এন্টারটেইন টাইমস প্রতিবেদক: Sharey Showlo (সাড়ে ষোলো) S01 Full Web Series Explained Script in Bangla - Entertain Times
বিঃদ্রঃ স্ক্রিপ্ট লেখায় কিছু ভুল থাকতে পারে যেগুলো আপনারা ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং কিছুটা নিজে সাজিয়ে কমিয়ে, বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ! এটা তো আপনি একা ব্যবহার করছেন না, আপনার মতন আরো কিছু লোক এখান থেকে স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে।
....
নাম করা এক বেরিস্টারের হোটেল রুমে এক মেয়ের রক্তাক্ত বডি পাওয়া যায়। তবে তাও বুঝে উঠতে পারেনা সেই মেয়েটিকে আসলে কে মেরেছে! সেই বেরিস্টার! নাকি অন্য কেউ। কেননা! সে ছাড়াও সেই রুমে আরো ৪ জন লোক এসেছিল। এবার কে মেরেছে সেই মেয়েকে! সেটাই এবার উন্মোচন করতে হবে।
হ্যালো সিনে লাভার্স! আজকে আপনাদের মাঝে রিসেন্টলি হইচইতে মুক্রি পাওয়া Thriller জনরার এমন এক ওয়েব সিরিজ এক্সপ্লেন করতে যাচ্ছি, যেটা দেখে আপনি একদম শেষ পর্যায় এসে চমকে যাবেন। কারণ! শেষে রয়েছে এক বরধরনের টুইস্ট। যেটা আপনি পূরো সিরিজেও ভাবেননি সেটাই দেখতে পাবেন সিরিজের একদম শেষে।
এরপরে আপনার ইন্ট্র দিবেন
সিরিজিটির শুরু হয় এম্পায়ার নামের একটা সু ফ্যাক্টরিতে। একটা ছেলে এই মেয়েটার হাতের ভিডিও করছিল আর তখনি ফ্যাক্টরি উপর থেকে ভেঙ্গে পরে। আর সেখানে শত খানিক লোক আহত এবং নিহত হয়।
সেই ফ্যাক্টরি ধ্বসের ২৭ মাস পর। সিন ভায়োলেট ইন হোটেলে। এখানে আমরা আইনজীবী রেজাকে দেখতে পাই। টিভিতে চলা একটা প্রোগ্রাম থেকে জানা যায়, সেই ফ্যাক্টরি ধ্বসে যাওয়ার পরে শ্রমিকরা অসন্তোষ, তারা তাদের ক্ষতিপূরনের জন্য আন্দোলন করার ঘোষনা দিয়েছে। আগামীকাল আদালতে এই ফ্যাক্টরি নিয়ে চুড়ান্ত শুনানি হবে।
সেই ফ্যাক্টরির পক্ষের আইনজীবী তরিকুল ইসলামের থেকে জানা যায়। সে এই ধ্বসের জন্য দায়ী করছে কেপলার ডেভেলপরসকে। তার মতে ওদের নকশায় ভুল ছিল। তারা কমদামী ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করেছে। আর তাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই ফ্যাক্টরি। এবার কেপলার পক্ষের আইনজীবী আশফাক রেজার বক্তব্য শোনার জন্য লাইভে জইন করানো হয়। সেখানে তার কথা জানায়, অর্থাৎ সে যেহেতু কেপলার পক্ষের আইনজীবী তাই তার এখন কথা বলা উচিৎ বিপক্ষে আর সে তাই করে।
এ হচ্ছে নাতাশা। কেপলারের পি আর এক্সেকিউটিভ। এখানে থেকে জানা যায় এই হোটেলে কোনো সিসি টিভি ক্যামেরা নেই। তাই সেফলি এখানে যা তা করা যায়। এখানে তারা বসে গল্প করছিল আর সেখানে রাকিবকে দেখা যায়। তাকে নাতাশা সার বলে সন্মধন করছিল। এখন কেন তাকে সার বলে সন্মধন করছে আর তাকে দেখে সে কিছুটা ভয়ও পায় কেন সেটা সামনেই জানা যাবে। এরপরে তারা দুজন সাড়ে ষোলো তলার ১৬৫২ নাম্বার রুমে চলে যায়। যেটা রেজার বুকিং করাছিল। আর এই ছেলেটাকে মনে রাখবেন। রেজা ফাইলটা এখানে রাখতে গেলে বোঝাযায় কেউ তাদেরকে ক্যামেরা দিয়ে দেখছে। কিন্তু এই হোটেলে তো কোনো ক্যামেরা থাকার কথা না। যাই হোক! এরপরে ছেলেটা ওখান থেকে চলে আসে।
রেজা ওয়াসরুমে চলে গেলে দেখা যায়, নাতাশা রেজার ফাইল গুলোর ছবি তুলছে। অবশ্য রেজা সেটা দেখে ফেলে। কিন্তু নাতাশা সে অন্য একটা ফাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করে জাতে তার উপর সন্দেহ না করে। আর নাতাশাকে এখানে রেজা কেনো নিয়ে আসছে বুঝতেই পারছেন! রেজা তার সাথে চুলচুলকি করতে গেলে সে স্নান করতে চলে যায়। রেজা তার গানটা বের করে এখানে রাখে আর তখনি সে বুঝতে পারে কেউ তাদেরকে গোপন ক্যমেরা দিয়ে দেখছে।
পরের সিনে রেজা ও স্নান করতে ঢুকে যায়। এদিকে দেখা যায় তার মেয়ে আফরা ফোন দিচ্ছে, কিন্তু সে যেহেতু এখন তার কাজে বিজি! তাই আর সেটা রিসিভ করতে পারেনা। তখন একটা ম্যাসেজ পাঠায় যেখানে লেখাছিল তার মা অসুস্থ হয়ে পরছে তাকে প্রয়োজন।
এখানে তাদের কথায় বুঝতে পারি, সব মানুষ কালকের কেসটায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে। কেউ চায়না সে আগামীকালের কেপলার কম্পানির কেসটা জিতুক। তখনি আফরা ফোন করে আর তখন সে জানতে পারে তার স্ত্রি হস্পিটালে। তাই সে হস্পিটালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে। রেজা আবারো কোনো এক কারনে হোটেলে আসে এবং তার রুমের সামনে থেকে সংবাদ পাঠক রিনি কে যেতে দেখে। রেজা কিছুই বুঝতে পারেনা। সে কলিং দিলে নাতাশা দরজা খুলে দেয়, তখন রেজা রিনি কে উদ্দেশ্য করে নাতাশাকে জিজ্ঞেস করে সে এখানে কি করছে। নাতাশা বুঝতে পারেনা কার কথা জিজ্ঞেস করছে। তখন রেজা জানায়- সুন্দরি মেয়েদের তার সব পছন্দ শুধু বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া। রেজা এবার তার গারির দিকে জেতে ধরলে উপর থেকে কিছু একটা নিচে পরে আর সে এই বলে একটা ধমক দেয়।
