয়ন পাওয়া গোলাপটা পকেটে ভরে দেয়। এরপরে তার সাথে জমি কেনো দিতে চাচ্ছেনা বা কেনো বেচবেনা তাই নিয়ে কিছুক্ষণ প্যাঁচাল পাইরা তার শুভ কাজ করে ফেলে। সাজ্জাদ চিৎকার করে বাহিরের সব লোকদের ডাকলেও কেও তার চিৎকারের পরোয়া করেনা। তারা চাইলেও যে তাকে বাচাতে পারে, সেটা না করে সবাই যে যার কাজে গভীর মনযোগী হয়ে পরে। এরপরে তারা তাদের স্পেশাল ডান্স করে বাহিরে এসে হাবিব এরকমটা করে।
সিন বর্তমানে। আফজাল জিজ্ঞেস করছে- মহল্লার সবাই মিলা একটা কথাও কইলোনা? কবিরাজ বলে- সবাই মনে করছে, আমার কি? যারমানে দারায়- মহল্লার সবাই অন্যায় করছে, পাপ করছে। কবিরাজ বলছে- তার ভিতর সেও ছিল আর তাকে সহ মহল্লার সবাইকে ভাইরাস ধরছিল। তারা বলছে- এই সব বিষয় নিয়ে তাদের কথা বলে কোনো লাভ নাই। তাই কথা বলার চেয়ে কবিরাজের অ্যালবেরার সরবাত খাওয়া ভালো। গল্প করছিল, তখন পুলিশের লোক আসে সাজ্জাদের কেসটা নিয়ে কথা বলতে। তারা এক জনের থেকে সাজ্জাদকে কে মেরেছে জানতে চাইলে এক একজন এক একটা অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যায়। আর এটাই ছিল তাদের দোষ। এরপর থেকে এক একজন বোবা হতে থাকে। নিরঞ্জন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সে পুলিশের কাছে আসে সব সত্ত কথা বলতে। কিন্তু সে তা বলতে জেয়ে সেও বোবা হয়ে যায়। এখানেই শেষ হয় সিরিজের ২য় পর্ব।
পর্ব ৩- হ হ ঠিক্ ঠিক্ অর্থাৎ, কথার সাথে তাল মিলানো।
আফজাল জিজ্ঞেস করে- আপনি বোবা হয়েগেলে এখন কথা বলছেন কিভাবে? সে জানায়- প্রায়শ্চিত্ত করে। আফজাল তার থেকে জানতে চায়, কি সেই প্রায়শ্চিত্ত, সেও করবে। কবিরাজ বলে- আপনি কি প্রায়শ্চিত্ত করবেন সেটা আমি কিভাবে বলবো। সেটা তো আপনি ভালো জানেন। এবার কবিরাজ সে কিভাবে প্রায়শ্চিত্ত করেছে সেটা আফজালকে বলছে।
সে বোবা হয়ে যাওয়ার পরে চলে আসে আর একটা গ্রামে। আর এখানেও সে বই পত্র আর ঔষধি বিক্রির কাজ করতো। নতুন গ্রাম, কেউ তাকে চিনেনা আর সেও কাউকে চিনেনা। সেখানে সবাই তাকে বোবা মানুষ বলে ডাকতো। এখানে বসে সে গান শুনছিল, তখন সুমি নামের মেয়েটি এসে তার থেকে কিছু একটা নিয়ে যায়। বাসায় তার মা পেয়াজ বাটছে, ঝড় ছুটছে তাই তাকে দরজা জানালা দিতে বলে। তখন সে হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। তার মা ব্যাপারটা লক্ষ করলে কাছে এসে জিজ্ঞেস করে সে জায়গা থেকে না লইরা জানালা দরজা কিভাবে বন্ধ করলো? সুমি বলে- সে কিছু করেনায়, বাতাসে বন্ধ হয়েগেছে। পরে আবার তা খুলে গেলে সে উঠে যেয়ে তা লাগিয়ে দেয়। সুমি রিয়ার মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছিল, তখন সুমির মা তাকে ডাইলের খুটনিটা দিয়ে আসতে বলে। সে এখন এখান থেকে উঠতে পারবেনা কাজে বিজি তাই তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে সেটা তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এবার তার মা অবাক হয়ে রিয়াকে একটা কাজের অজুহাতে বারি পাঠায় সুমির থেকে তার শক্তি সম্পর্কে জানতে। সে সুমির থেকে জানতে চায়, না ধইরা জিনিষ সরায় কিভাবে। সুমি কিছুই বলেনা। তার মা তাকে বারণ করে দেয়। এই বিষয় জেনো কেউ না জানে।
