Notification texts go here Contact Us Join Now!

Agochora (অগোচরা) S01 Full Web Series Explained Script in Bangla - Entertain Times

Agochora (অগোচরা) S01 Full Web Series Explained Script in Bangla - Entertain Times | Agochora download link
Estimated read time: 19 min
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

এন্টারটেইন টাইমস প্রতিবেদক: Agochora (অগোচরা) S01 Full Web Series Explained Script in Bangla - Entertain Times

Agochora () S01 Full Web Series Explained Script in Bangla - Entertain Times


বিঃদ্রঃ স্ক্রিপ্ট লেখায় কিছু ভুল থাকতে পারে যেগুলো আপনারা ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং কিছুটা নিজে সাজিয়ে কমিয়ে, বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ! এটা তো আপনি একা ব্যবহার করছেন না, আপনার মতন আরো কিছু লোক এখান থেকে স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে।

....
আপনার ইন্ট্র দিন

গল্পের শুরুতে আমদের একটা সিন দেখেনো হয়। যেখানে একটা ছেলে গুলির থেকে বাচার জন্য পালাচ্ছিল, যখনি তার গায়ে একটা গুলিলাগে আর তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পিছনের একটা ভয়েস তাকে একটা মেয়েকে মেরে দিতে বলে। মেয়েটি তার লাইফটা শেষ করে দিছে তাই তাকেও সেই মেয়েটাকে মেরে দিতে বলে।

এখানে ৪ টি ছেলে একটি বাজি ধরে, কার নিশানা সব থেকে বেশি ভাল তাই নিয়ে। এখানে আমরা গল্পের মেইন ক্যারেক্টার সামাদকে দেখতে পাই। এবং তার বন্ধু মুন্নাকে দেখতে পাই। তো এই বাজিতে সামাদ দূর থেকে পাথর ছুরে জিতে জায়। তাতে তার বন্ধু মুন্না খুব খুশি হয়। মুলত তারা সেই বাজির টাকা দিয়ে নেশা করত। 

এরপরের সিনে আমরা সামাদের প্রেমিকাকে দেখতে পাই। যেখানে তার প্রমিকার নাম ছিল রিয়া, কিন্ত সে ছিল হিন্দু আর সামাদ ছিল মুসলমান। এখানে তাদের কথায় বোঝাযায়- রিয়া চাচ্ছে সামাদ তাকে নিয়ে পালিয়ে জাক। জার জন্য রিয়া সামাদকে তারাতাড়ি একটি চাকরি নিতে বলছিল। কিন্তু সামাদের গ্রাজুয়েশন শেস না হলে কিভাবে চাকরি করবে সেটাই রিয়াকে বুজাচ্ছিল৷ তারপরে আমরা তাদের কিছু খুনশুটি ভালোবাশা দেখি যেখানে মুন্না তাদের পাহারা দিচ্ছিল। মুন্না মটর সাইকেল এর শব্দ পেয়ে সিটি দিলে সামাদ সেখান থেকে চলে আসে।

তার পরে আমরা আরেক কারেক্টার এর সাথে পরিচয় হই। জার নাম ছিল মাইনু। যে তাদের এলাকার বড় ভাই ছিল। তাদের সাথে মাইনু ভাই এর দেখা হলে। তারা মাইনু ভাই এর সাথে তার সুটিং জায়গায় জায়৷ সে তাদের বলছিল, সে সুটিংয়ে যাচ্ছে, যার জন্য তারা ভাবছিল তারা এফডিসিতে যাবে। কিন্ত মাইনু ভাই তো গিয়েছিল শুট প্রাক্টিস এ একটি শুট ফেডারেশনে। যেখানে বন্দুক দিয়ে নিশানা প্রাক্টিস করা হতো। তো এখানে মুন্না তার নিশানা পরিক্ষা করার জন্য মাইনু ভাই এর বন্দুক দিয়ে তার নিশানা করে, কিন্তু সে ফেল করে। তারপরে সামাদ নিশানা করতে গেলে সে প্রথমেই এক বারে সঠিক নিশানা লাগায়, যার জন্যে মাইনু ভাই ও তার বন্দু মুন্না অবাক হয়ে যায় এবং সে সামাদকে আবারও নিশানা করতে বলে। সামাদ প্রতিবারি তার নিশানা ঠিক জায়গা লাগায়। তাই মাইনু ভাই তাকে এই ফেডারশনে এসে প্রাক্টিস করতে বলে। কিন্তু সামাদ তার কাছে চাকরি চায়। মাইনু তাকে বুজায়, সে জদি সাফ চেম্পিয়ান হয়, তাহলে তাকে অনেক স্পন্সার করবে আরও কত কি বুজিয়ে তাকে শুটার ট্রেনিংএ আসতে বলে। এমনি সামাদ এর কিছু করার দরকার ছিল তাই সে রাজি হয়ে জায়। সুট প্রাক্টিস আর রিয়ার সাথে দেখা করতে তার সময় ভালোই জাচ্ছিল।