রেজা হস্পিটাল চলে আসছে। সে আফরাকে বুঝায়, সে জেনো কোনো ভয় না পায়। এখানে তাদের কথায় বুঝতে পারি, রেজা আর তার স্ত্রি আয়শা তারা দুজন দুই মেরুর। তাদের কাজ, পছন্দ যাই বলেননা কেন! প্রায়ই সবই ভিন্ন। তখন রেজার ফোনে একটা কল আসে। তখন ফোন রিসিভ করলে! তাকে এডিসি আলতাফ ভায়োলেট ইন হোটেলে ১৫ মিনিটের ভিতর আসতে বলে। অবশ্য সে না চাইতেও হস্পিটাল থেকে চলে আসা লাগে।
হোটেলে এসে যখন তার রুমে ঢুকতে যাবে তখন সে ১৬৫১ নাম্বার রুমটা খোলা দেখতে পায়। এবার ভিতরে আসলে দেখতে পায় নাতাশা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার উপর পরে রয়েছে আর তার পাশে রয়েছে তার পিস্তল। আর এখানে রিনি, রাকিব আর পুলিশ অফিসার আলতাফকে দেখতে পাই। আলতাফ জিজ্ঞেস করে- সে এতো কাচা কাজ কিভাবে করলো।
এরপরে কিছু অস্পষ্ট কথা বার্তার সিন দেখা যায়। তারা তাদের খরচ দিয়ে কিভাবে সংসার চালাচ্ছে সেটাই কাউকে বলছিল।
পরের সিনে দেখা যায়, একটা অফিস থেকে রিনিকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে আর তখনি কেউ একজন তাকে ফোন দিয়ে জানায়- রেজা তাকে একটা ম্যাসেজ দিছে, যেখানে তাকে পরের বার সাবধানে থাকতে বলছে।
সিন বর্তমানে। আলতাফ রেজাকে বলছে- সে এত কাচা কাজ কিভাব করলো। সে নাতাশাকে তার পিস্তল দিয়ে মেরে তা এখানে ফেলে রেখে গেলো! বডি টাকেও সরালোনা! এখানের সবাই রেজাকে খুনি ভাবছিল। আর কিছুক্ষণ আগে যে রিনিকে ধরে নিয়ে যেতে দেখলেন! সেটা ছিল একটা পূরণো ঘটনা। রিনি কিছু একটা করেছিল আর রেজা তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়েছিল। এরপর থেকেই রিনি তার বদলা নিতে চায় রেজার থেকে। আলতাফ জানায়- সে আধঘণ্টার পর ফোর্স ডাকবে আর তার থেকে ফোন নিয়ে নেয়। রিনি তার ফোনের ক্যামেরা ধরে জিজ্ঞেস করে সে কেনো নাতাশাকে মেরেছে, আর রাকিব বলতে বলে- কালকের কেসের জন্য তার কাছে কি প্রমান আছে। রেজা বলছে- তার খুব জানতে ইচ্ছে করছে সবার আগে এই রুমে কে ঢুকছে, মানে নাতাশা যে খুন হয়েছে সেটা আপনাদেরকে কে জানিয়েছে। নিশ্চয় লাশে ফোন করে বলে নায়। এবার সে তাদের ৩ জনের উপর আঙ্গুল তুলে। তাদের মধ্যে কে এই রুমে আগে ঢুকছে। রেজা বলছে- সে বের হয়ে যাবার পরে আবারো আসে তার একটা কাজে এবং তখন রিনিকে তার রুমের পাশে ঘুর ঘুর করতে দেখেছে কেন? রিনি বলে- ফাদে পড়ে গলা উঁচু করছেন? এবার সে বুঝে যায় তাকে ফাদে ফেলা হইছে। রেজা বলে- সে জানে তার উপর রিনির অনেক রাগ আছে, তাই বলে এই ইনোসেন্ট মেয়েটাকে মেরে তাকে সে ফাসাবে! এখন তার প্রশ্ন হচ্ছে সে এই সাড়ে ষোলোতে কি করে। রিনি রুম থেকে চলে যায়। আলতাফ ও তার পিছনে চলে যায়।
২ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগের ঘটনা। রিনি রাকিবকে জিজ্ঞেস করছে- সে স্টরি কখন পাবে। সে জানায় আগামীকাল সকালে। রাকিব রিনির গেস্ট কে জানতে চায়। কিন্তু সে বলেনা। রাকিব জানায়- সব কিছু প্লান মতন হলে তাহলে সেই হবে তাদের নতুন চ্যানেলের হেড করেস্পন্ডেন্ট। তখনি তারা রেজাকে হোটেলে ঢুকতে দেখে। ঘর রেডি হলে রিনিকে জানাবে বলে রাকিব চলে যায়। আর তখনি আলতাফ চলে আসে। এখানে তাদের দুজনের কথায় বুঝতে পারি, তারা দুজন বন্ধু। ৩ বছর পরে তাদের দেখা, তাই স্বাভাবিক ভাবে দুজন নিজেদের নিয়েই কথা বলছিল। আলতাফ এখানে রেজাকেও দেখতে পায়। এবং সেও রেজাকে সয্য করতে পারেনা। এখন সেও তাকে কেনো সয্য করতে পারেনা, সেটা সামনেই জানতে পারবেন। রিনি আলতাফের কাছে সেইদিন কম্পানি ভেঙ্গে পরার পরে সেই কেসটা নিয়ে কি হয়েছিল সেটা জানতে চায়, কারণ! ওই কেসটার দায়িত্ব তার হাতেই ছিল। আলতাফ জানায়- রেজা তার পিছন মেরে দিছিল। তারা কথা বলছিল ঠিক তখনি সেখানে নাতাশা চলে আসে। রিনি জিজ্ঞেস করে নাতাশাকে সে চিনে কিনা। সে জানায়- চিনে, কিন্তু কিছু করেনি। এরপরে তারা দুজন উঠে সাড়ে ষোলোতে চলে আসে। এখানে দেখা যায়, রেজার রুমের আগের রুমটাতেই তারা উঠছে। আর এখানে তাদের কেমেস্ট্রি দেখে মনে হচ্ছিল! তাদের ভিতর বন্ধুত্ব ছারাও অন্য কিছু ছিল। রিনি তাকে কেনো ছারছিল সেটাই তাকে জিজ্ঞেস করে আলতাফ। তবে তার কোনো উত্তর পায়না। তারা এখানে বসে ডিনারের অপেক্ষা করছিল, তখন রিনির কাছে একটা ম্যাসেজ আসলে সে ওখান থেকে উঠে চলে আসে। রাকিব বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে- সে কি তাকে এই মোবাইল গুঁতাগুঁতি দেখতে ডাকছে?