রাত্রে এক ভন্ড ওজাকে নিয়ে আসে সুমির থেকে জিন নামানোর জন্য। সে বলে জিন সরাতে হলে সুমিকে বেধে কাটা আলা গাছ দিয়া সন্ধার সময় পিটাতে হইবে। তাইলে জিন পালাইবো। সুমি বাহিরে আসলে তাকে নিয়ে আর একটা কথা বললে সে ওজার লাঠি দিয়া ওজার ঘার থেকেই জিন সরানোর কাজে লেগে পরে। এখন সমাজের লোকের কাজ হচ্ছে কাটাগায়ে নুনের ছিটা দেওয়া বা বলতে পারেন, কোনো একটা কিছু পাইলে তা নিয়ে একান ওকান করে খোঁচাখুঁচি করা। আর সেটাই তারা করছিল। কবিরাজ তাদের এটা নিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করলে তারা তার কথা যেহেতু বুঝেনা! তাই তাকে গায় মাখেনা।
সুমি আর রিয়া রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে অপু নামের ছেলেটি তাদের রাস্তা আটকিয়ে রিয়ার সাথে নোংরামি করা শুরু করে আর ভিডিও করে। সুমি তাদের বারণ করে, কিন্তু তারা তা শুনেনা। তাই এবার সে তার শক্তি কাজে লাগিয়ে তাদের দুইটাকে নষ্টামির পুরুষ্কার দেওয়া শুরু করে। অপু খুর দিয়া সুমিকে মারতে গেলে তাকেও সে তার খুরদিয়া দাক লাগিয়ে দেয়। অবশ্য রিয়া তাকে জোর করে না নিলে হয়তো সুমি তাকে উপরেই পাঠিয়ে দিত।
সবাই তাদের টিনের চালে ঢিল ছোড়া শুরু করছে। সিন চেয়ারম্যানের কাছে আসলে সে বলে- অপু তো দুই দিন পর পর গ্যাঞ্জাম করবোই। আপনারা শোনেন কি হয়। সে সন্ধায় ফিরে তাদের থেকে সব শুনবে। অপু তাদেরকে বলছে- সে প্রেমে পইরা কি দোষ করছে, রিয়াকে একটু কাছে পেতে চেয়েছিল কিন্তু সুমি কালা জাদু কইরা তাকে খুর দিয়া কোপাইছে। আজকে তার সাথে এটা করছে কালকে তাদের সাথে করবে। সবাই তার কথায় তাল মিলাচ্ছে। কবিরাজ ব্যাপারটা সামাল দিতে চাইলে লোকেরা সবাই তাকে চুপ করে দেয়। এই চাচা বলে- তার ছোট বেলায় এরকম একটা ঘটনা হইছিল, এটা জিন না, এটা হচ্ছে ডাইনি। তারা প্লান করে সুমিকে হাত চোখ বেদে শালিসিতে নিয়ে আসবে। কবিরাজ কথা বলতে না পারলেও তাদের বোঝানোর অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু কে বুঝে তার কথা।
তাদের প্লান অনুযায়ী পরেরদিন সেই দলবল এসে সুমির হাত চোখ বেধে ধরে নিয়ে এসে গাছের সাথে বেধে রাখে। চেয়ারম্যান সুমির চোখ খুলে দিতে বলে। অপুর আবার সেই একি প্যাঁচাল। অপু বসতে গেলে সুমি তার চোখের ইশারায় চেয়ার ফেলে দেয় আর অপু নিচে বসে পরে। এবার গ্রামের সবাই সুমির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সুমির চোখ উপরে ফেলবে আর তার দুহাত কেটে ফেলবে। তারা দাও আর চোখ উঠানোর জন্য যা লাগে নিয়ে আসে। কবিরাজ এদিকে চেয়ারম্যানকে বোঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কেউ তার কথা বুঝতেই চাইছেনা। তারা সুমির চোখ উপরে ফেলতে যাবে আর তখনি কবিরাজের জবান খুলে যায়। সে বলা শুরু করে। ও যা করছে নিজেকে বাচানোর জন্য করছে, সবাই তার কথা শুনে হা করে তার দিকে থাকি রইছে। অপু যা যা তাদের সাথে করছে সব কবিরাজ তাদেরকে বলে দেয়। এরপরে সে সবাইকে বুঝিয়ে সুমিকে ছাড়িয়ে নেয়। আর সেই থেকেই সে কথা বলতে পারে। আর এখানেই শেষ হয় সিরিজের ৩য় পর্ব।