একদিন মাইনু ভাই এক কোচ এর সাথে দেখা করিয়ে দেয় সামাদ কে। তখন সামাদ ভাল শুট করলেও সে শুটিং এর নিয়ম অনুসারে দারাতে পারছিলনা। তাই সেই কোচ তার অনেক ভুল ধরে। সামাদ কোচকে যখন বলে স্যার আমি তো ভাল শুট করি, তখন কোচ রাগ করে চলে জায়।

পরের সিনে আমরা দেখতে পাই সালেকি নামে এক শুটার কে, যে খুব ভাল শুট করে। তার সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন কোচ। এবং সবাই তার সাথে প্রতিযোগিতায় লেগে পরে। একে একে সবাই সালেকির কাছে হেরে জায় কিন্তু যখন সামাদ আসে। তখন তার সাথে সালেকি পারে না। এবং  সামাদ জিতে জায়।
আমরা দেখতে পাই সামাদ অবশেষে ন্যাশনালেও জিতে জায়। এবং মেডেল পায়, সেই মেডেল তার প্রিয়তমা রিয়াকে পরিয়ে দেয়। তখন রিয়া বলে আমাকে মেডেল না পরিয়ে মালা পরিয়ে দেও। কারন রিয়ার বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য রিয়াকে চাপ দিচ্ছিল, কিন্ত সামাদ আবার তার কাছে সময় চায় এবং তাকে মানিয়ে নেয়।

পরের  সিনে সামাদ ন্যাশনালে জিতে মেডেল আনার খুশিতে সামাদের বন্ধু মুন্না ও গ্রামের সাবাই আনন্দ করতেছিল। তখন আমরা আরেক কেরেক্টারের সাথে পরিচয় হই জার নাম সজল, সে এই রাস্তা দিয়ে রিক্সা করে একটি মেয়ে নিয়ে জাচ্ছিল। এই সিনটার কথা মনে রাখবেন এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সিন। জাই হোক! মুন্না তখন সজল ভাই এর কাছে জিজ্ঞেস করে- এটা ভাবি নাকি। সজল তাকে এরিয়ে জায়। তখন মুন্না সজল ভাই এর সাথে তার বন্ধু সামাদ এর পরিচয় করিয়ে দিলে, সজল ভাই মুন্নাকে কিছু টাকা দিয়ে আনন্দ করতে বলে।

এরপরে মুন্না ও সামাদ একটি চায়ের দোকানে গিয়ে গল্প করে। তখন মুন্না সামাদকে বলে বিদুর কথা। এর পরের সিনে আমরা আরেক most important কেরেক্টার এর সাথে পরিচয় হই, আমার পছন্দেন এক ক্যারেক্টার- ফজলুল রাহমান বাবু, অর্থাৎ বিদু। বিদু তার লিডারকে আপ্পায়ন করাচ্ছে এবং তার নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে বলছে। তাকে কেন নির্বাচনে নমিনশন দেয়া হয়নি সেটাই তার থেকে জান্তে চাচ্ছে। তখন লিডার তাকে বলে- তার চেয়ে বশির এর অধিকার বেশি, তাই তাকে না দিয়ে বশিরকে নমিনশন দেয়া হয়েছে। তখন বিদু তার বউ মনিকে ডাকে পায়েস নিয়ে আসতে। আমরা তখন এই সিরিজের আরেক কেরেক্টারতে দেখতে পাই জার নাম মৌ। বিদু তাকে মনি নামে ডাকে। লিডার যখন পায়েস খায় তখন বিদু গেসু নামে এক লোককে ডাকে। আমরা তখন আরেক কেরেক্টরের সাথে পরিচয় হই- শারাফ আহমেদ জীবন, অর্থাৎ গেসু। বিদু গেসুকে বলে লিডারকে কিছু একটা দেখাতে। গেসু লিডারকে বশিরের বডিটা দেখায়। যা দেখে লিডার অনেক রেগে জায় এবং বিদুকে অনেক কথা সুনাতে থাকে। এবার বিদু রেগে গিয়ে তার লিডারকেই নিসংস ভাবে মেরে ফেলে।

বিদুর কথা শুনে সামাদ তখন অনেক ভয় পায়। মুন্না তাকে বলে বিদু শুধু সন্ত্রাসীইনা, সে সন্ত্রাসীদের বস। তখন মুন্নার কথায় বুঝতে পারি- বিদু যাকে মেরেছিল সে ছিল তার বাবা, সেও তার বাবাকে মারার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগের অপেক্ষা করতেছে, সময় বুঝে যায়গা মতন কোপ দিয়ে দিবে।