পরের সিনে আলতাফকে হালকা করে চিন্তিত দেখা যায়। রিনি তার থেকে চিন্তা করার কারণ জানতে চাইলে সে জানায় পুলিশের চাকরি চিন্তার অভাব নাই। তখন রিনিকে রাকিব ফোন করলে সে একটু সাইটে আসে। তখন রাকিব তাকে একটু ধৈর্য ধরে থাকতে বলে, রেজা সন্দেহ করছে তাই তাকে ভাবার সময় দিতে বলে। কি থেকে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিনা। তবে তারা রেজাকে যে কালকের কেসটা থেকে যে ভাবেই হোক দূরে রাখতে চাইছে বা তার কাছে কি প্রমান আছে তা জানতে চাইছে সেটা কিন্তু ক্লিয়ার ভাবেই বোঝা যাচ্ছে।
কেউ একজন বেল দিলে রিনি দেখতে আসে। তখন দেখা যায় হোটেল ভয় তাদের খাবার নিয়ে আসছে আর তখনি রেজা রুম থেকে বের হয় হস্পিটালে যাওয়ার জন্য। সেটা আবার রিনি দেখে ফেলে। সে রুমে এসে কোনো রকম রেডি হয়ে রেজার রুম মানে ২৬৫২ নাম্বার রুমে এসে বেলে টিপ দিয়ে ব্যাক করে আর তখনি রেজা চলে আসে এবং রিনিকে দেখতে পায়। আসা করি সিন মিলাতে পারছেন। এরপরে কি হয়েছে সেটা আপনারা অলরেডি জানেন।
রিনি ছাদে এসে এটাকে ধরিয়ে দিয়াশলাইটা পাশেই রাখে। তখন নিচ থেকে একটা বাইকের শব্দে পিছন ঘুরতেই দিয়াশলাইটা নিচে পরে যায় আর সেই কারণেই রেজা তখন ধমক দিয়ে উঠে। রিনি তার বসের সাথে কথা বলতেছিল আর তাদের কথায় বোঝা যায় আগামীকাল নিউজের জন্য যে স্ক্রিপ্ট লেখা হয়েছে সেই স্ক্রিপ্ট থেকে নিউজ হবেনা এটা তাকে তার বস জানিয়ে দেয়। এবং তাকে ফায়ার করে দেওয়া হয়। কিন্তু কেনো তাকে কাজ থেকে ফায়ার করে তার কিছুই আমাদেরকে জানানো হয়না। একারনেই সে এখন রেজার উপর আরো রেগে যায়।
রিনি আলতাফের কাছে এসে বসে। তখন আলতাফ কোনো একটা কাজের কথা বলে উঠে আসে। তখন রিনিকে রাকিব ফোন করে জানায়- তাদের প্লান ফেল করছে। রিনি বলে- তাতে তার কি? সে কাল সকালের মধ্যে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে চায়। তাতে যাই হোক না কেনো। তখন রাকিব জানায় তাদের অন্য একটা প্লান আসে। এবার আলতাফ চলে আসায় রিনি ফোন রেখে দেয়। আলতাফকে হাপাতে দেখা যায়। সে কিছু একটা করে আসছে বলে মনে হচ্ছিল। আলতাফ এক প্যাক মেরে বলে- তুই ডিভোর্স আমি সিঙ্গেল। আমরা তো এখান থেকেই শুরু করতে পারি। রিনি বলে- সুরু তো আমরা তখনো করতে পারতাম। আলতাফ বলে- তখন বয়স কম ছিল। তারা তাদের নিজেদের তর্কেই আলাদা হয়ে গেলো। রাকিব রিনিকে টেক্সট পাঠিয়েছে ১৬৫২ নাম্বার রুমে যাওয়ার জন্য। সে তখনি এখান থেকে চলে আসে।
পরের সিনে দেখা যায় রিনি বেশ আতংকে ১৬৫২ নাম্বার রুম থেকে বের হয়ে তার হাতের ছাপ মোছার চেষ্টা করে। এবং তার রুমের ওয়াসরুমে এসে রাকিবকে ফোন করে আর রাকিব তাকে অপেক্ষা করতে বলে জানায় সে তার রুমে আসছে। আলতাফ এসে নক দিলে সে ওয়াসরুমের দরজাখুলে। রাকিব বেল দিয়ে ভিতরে ঢুকতে গেলে রিনি তাদেরকে নিয়ে ১৬৫২ নাম্বার রুমে আসে আর সেখানে নাতাশাকে বিছানায় পরে থাকতে দেখে। এরপরে রাকিব ম্যানেজারকে ফোন করে জানিয়ে দেয়, সে না বলা পর্যন্ত সাড়ে ষোলোতে জেনো কেউ না আসে। আর সে আসলেও জেনো জিজ্ঞেস করে আসে। এদিকে আলতাফ রেজাকে ফোন করে ১৫ মিনিটের ভিতর আসতে বলে। আলতাফ বলে- উকিলকে এবার বাঘে পাইছে। আলতাফ রিনিকে জিজ্ঞেস করে সে এই রুমে কেনো আসছিল। তখন সে বুঝে রাকিব তাকে ফাসিয়েছে, সে রেজার পালা কুত্তা।
পরের সিনে গ্রামের কিছু লোক দেখানো হয় এবং আবারো সেই অস্পষ্ট কথা বার্তা।
তিন সপ্তাহ আগের ঘটনা। রাকিব এই লোকটির সাথে কথা বলছিল। লোকটি হচ্ছে এম্পায়ার সু ফ্যাক্টরির মালিক। সে তার ছেলের শখের জন্য এই ফ্যাক্টরিটা দার করিয়েছে আর তাকে রাকিব জেলে পাঠাইছে কিন্তু কি কারনে পাঠাইছে সেটা ক্লিয়ার করা হয়না। সে রাকিবকে কোনো একটা প্রস্তাব দিছিল আর সেই প্রস্তাব নিয়ে কি ভাবছে সেটাই জানতে চাচ্ছে তার থেকে। সে জানায়- এখন সে যেখানে কাজ করছে সেখান থেকে যে বেশ খারাপ একটা এমাউন্ট পায় এমনটা না, তাতেই তার চলে। চাচা বলে- আপনার সম্পর্কে আমি জানি। প্রচণ্ড লোভী আপনি। আপনি উপরে উঠার জন্য সব করতে পারেন। প্রস্তাবটা সিমিত সময়ের জন্য, আজকের পর থেকে আর থাকছেনা। আপনি আমার নতুন কম্পানিতে আসবেন? নাকি আসবেন না?। সে বলে- সে এখন যেখান থেকে মাইনে যা পায় তার থেকে সে তাকে বেশি দিবে সেটা জানে। কিন্তু কম্পানি না দাঁড়ালে! তখন চাচায় একটা শেষ অফার দেয়, সে চায় তার এম্পায়ারের মতন কেপলারের ব্যবসাটাও শেষ হয়ে যাক। অর্থাৎ, রেজাকে তারা টাকা দিয়ে কিনে নিবে যাতে সে কেপলার কম্পানির কেস থেকে সরে জেয়ে সেটাকে ধ্বংস করে দেয়। আর রাকিব যদি এই কাজটা করাতে পারে! তাহলে তাকে চাচার কম্পানি থেকে ৩০% দেওয়া হবে আর তাকে সেই কম্পানির সিইও করে দেওয়া হবে। যদিও সে অলরেডি সেখানের সি.