পর্ব ৪- লাই কে লাই। অর্থাৎ, দিনের পর দিন। গ্রামের একটা আঞ্জলিক কথা আছে, কোনো সন্তানকে তার মা বা বাবা একটা কাজ দিনের পর দিন মানে প্রতিদান বা প্রায় সময় করতে দেখলে রাগে বা খোবে বলে ফেলে- লাই কে লাই বা দিনের পর দিন একটা জিনিস নিয়াই পইরা থাকো ক্যান? বা এরকমি কিছু একটা বলে থাকে। এটাই হচ্ছে আমার মতে লাই কে লাই।
সিন আসে নদীতে। আফজাল ব্যাপারটা বুজছে কিনা কবিরাজ জানতে চাইলে সে বলে- বুঝছে। মানে তার এখন কাজ হচ্ছে, তার অফিসে ঘটে যাওয়া সত্যটাকে এবার সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাকে একটা রাস্তায় উঠিয়ে দিয়ে যায়। সে পিছন ফিরে তাকালে কবিরাজকে আর দেখতে পায়না। গিয়াস এক মিটিং থেকে বের হয়েই একটা স্টাটাস দেয় ফেসবুকে। যেখানে তাকে বেশ হ্যাপি দেখাচ্ছে। সে গাড়িতে উঠলে কেউ একজন তাকে কিডন্যাপ করে ফেলে। নিউজ সরিয়ে পরে- মিঃ গ্রিন অপহরণ হয়েছে। সবার মুখে একটাই কথা- এই ভালমানুষ টাকে আবার কে আর কেনো অপহরণ করলো। প্রায় লোকি তার ফ্যান এবং তার মোটিভেশনাল স্পিচ শুনে। এবার দেখা যায়, মিঃ গ্রিনের পেজ থেকেই তাকে বেধে রাখা হয়েছে তা লাইভ দেখানো হচ্ছে। আর এই সিরিজটায় কমেডি অংশ হিসেবে আমার ভালো লাগছে লাইভের কমেন্ট গুলো। যা নরমালি প্রতিটা লাইভে দেখা যায়। আপনার এই কমেন্ট গুলো দেখে মনেই হইবোনা যে আপনি কোনো ভিডিও করা ভিডিও দেখছেন। আপনার এটাকে বাস্তব মনে হবে।
কিডন্যাপারের কথায় বুঝতে পারি লোকটি আর কেউ নয়, আফজাল। আফজাল এখানে গিয়াসের ফেসবুকে স্টাটাস নিয়ে কিছু কথা বলে। যা ছিল তার কাজের বাহিরে সব ভুয়া স্ট্যাটাস। এরপরে কিছু জিনিস দেখানো হয় যা তার জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এরপরে সেই লাঠি দিয়ে কিছুক্ষণ মিঃ গ্রিনকে লাল বানানো হয়। আর এইসবি লাইভে সবাই দেখছে। এরপরে তার আরো কিছু মিথ্যা রহস্য উন্মোচন করে লাইভে সবার সামনে। তারপরে হাতুরি দিয়ে তার হাতের আঙ্গুল গুলোকে স্পেশাল ডোজ দেয়। জাতে পরবর্তীতে এই আঙ্গুল দিয়ে আরো সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস দিতে পারে। অনেকে মনে করছে ভিউপাবার জন্য এই বাটপারি করছে তো অনেকে বলছে ঠিক কাজি করছে। যা আমরা এক একজন এক এক কথা বলে থাকি। তারাও তাই বলছে।অনেকে আবার স্ট্যাটাস দেয়। আমি মিঃ গ্রিনের পক্ষে। তারা যাই করুক সে অধিকার তাদের আসে, আমরা তাদের কাজে হাত না দিয়ে মেইন কাজে চলে আসি। আফজাল তাকে মারলে সে বলে- বাল আমার আপরাধটা কি। এখানে তাকে মারার জন্য গিয়াস কিছু গালি দেয়, যা সিনটাকে আরো বাস্তবমুখী করে তোলে। পুলিশ আফজালের লোকেশন জেনে গেছে। মিঃ গ্রিনের পেইজে পোল দেওয়া হইছে, তাকে কি দিয়ে মারবে। সবাই করাত টাকেই বেছে নিছে। এবার টুনটুনির উপর পারা দিয়ে তাকে সাস্থি দেওয়া শুরু করছে। লোকেরা কমেন্ট করছে- যাইগা বরাবর দিছে। আর একজন করছে- এইসব কি দেখতে হচ্ছে? ভালো হয়েছে আমি অন্ধ। আফজাল