পরবর্তী সিনে দেখতে পাই, সামাদ ফেডারেশনে সাফ চেম্পিয়ন খেলার জন্য নোটিশ বোর্ডে তার নাম খুযে পায় না। তার জন্য সে তার কোচের কাছে জায়। কোচ তখন সামাদকে বলে- তার জায়গায়  সালেকিকে নিয়েছে।  কারন সালেকির মামা এমপি। সামাদ রিয়ার কাছে দেখা করতে আসলে সে আবার ফিরে আসে, রিয়া তাকে যদি জিজ্ঞেস করে সে চান্স পেয়েছে কি না, তখন সে কি উত্তর দিবে।দেখা যায়, রিয়া মুন্নাকে কোনো একটা কাগজ দেয়। এদিকে সামাদ, মাইনু ভাই এর কছে সব বললে, সে জানায়- সে পলিটিক্সে কাটা পরে গেছে।

সামাদ আনেক ভেঙে পড়ে। তাই সে তার বন্ধুর বাসায় গিয়ে, কস্টের ঠেলায় অনেক নেশা করে। তখন তার বন্ধু মুন্না এসে সামাদকে বলে রিয়ার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর তুই কি করতেছিস?। মুন্না দেখে সামাদ নেশা করছে। সেই আবস্থায় মুন্না সামাদকে নিয়ে রিয়ার সাথে দেখা করতে যাওয়ার পথে আর একজন এসে সামাদকে বলে মাইনু ভাই এক্সিডেন্ট করে উপরে চলে গেছে। তাদেরকে তাকে দেখার জন্য ডাকে। একদিকে রিয়ার বিয়ে তো অন্যদিক মাইনু ভাই এর এক্সিডেন্ট করে উপরে চলে যাওয়াটা সামাদ না নিতে পেরে সেখানেই জ্ঞান হারায়। 

পরের সিনে মুন্না মাইনু ভাইয়ের জানাজায় তার সাথে সমাদকে যেতে বললে, সামাদ তার সাথে জায় না। সে রিয়ার কথা ভেবে আনেক নেশা করে। তার ভাই তাকে ডাকলেও সে দরজা খুলে না, সে সুদু নেশার ভিতরেই ডুবে থাকে। জার জন্য  তার ভাবি তাকে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। তখন সে রেগে বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে, তার বন্ধু মুন্নার বাসায় যেয়ে ওঠে। তার পরথেকে সে আরও নেশা করা শুরুকরে।

এক সময় যখন সে নেশা আবস্থায় বাথরুমে জায়, তখন সে আয়নার দিকে তাকিয়ে অনেক ভয় পায়। কারন সে তার মত অন্য একজনকে দেখতে পায়, জেটা ছিল তার নিজেরি সত্তা। তখনই সে তার বন্ধু মুন্নাকে ডাকলে, সে কিছুই দেখতে পায়না, তবে সামাদ ঠিকি দেখতে পাচ্ছিল। মুন্নাকে সামাদ আয়নাটা ডেকে রাখতে বলে রুমে চলে যায়। মুন্না তখন আয়নাটি একটি কাপড় দিয়ে ডেকে রাখে। সে রুমে এসে দেখে, সামাদ বেশি লালপানি খাবার কারনে, মরার মত পড়ে আছে। তখনি মুন্না তার বন্ধুকে হস্পিটালে নিয়ে গেলে সে সুস্থ হয়। তখন সামাদের সাথে দেখা করতে সজল আসে এবং মুন্নাকে কিছু টাকা দিয়ে ফলমুল আনতে পাঠিয়ে দেয়।  সজল তখন সামাদকে বলে- তার রাস্তার কাটা হচ্ছে সালেকি আর তার কাটাও হচ্ছে সালেকি। তাই সে তাকে মারার জন্য সামাদকে বলে। যদিও প্রথমে সে রাজি ছিলনা, কিন্তু তাকে এটা সেটা বুঝিয়ে রাজি করে ফেলে।

কিন্তু তাকে একটি রাইফেল দিতে হবে যেটা দিয়ে দুর থেকে দেখে শুট করা জায়। তখন সজল তাকে সব কিছু দিতে রাজি হয়। তাকে রেডি থাকতে বলে সজল চলে জায়। আন্যদিকে আমরা দেখতে পাই বিদুর সাথে সজল কোন এক প্লানের কথা বলে। যা ছিল! তাদের বিরোধী দলের গুরুপকে কিভাবে সহজেই মারা জায়। কিন্তু সজল তার গ্রামের সমস্যার কথা জানায়। যে কারনে সে তাদের প্লানে থাকতে পারবে না। তখন বিদু তাকে একটা পিস্তল দিয়ে গ্রামের সমস্যা সমাধান করতে পাঠিয়ে দেয়। আর বলে রাখা ভালো এই যে, বিদু সজলকে অনেক ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে।