ই.ও পদে আছে। সে তার প্রস্তাবে রাজি হয় এবং তার থেকে সাহায্য চায়। তার টিভি চ্যানেল কাজে লাগাতে দিতে হবে আর তার পরিচিত একজন সাংবাদিক ব্যবহার করবে। কিন্তু তার জন্যেও একটা অফার লাগবে।
এরপরের সিনে দেখা যায়, হোটেলের কোনো এক বয় এসে এই ক্যামটা থুয়ে যায়। যেটার ফুটেজ লিংক রাকিবের কাছে ছিল। আর হ্যা! সেই প্রথমে যখন রাকিবকে নাতাশা সার বলার কারনটা বুঝতে না পারলেও আশাকরছি এখন বুঝতে পারছেন। সে একটা অফিসের সিইও। আর সে যে তার একজন পরিচিত সাংবাদিককে কাজে লাগানোর কথা বলছিল সেটা হচ্ছে রিনি।
এরপরের সিন গুলো অলরেডি আপনারা দেখেছেন। তবে এর মধ্যে রাকিব রিনির থেকে উঠে এসে রেজার সাথে কথা বলে। এবং তার থেকে কেপলারের কিছু প্রমান জেনে নেয়। যা দিয়ে সে আগামীকালকের কেস লরবে। রাকিব বলে- তার রুম রেডি আছে। রেজা শ্রমিক নেতা গফফারকে সময় মতো আদালতে পৌছয় জেন, সেটা দেখতে বলে আর জিজ্ঞেস করে তার টাকাগুলো পৌঁছে গেছে কিনা! সে জানায় তার নিজ হাতে দিয়েছে। হয়তো সে রেজাকে কিনে নিছে। রাকিব জিজ্ঞেস করে তার পিস্তলের লাইসেন্স হইছে কিনা! সে বলে দিয়েছিল। সে জানায়- হ্যা হইছে, তার কাছে আছে।
রাকিব বাহিরে এসে গফফারের সাথে দেখা করে আর তাকে কিছু টাকা দেয়। গফফার বলে- কালকে না দিলেন আজ আবার কেন! সে সময় মতন কোর্টে চলে আসবে। কিন্তু রাকিব সাহেব বলে- সে কোর্টে যাবে ঠিকি তবে সেটা বাহিরে, ভিতরে ঢুকবেনা। বাহিরে সে শ্রমিক দিয়ে ক্ষতিপূরণের জন্য আন্দোলন করবে। আর ওখানে একজন মহিলা সাংবাদিক আসবে, সে যে ভাবে ভিডিওতে বলতে বলবে সেই ভাবেই জেন বলে। গফফার বলে- আপনাকেতো বিশ্বস্ত কুত্তা ভাবছিলাম।
এরপরের সিনে রেজা রুমে আসে আর ক্যাম দেখতে পায়। আর যা যা করছিল সবই রাকিব দেখছিল। এরপরে তো ক্যামেরা সরিয়ে ফেলে। রাকিব মাথা ঠান্ডা করার জন্য বাহিরব আসলে আলতাফ তাকে ফোন করে আর সে বুঝতে পারে রিনি তাকে রুম ডেটে ডাকছে। আলতাফ কিছু একটা আন্দাজ করতে পারছিল তাই রাকিব তাকে জানায়- রেজার কালকে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। তাই সে আজকে ফুর্তি করার জন্য সাড়ে ষোলোতে একটা রুম বুকিং করছে। কেসের আগে এই ধরনের লোকের কিছু বাতিক থাকে। রিনি এখানে কেনো জানতে চাইলে সে তা রিনিকেই জিজ্ঞেস করতে বলে। আর তখনি উপর থেকে দিয়াশলাই পরে আর রেজা ধমক দিয়ে উঠে। তবে যাওয়ার আগে রাকিবকে সুন্দর একটা কথা বলে যায়।
এরপরে রাকিব রুমে এসে রিনিকে ফোন করে জানায়- তাদের প্লান ফেল করছে, রেজা সব জেনে গেছে। রাকিব কি প্লান সম্পর্কে তাকে বলছে সে বুঝতে পারেনা। সে বলে- আলতাফ যে তার ডেট সেটা তাকে জানায়নি কেনো। রিনি বলে- আলতাফ কি করছে। রাকিব রিনির সাথে কথা শেষ করে নাতাশার রুমে আসে আর তখন রুম থেকে সেই হোটেল বয়টাকে জেতে দেখি। রাকিব রুমে এসে জানায়- রেজা তাদের প্লান সম্পর্কে জেনে গেছে। অর্থাৎ, নাতাশাও তাদের সাথে জড়িত। আর তা হয়েছে তার কারনে। রেজা তাকে ফাইল ঘাটতে দেখছে একারনেই সব বুঝে গেছে। ওখান থেকে ক্যামেরাও সরিয়ে ফেলছে। সময় নেই। সে জেনো গোসল না করে, আর যে ছবিগুলো তুলছে সেগুলো চায়। তখন নাতাশা ক্যাব বুকিং করতে গেলে তার থেকে রাকিব ফোন নিয়ে নেয় আর জানায়- একটু পরে রিনি নামের এক সাংবাদিক আসবে আর সেখানে সে জেনো ভিডিওতে বলে, রেজা তাকে মিটিংয়ের নাম করে তাকে রেপ করছে। তারপরে থানায় যেয়ে তার বিরুদ্ধে কেস করবে। নাতাশা তার প্রস্তাবে রাজি হয় না, তাকে জেনো এই কাজে জোর না করে তাই তাকে ব্লাকমেইল করে। সে এখন চাইলে কেপলারের চেয়ারম্যানকে সব বলে দিতে পারে আর তাদের দুজনের ফোনে কথা বলার রেকর্ডও তার কাছে আছে। রাকিব এরপরেও তাকে জোর করলে সে রেজার পিস্তলটা তার দিকে তাক করে। রেজা যাবার সময় ভুল করে পিস্তলটা রেখে যায়। এবার নাতাশা তার ফোন চাইলে রাকিব ফোনটা দিচ্ছিলনা। হঠাত করে রাকিব তাকে ধরে তার দিকেই পিস্তল তাক করে।