সবাইকে দেখাচ্ছে- গিয়াস যে গারি ব্যবহার করে তা তার লোনে নেওয়া আর সে যে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এতদিন বলে বেরিয়েছে, ফ্লোরিডা ইউনিভারসিটি থেকে এমবিএ করছে তা মিথ্যা। সে ন্যাশনাল ইউনিভারসিটি থেকে পাশ করছে। এক কথায় তার সব ভুয়া কারবারির স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। তবে তার আগে আর একবার তার টুনটুনিতে কারেন্ট দেওয়া হয়। তাকে নাগিন ডান্স শিখানো হয়। এবার যখন করাত স্টার্ট করে তখন গ্যান হারিয়ে ফেলে। আর ৪র্থ পর্বের এখানেই এন্ডিং হয়।
পর্ব ৫ বা শেষ পর্ব- V ফর ভাইরাস। অর্থাৎ, ভাইরাস দিয়ে শুরু আর ভাইরাস দিয়েই শেষ।
মিঃ গ্রিন জ্ঞ্যান হারানোর কারনে লাইভ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গিয়াসের জ্ঞ্যান আসলে আবারো লাইভ অন করে দেওয়া হয়। আফজাল কাছে গেলে তার পানি জমাট হইছে তা ফালান লাগবো। আফজাল তার আরেক লোককে দিয়ে সেই পানি ফেলতে পাঠিয়ে দেয়। আফজাল ডাকপায় সে পালিয়েছে। এবার সে লাইভ নিয়েই দাবড়াতে থাকে। গিয়াস বাহিরে এসে চিৎকার করে বলছে- ভাই আমি সবুজ আমারে বাচান কেউ। এবার গিয়াসকে ধরে এনে একটা আঙ্গুল দর্শকদেরকে উপহার দেয়। তারপরে গিয়াসের মুখ থেকে পাতালিয়া গ্রমের সব শিকার পাওয়ায়। তাদের কম্পানি সম্পর্কে যা যা মিথ্যা কথা বলছিল সব বলে দেয়। তার বলা শেষ হলে আফজাল শুট করে দেয়। সবাই জেনেগেছে গিয়াস মরেগেছে।
এদিকে সেই পাউডার কম্পানির মালিককে সেই ভাইরাস ধরছে। পুলিশ মিডিয়া সবাই ঘটনাস্থলে চলে আসছে। মিডিয়ার লোক ছবি তুলতে ব্যাস্ত, ঠিক তখনি গিয়াস জেগে উঠে। সামনের সবাই ভয় পেয়ে যায়। তার আবার একই লেকচার শুরু। আর দেখা যায় তার বা তার আঙ্গুলের কিছুই হয়নি। এখন তাকে এতো মারার পরে কিছু কেনো হয়নি সেটাই বুঝতে পারলাম না। যাই হোক! এরপরে সে হস্পিটালের অজুহাতে বেরিয়ে যায়। আফজাল সব জায়গা নিরঞ্জন কবিরাজকে খুজে বেরায় কিন্তু পায়না। এদিকে সেই সুমিকে দেখা যায়, সে এখন বেশ আনন্দে দিন কাটাচ্ছে। পাউডার কম্পানির মালিকের ভাইরাস নিয়ে মিডিয়ায় তোলপাড় লেগে গেছে, নেতা হাবিবকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যা আমদেরকে সিরিয়াল বাই সিরিয়াল দেখানো হয়। আফজাল সেই জলের দ্বারে বসেছিল আর তখনি নিরঞ্জন এসে তাকে ডাক দেয়। তার ডাক সোনা মাত্রই আফজাল তার নৌকায় এসে বসে পরে। সে কবিরাজকে বলে- সবাই বলে আপনি নাকি নাই, আপনার অস্তিত্ব নাই, আপনি কোথ্যেকে আসেন, আপনি কে। তখন সে আফজালকে একটা আয়না দেয়। সে আয়নায় দেখতে পায়, তার ভাইরাস দূর হয়েগেছে। যখনি সে সামনের দিকে তাকায়, তখন আর কাউকে দেখতে পায় না।
পিছনের একটা ভয়েস আমাদেরকে বলছে- সোনা যায় সেইদি বিকেলে ঝুম বৃষ্টি নেমে ছিল ঐ পাহারি নদিতে। আর সেই বৃষ্টি পৌছে গেছিলো পাতালিয়ায়। ধুয়ে দিছিল গ্রাম বাসীর মন। এ ঘটনার পর নিরঞ্জনকে কেউ কখনো দেখেনি। আফজালকেও খুজে পায়নি কেউ। আর সিরিজটি এখানেই শেষ হয়ে যায়।
....
এখানে আপনার আউন্ট্র দিবেন
THE END
< Social Media >