পরের সিনে গফফার ফোন করে জানায়- কেউ কালকে গ্যাঞ্জাম করতে রাজি হচ্ছেনা। সে তাকে টাকা দিয়ে লোক ম্যানেজ করতে বলে। কিন্তু সে তার রেপুটেশনের চিন্তা করে এরকমটা করতে পারবেনা। তখন সে গফফারকে বলে- রেজা তাকে ফোন দিছিল তাই না! গফফার আর কিছু বলতে গেলে সে ফোন রেখে দেয়। এরপরে রিনি এসে রাকিবকে ফোন করে আর এরপরে কি হয় তা দেখেছেন।
সিন বর্তমানে। যখন রিনি আর আলতাফ বাহিরে আসে তখন তাদের কথায় বোঝা যায় আলতাফ রিনিকে দোশ দিচ্ছে। রিনি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে সে রাকিবের সাথে রেজাকে ফাসাতে চাইলেও সে জানতোই না রাকিব এরকম কিছু একটা করবে। সে রিনিকে সন্দেহ জনক ভাবে বিশ্বাস করে। তখন রিনি বলে- হয়তো! তোকে যখন ডাকলাম তখন তো তুই রাজি ছিলিনা। পরে কেনো রাজি হলি? তোর কোনো প্লান ছিল না তো? আর সেটা কি প্লান? আলতাফকে বেশ সন্দেহ বলে মনে হচ্ছিল। রেজা বলছে তার ফোনটা খুব দরকার, ফোনটা নিয়ে কোথায় গেলো। তখন রাকিব বলে- আপনাকে এখান থেকে থানায় জেতে হবে। নিশ্চিত থাকুন। কাল কোর্টে আপনার যাওয়া হচ্ছেনা। রেজা বলে- আপনি সিউর? তখন রাকিব বলে- এখান থেকে বের হতে হলে তো আমাকে প্রস্তাব দিতে হবে। তখন রেজা তার অফারটা মন দিয়ে শুনতে বলে। গফফারের সঙ্গে তার কথাবার্তার রেকর্ড আছে। সে যদি কাল কোর্টে না থাকে! তাহলে তার পরের দিন সে ষড়যন্ত্রের মামলায় কাঠগড়ায় থাকবে। তখন রিনি আর আলতাফ আসলে তাদের থেকে তার ফোনটা চায়। তার স্ত্রী হস্পীটালে ভর্তী। তখন রিনি বলে- তাদের এখন সব কিছু শেষ করা উচিৎ। রেজা কথা বলতে গেলে তার হাত থেকে দিয়াশলাইটা পরে যায়। তখন রিনি জানায়- তার কাছে তাদের কিছু চাওয়ার আছে। তখন রেজা তার দিয়াশলাই তুলতে গেলে সেখানে আর একটা দিয়াশলাই দেখতে পায়। যেটা ছিল আলতাফের, সে বলে এই লাইটার টা সে কখনো ভুলতে পারবেনা। এটার উপর আলতাফের ফিঙ্গার প্রিন্ট আছে হয়তো নাতাশারও ফিঙ্গার প্রিন্ট আছে। এবার তার ফোনটা নিয়ে একটু বাহিরে যায়।
দৃশ্যপট এখানে আসে। কিছু সিন আর অস্পষ্ট কিছু কথা। হয়তো ভাবছেন হুদাই এই সিনগুলো দেখাচ্ছি, কিন্তু শেষে এর কারণ বুঝতে পারবেন।
২ বছর আগের ঘটনা। আলতাফ লিফটে ঢুকতে গেলে তখনি নাতাশা চলে আসে। আর এখানেই প্রথম দেখা। আর আলতাফ আসছে রাকিবের কাছে অফিসের কিছু কাগজ পত্র নেওয়ার জন্য। এখানে দেখা যায়, আলতাফ যে ডুকুমেন্টস এর জন্য আসছে সে তা পায়না। তখন রেঘে মেঘে কাগজ গুলো উড়িয়ে দেয়। আর দেখা যায়, এই ডুকুমেন্টের সাথে রেজাও জড়িত। মানে রেজাই তাকে তার চাওয়া বাকি গুলো ডুকুমেন্ট দিতে পারবে। আর তার এই ডুকুমেন্ট গুলোছিল সেই এম্পায়ার আর কেপলার কম্পানির কেসের। যেটা সিরিজের শুরুতেই ধ্বসে পরছিল। এরপরে ওখান থেকে আলতাফ চলে আসে। নাতাশা তাকে ফোন দিয়ে কফির অফার করে আর সে বলে- মেয়েদের আবদার তো! না করা যায়। আমি নিচে আছি আপনি চলে আসেন। ২ বছর আগেও তারা এই কেপলার আর এম্পায়ারের কেসটা নিয়েই কথা বলছিল। সব শেষে আলতাফ নাতাশার আজকের রাতের প্লান জানতে চাইলে সে বলে- তার স্বামীর সাথে সময় কাটানো। আলতাফ বলে- আপনার স্বামীও আছে? হুট করে তার সাথে দেখা করার কারন জিজ্ঞেস করলে সে জানায়- তার সাথে দেখা করে কথা বলে ভালো লাগলো তাই এখানে বসা।
পরের সিনে আলতাফ আর রেজা দেখা করে। এখানে সেই ডুকুমেন্ট নিয়েই কথা হচ্ছিল। তখন এই কাঠি ধরানোর জন্য আলতাফের থেকে লাইটার চায়। তখন তার লাইটারটা রেজার পছন্দ হয়ে যায়। রেজা তাকে ২টা বান্ডিল দেয় কিন্তু সে তা নিতে আগ্রহী না। ঠিক কয়েক ঘন্টা পরে আলতাফের কাছে ফোন আসে তাকে অফিস থেকে ট্রান্সফার করা হইছে। আসা করি বুঝতেই পারছেন কামডা করলো কে। হ্যা! রেজাই।
১০ ঘন্টা আগের ঘটনা। গফফার এম্পায়ার সু ফ্যাক্টরি নিয়ে শ্রমিকদের এক করে বক্তৃতা দিচ্ছিল। তখন এখান থেকে যাওয়ার পথে আলতাফ ব্যাপারটা লক্ষ করে। এরপরে সে গফফারের সাথে কথা বলে। আলতাফ জানতে চায় সে এই ধর্মঘট আর কতক্ষণ করবে। তখন গফফার বলে- দুপুরেই বন্ধ করে দেওয়ার কথা। তখন আলতাফ তাকে এই ধর্মঘট কালকে পর্যন্ত চালিয়ে যেতে বলে। আর তাদের দাবীর ভিতর ক্ষতিপূরনের দাবিটাও ঢুকিয়ে দিতে বলে। আর এসবের পিছনে রয়েছে আগামীকালের কেপলার আর এম্পার কম্পানির শেষ শোনানি। গফফার ব্যাপারটা বুঝতে পারে আর সে জানায়- আজকে রাতে ভায়োলেট ইন হোটেলে কিছু একটা হবে বলে আন্দাজ করতে পারছে। আর সে কারনেই আলতাফ রিনিকে না বলা সত্তেও হোটেলে আসে তার সাথে ডেট করতে। আশাকরি বুঝতে পারছেন! সে না চাইতেও কেনো হোটেলে আসছে।
এরপরের সবি জানেন। মনে আছে! রিনি কথা বলার জন্য উঠে চলে গেলে আলতাফ বলছিলো- সে কি তাকে এই ফোন গুঁতাগুঁতি দেখানোর জন্য ডাকছে? আর তখনি সে ওয়াসরুমে এসে গফফারকে ফোন করে। তখন আলতাফ বলে- তার নাতাশার সাথে কথা বলা জরুলি তাই কোনো ভাবে রুম থেকে রেজাকে বের করতে বলে। এরপরের সিনে যখন রিনি রাকিবের সাথে কথা বলার কারনে ওয়াসরুমে আসে তখন আলতাফ বাহিরে এসে রাকিবকে ফোন করে। এরপরে কি কথা হয়েছে তাদের মধ্যে তা সবি জানেন।
এরপরের সিনে যখন এখান থেকে আলতাফ চলে আসে তখন তাকে দেখা যায় সব রুমেই বেল দিচ্ছে, এরপরে যখন নাতাশা দরজা খুলে, ঠিক তখনি আলতাফ এসে ঢুকে পরে। স্বাভাবিক ভাবে ইন্ট্রডিউস হয়ে মেইন কথায় আসে। রেজার কাছে রাকিব ঠিক কি চায়! নাতাশা কিছুই বলেনা। তখন আলতাফ নাতাশাকে এভাবে ধরতে গেলে তার হাত থেকে লাইটারটা ছিটকে নিচে পরে যায়, যেটা পরবর্তীতে রেজা পায়। তবে কেনো জানি নাতাশাকে বেশ আনমনা মনে হচ্ছিল। আলতাফ বের হয়ে আসলে সেটা সেই হোটেল বয় দেখে ফেলে। আর একারনেই আলতাফ রিনির কাছে এসে বেস হাপাচ্ছিল আর সে বলছিল তুই ডিভোর্স আমি সিঙ্গেল। আমরা তো এখান থেকেউ সুরু করতে পারি। আশাকরি সিন মিলাতে পারছেন। এরপরে তারা এই রুমে চলে আসে আর রেজাকেউ ফোন করে নিয়ে আসে।
সিন বর্তমানে। রেজা চলে যেতে চাইলে তারা রেজাকে আগামীকালের কেসটা হেরে যেতে বলে। রেজা বলে- কেসটা না হয় হেরে গেলো কিন্তু এই বডির কি হবে! তখন রিনি এখান থেকে উঠে চলে যায়। রিনি ভিতর থেকে আলতাফের গানটা এনেই রেজার দিকে তাক করে, আর বলে- সে এখনি ফোন করে জেনো বলে, সে কালকের কেসটা লড়ছেনা। আর বলে- সে এখানের কাউকে বিশ্বাস করেনা। এখানে একটা মেয়ের লাশ পরে আছে আর তারা শকুনের মতন কামড়াকামড়ি করছে। রিনি রাকিবকে নিয়ে চলে যায় নিচ থেকে লোক নিয়ে এসে ডেড বডি সরানোর জন্য। আলতাফ রেজাকে বলে- তার স্ত্রী কি তার এই মেয়ে কেলেঙ্কারি সম্পর্কে জানেনা? নাকি তা এড়িয়ে যায়। তার স্ত্রী নরমালি কিছু হয়ে গেলে তাকে ফোন করেনা কিন্তু আজকে সে নিজেই ফোন করে ডেকে নিলো, ব্যাপারটা একটু অভাক করার মতন না! কোনো ভাবে কি তার স্ত্রীও কি তাকে ফাঁসাতে চায়? আর তখনি বাহির থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। আর দেখা যায়, গফফার আয়শাকে ফোন করছে।
পরের সিনে। অস্পষ্ট কথাবার্তা আর কিছু ফুটেজ।
এরপরের সিনে দেখা যায়। সেইসব সাদাকালো আর অস্পষ্ট কথাগুলো জাকে বলছিল সে আর কেউ না, আয়শা। এখানে তাদের থেকে জানতে চায়, সেইদিন সকালে ওই এম্পায়ার কম্পানিতে কি কি হইছিল আর সেইগুলাই তাদের থেকে ভিডিও করে সারা পৃথিবীর লোককে জানাতে চায়। আর সাদাকালো প্রতিটা সিনের পিছনের ভয়েজগুলো ছিল আয়শার এই শ্রমিকদের থেকে ইন্টার্ভিউ নেওয়ার।
সিন হোটেলে। রিনি রাকিবকে জিজ্ঞেস করছে- সে যে নতুন জবে ঢুকবে তার তথ্য তার অফিসে কে জানিয়েছে। রাকিব জানায় সে কিভাবে বলবে। রিনি বলে- এ কথা এক মাত্র সেই জানতো, তাই এটা একমাত্র সেই জানাতে পারে। তখন এই ব্যাপার নিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে পিস্তল থেকে গুলি বেড়িয়ে যায় আর সেটার শব্দই তখন আলতাফ রেজা শুনে এখানে চলে আসে। আর আশাকরি বুঝতে পারছেন, রিনিকে জব থেকে ফায়ার করার কারন!
৮ ঘন্টা আগের ঘটনা। আলতাফ আয়শার সাথে দেখা করে। এখানে গফফার আয়শাকে বলে- আলতাফ একজন অফিসার সারাও তার একটা পরিচয় আছে আর সেটা হচ্ছে কেপলারের কেছে সেই আইও ছিল। আয়শা এরপরের কথা জানতে চাইলে আলতাফ বলে- আপনার স্বামী আমাকে বদলী করে দেয়। গফফার আয়শাকে বলে- আজ রাতে ভায়োলেট ইন হোটেলে কিছু একটা হতে যাচ্ছে তাই তাদের ওই হোটেলে নজর রাখতে হবে। গফফার আয়শাকে তার বাবার সাথে কথা বলে আলতাফকে এখানে বদলি করানোর চেষ্টা করতে বলে। এরপরে সিন আসে এখানে আর এখানে তাদের ভিতর কি কথা হয় তা সবি জানেন। আয়শা আর তার বাবার কথায় বুঝতে পারি, তার বাবা আর তার স্বামী খারাপ কাজ করে বেড়ায় আর তা সে ঠিক করার চেষ্টা করে। আয়শা আসল কথায় আসে। তখনি গফফার চলে আসলে সে ফোন রেখে দেয়। গফফার বলছে- খেলাতো জটিল হয়ে গেছে কিছুই বুঝতে পারছেনা। অবশ্য তখন নাতাশাকে ভিতরে ঢুকতে দেখে সে এবার সব বুঝতে পারে। আয়শা বুঝতে পারে, রেজা নাতাশার সাথে ডেট করে। এরপরে আয়শার সরিল বেশি খারাপ হলে সে চলে আসে। গফফার সাড়ে ষোলোতে আসার চেষ্টা করে তবে আর আসতে পারেনা। সাড়ে ষোলোতে শুধু ভিআইপি গেস্টরাই আসে। অন্য কেউ আসতে পারেনা। এরপরে আয়শা তার অফিসে আসলে তার কাস উঠে আর কাসির সাথে রক্তও বের হয়। তখনি আফরা রেজাকে ফোন করছিল কিন্তু সে তার কাজে বিজি থাকায় সেটা আর ধরতে পারেনা। আয়শা বেশি অসুস্থ হয়ে পরায় তখন তারা হস্পিটালে চলে আসে।
পরের সিনে যখন আলতাফ রেজাকে কিছুক্ষণের জন্য বের করতে বলে গফফারকে, তখন সে আয়শাকে ফোন করে আর তাকে কিছুক্ষণের জন্য রেজাকে রুম থেকে বের করার চেষ্টা করতে বলে। এরপরে যখন রেজা তার স্ত্রীর ব্যপারে জানতে পারে, তারপরে কি হয় সবি দেখছেন।
সিন বর্তমানে। রেজা এখানের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে- এই খুনটা সেও করতে পারে। তার একটা কাজে সে আবারো রুমে আসে, সে জেনে গেছিল নাতাশা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে তাই সে তাকে মেরে দিতে পারে। তবে এখানে ২টা ব্যপার আছে- প্রথমত সে তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে কেনো মারবে আর ২য় তো তার কাছে তার পিস্তলি ছিলনা, সেটা হারিয়ে গেছিল দুপুরে। রাকিব বলে সেটা সম্ভব না। কারন সে যখন তাকে বলেছিল তার পিস্তলের লাইসেন্স আসে কিনা তখন সে বলছিল তার কাছে আসে। তখন সে তার পিস্তল হারানোর জিডি রিপোর্ট দেখায়। আর সে বলে - তখন সে বলেনায় তার পিস্তল সাথে আছে, সে বলছিল তার লাইসেন্স সাথে আছে।
এবার বলে- নাতাশাকে রাকিবও মারতে পারে। সে রেগে নাতাশার রুমে যেয়ে তাকে মেরে দেয়। কারণ নাতাশার কারনেই তার প্লান ফেল করছে। এরপরে পিস্তল এখানেই রেখে যায় রেজাকে ফাঁসানোর জন্য। এবার বলে- নাতাশাকে রিনিও মারতে পারে। রিনি তার চাকরি হারানোর পরে উন্মদ হয়ে উঠছিল। তখন রেজার বিরুদ্ধে ভিডিও স্টেটমেন্ট নেওয়ার জন্য নাতাশাকে সে জোড় দিচ্ছিল। কিন্তু নাতাশা রাজি না হওয়ায় সে তাকে মেরে দেয়। আবার এই মাডারটা আলতাফও করতে পারে। কারণ নাতাশা আলতাফকে রিজেক্ট করছিল।
আলতাফ রেজার কালকের কেসের হেয়ারিং এর ব্যপারে জানতে চাইলে, রেজা সবাইকে একটা প্রস্তাব দেয়। তারা সবাই এই রুমে আসছে, তাই তারা কোনো না কোনো ভাবে খুনি। তাদের এখন উচিৎ বডিটাকে সরে ফেলানো। আলতাফ তার প্রস্তাবে রাজি হয়না। সে চায় এটাকে তদন্ত করা হোক। কিন্তু যেহেতু এখানে তাদের রেপুটেশন জড়িয়ে আছে, তাই রিনি তার প্রস্তাবে রাজি ছিল আর তখনি রুমে কলিংবেল বেজে উঠে। দেখা যায় বেল বাজিয়েছে হোটেল বয়। রাকিব তাকে বলছে- সে কেনো আসছে, আর তাকেও তো আসলে ফোন করে আসতে বলা হয়েছিল। সে জানায়- তাকে ম্যানেজার পাঠিয়েছে, অনেক্ষন হয়ে গেলো কোনো অডার আসছে এই রুম থেকে। এখানে তাদের কথায় বুঝতে পারি, রাকিব এই হোটেলের কোনো এক বড় পদে আছে বলে মনে হচ্ছিল। কেননা সে তাদের ফায়ার করে দিতে পারে এরকম থ্রেটও দেয়। তখনি রেজা আসে আর তারা রুম থেকে অডার করবে বলে শফিককে পাঠিয়ে দেয়। রেজা রাকিবকে বলে- ভালো ছেলে। তাকে তাদের কাজে লাগাতে হবে, মানে নাতাশার কেছ তার উপর চাপিয়ে দিবে আর সে না হয় ফ্রি তার হয়ে কেস লরবে। বেরিস্টারদের সব বেরিস্টারি কারবার।
নিতে জাচ্ছে গল্পের নতুন মোড়। শফিক নিচে আসলে তাকে বেশ চিন্তিত মনে হয়। সে কাউকে একটা ফোন করে। সিন সাড়ে ষোলোতে আসলে দেখা যায় নাতাশার ফোনে হানিবানি নামের একটা নাম্বার থেকে ফোন আসছে আর তার ফোনের ওয়েলপারে শফিক আর নাতাশাকে ক্লজ অবস্থায় দেখা যায়। যেটা দেখে এরা ৪ জনি আমাদের মতন অবাক।
ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা গান দিয়ে তাদের দুজনকে দিয়ে সিন শুরু হয়। তাদের দৈনিক কিছু সিন দেখানো হয় আর তারা চাকরী খুজছিল। শফিক নাতাশাকে জানায় তার ২টা জায়গা থেকে ম্যানেজার পোষ্টে অফার আসছে। তারা বেশ খুশি আর তাদের কিছু রোমান্টিক দৃশ্য দেখানো হয়। এরপরে শফিক তাকে বিয়ের অফার করে। তারা বিয়ের কেনাকাটাও শুরু করে দেয়। শফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের পদে ভায়োলেট ইনে চাকরি পায়। শফিকের কাজের প্রেশার থাকায় তাদের বিয়ের তারিখটা পিছিয়ে দেয়। আর তখন নাতাশা তাকে জানায়- সে রেহমান গ্রুপের একটা নতুন কম্পানিতে হেড অফ পিয়ে হিসেবে জব পেয়েছে। যেটা ছিল কেপলার কম্পানিতে। শফিক বেশ খুশি হয় কিন্তু নাতাশাকে খুশি বলে মনে হচ্ছিলনা।
শফিক কাজ করছিল আর তখনি ম্যানেজার চলে আসে। সে তাকে বলে- তাকে সাড়ে ষোলো সার্ভিসে রাখা হয়েছে কারণ! এখানে বেশ বড় মানুষরা আসে আর এখানে তাকেই খাবার সার্ফ করা থেকে শুরু করে সব দেখে রাখতে হবে। এখানে তাদের প্রাইভেসি মেন্টেন করাটা চ্যালেঞ্জিং তবে প্রয়োজনে সেই প্রাইভেসি তারা বিক্রিও করে। এরপরে তাকে দিয়ে ওই গোপন ক্যামেরা রেজার রুমে ফিট করে। নাতাশাকে রেজার সাথে দেখা করতে দেখে সে সব বুঝে যায়। আর সে তার সরিল খারাপের কথা বলে সাড়ে ষোলো তলার সার্ভিস থেকে সরে যেতে চায়, কিন্তু রাকিব তাকে ছারেনা। তাকে হিডেন ক্যামেরার ব্লাকমেল করে সাড়ে ষোলো তলার সার্ভিসে রেখে দেয়। আর তখনি রাকিবকে পিছন থেকে নাতাশা দেখে রুমে আসতে চায়।
এখন যে সিন গুলা দেখবেন তা আপনি কখনই ভাবেন নায়, এতো কিছুর ভিতর এটাও হচ্ছিল। যে ছেলের যার সাথে বিয়ে হবার কাথা, যাকে ভালোবাসে, তাকেই তার সেই মানুষটাকে অন্য একটা রুমে নিয়ে যাচ্ছে আর সেই তাদের প্রাইভেসি প্রটেক্ট করছে প্লাস তা লিকও করছে কিন্তু কিছুই করতে পারছেনা। রুম থেকে বাহিরে এসে অঝোরে কাঁদতে থাকে। নাতাশাও গোসলের কথা বলে ভিতরে এসে কাঁদতে থাকে আর তখনি সেখানে রেজা ঢুকে পরে। সে না চাইতেও তার সাথে সে,,,,, এদিকে শফিকের শরিল খারাপ হতে থাকে। পরে যখন সে উপর থেকে লাফ দিতে যাবে! ঠিক তখনি রেজার রাস্তা থেকে ধমক শুনে পিছিয়ে আসে। রেজা যাবার পরে শফিক রাত্রের খাবার নিয়ে যখন সাড়ে ষোলোতে আসে, তখন আলতাফকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে। সে রুমে আসলে নাতাশা তাকে কিছু বলবে কিনা জিজ্ঞেস করে। সে জানায় ওখানে হিডেন ক্যামেরা লাগানো আছে। নাতাশা বলে- ক্যামেরা আছে বলেই সে এখানে। নাতাশা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, তাকে বসে কথা বলতে বলে কিন্তু শফিক তার সাথে একজন গেস্টদের মতন আচরণ করে। আর তার সাথে বেশি কথা না বলে বের হয়ে আসে।
এরপরেই এখানে রাকিব চলে আসে। তারা রুমের ভিতর কি করে সেটা ভালো করেই জানেন। আর বাহিরে শফিকের ভিতরটা জেনো ফেটে জাচ্ছিল। সে একদম ফ্রিজ হয়ে যায়। এদিকে দেখা যায় নাতাশা সে নিজেকে শেষ কিরে দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা। বাট সব ভয়ভীতিকে চাপা দিয়ে তার গলার ভিতর গুলি চালিয়ে দেয়। আর এভাবেই শেষ হয়ে যায় নাতাশা। এটাছিল সিরিজের বড় টুইস্ট। যেটা নিয়ে সেই প্রথম থেকে মনের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছিল, তাকে কে মারলো। এই সুইসাইড করা মেয়েটাকে নিয়ে তারা নিজেরা কত কিছুই না করলো। যাইহোক! স্ক্রিন কালো হয়ে সিন আসে ২ দিন পরে। পিছনের একটা নিউজে বলছে- শ্রমিকদের এম্পায়ার কম্পানি আইনানুযায়ী তারা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য নয়। আর এম্পায়ার কম্পানি থেকে যে দায় তুলছিল কেপলার ডেভেলার্স এর উপর তা থেকে কেপলারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের ক্ষতিপূরণ আর পায়না। শ্রমিক নেতা আব্দুল গফফার তাদের ক্ষতিপূরণের আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে।
রাকিব আর এম্পায়ার কম্পানির মালিকের কথা যা বুঝতে পেরেছি রাকিব তার চুক্তি কিছুটা হলেও সম্পন্ন করতে পারছে আর এদিকে আলতাফ আর রিনির কথায় বুঝাযায় রিনি এখন চ্যানেলের হেড হয়ে গেছে। রেজা তার স্ত্রীর বেশ টেক কেয়ার করছে। এরপরের সিন এবং একটা নিউজের কথায় বোঝা যায়। নাতাশার খুনের জন্য শফিককে দায়ীকরা হয়েছে। বেচারা! না পেলো ভালোবাসার মানুষটাকে! না নিজেকে পারলো আগলে রাখতে। এটা কাল্পনিক হলেও সত্ত এই যে, বর্তমান সময় এই গুলাই হচ্ছে। আকাম করছে একজনে তো দোষ পরছে, যে কিছুই জানেনা তার উপর। সিরিজটি এখানেই শেষ হয়ে যায়।
....
এখানে আপনার আউন্ট্র দিবেন
THE END
< Social Media >