পরের সিনে সজল নতুন রাইফেল নিয়ে সামাদের সাথে দেখা করে। সামাদ প্রাক্টিস করতে চাইলে সজল তাকে একটি নির্জন স্থানে আসে। তো সেখানে যখন সামাদ প্রাক্টিস করছিল, তখন সে তার টার্গেট ঠিক রাখতে পারতেছিলনা। তাই সজল রেগে মেগে যায় যেতে ধরলে সামাদ একটি পাখি টার্গেট করে মেরে দেয় এবং সেটা সজলের কাছে এসে পরে। সজল তখন বেশ অবাক হয়ে যায়। এবং সে অনেক খুশি হয়। এরপরে তাকে আবার প্রাক্টিস করতে বললে দেখা যায়- সে এবার তার টার্গেট সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক রাখতে পারছে।

পরের সিনে সজল বিদুর বাসায় আসলে দেখা যায়- তারা সবাই বিরোধী দলের উপর, কে কোথা থেকে কিভাবে অ্যাটাক করবে সেই প্লান করছে। এবং সেগুলো আবার সজল সামাদকে বুজিয়ে দিচ্ছে।  জাতে পরবর্তীতে সে সহজেই সালেকিকে টার্গেট করতে পারে।
পরের সিনে তারা সবাই তাদের প্লান মতো গোলাগুলি শুরু করলে, সামাদ সালেকিনের দিকে শুট করার পজিশন নিতে থাকে। আর তখনই সজল এমন একটি কথা বলে, যা কখনো আপনি ভাবেননি। সজল সামাদের পজিশন বিদুর দিকে তাক করে তাকে শুট করতে বলে।

কিন্তু সামাদ বিদুকে শুট না করতে চাইলে সজল পিস্তল দিয়ে সামাদকে ভয় দেখায় এবং তাকে শুট করতে বাধ্য করে। সামাদ বিদুর উপর গুলি করে, কিন্তু গুলি বিদুর হাতে লাগার কারনে বিদু সেই বারের মতন বেচে যায়। বিদুকে হস্পিটালে নিয়ে আসলে, সজল তাকে দেখতে আসে এবং বলে- কে করেছে, কেম্নে হল কিভাবে করল। এটা সেটা কি যে অভিনয়। মৌ তখন সবাইকে বাইরে জেতে বললে, সজল বাদে সবাই বাইরে চলে আসে। তখন বিদু সজলকে দিয়ে গেসুকে ডেকে নিয়ে আসে আর বলে দুই এক দিনের মধ্যে কে কে রাইফেল বিক্রি করছে তাদের খোজ নিতে।

এদিকে সজল আর সামাদের কথায় বুঝতে পারি। বিদু কিছু একটা জেনেগেছে, তাই তাকে যদি ডেকে বিদু দা কিছু জিজ্ঞেস করে সে যেন তার ব্যাপারে কিছু না বলে। বললে তাকে সেই মেরে ফেলবে।

মাঝরাতে সামাদের ঘুম বাংলে সে পানি খেতে জায়, আর তখনই তার সত্তা তার দিকে এগিয়ে আসলে, সে অনেক ভয় পায়। তখন তার সত্তা তাকে বলে- তুই মানুস মারতে ভয় পাস না, আমাকে দেখে ভয় পাস কেন।

পরে যখন মুন্না বাইরে থেকে কাজ করে এসে সামাদের কাছে আসে। তখন সে মুন্নাকে  জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে আর তাকে বাঁচাতে বলে। তখনই তাদের ঘরে গেসু আসে। সে এখানে কেনো আসছে মুন্না জানতে চাইলে সে জানায়- বিদু সামাদকে তার বাড়ি ডাকছে। সামাদ তখন মুন্নাকে সে যা যা করেছে সব বলে। মুন্নাও চাচ্ছিল বিদুকে মারতে কিন্তু সে তো তা পারে নায়, সে তাই সামাদকে বলে- গুলিযখন করছোস তখন মিছ করলি কেন, তাকে মেরে দিতে পারলিনা! সামাদ মুন্নাকে তার সাথে যেতে বললে মুন্না যেতে রাজি হয়না। কেননা সে যদি তার সাথে যায়! তাহলে তো প্রমানি হয়ে গেলো, সেই তাকে গুলি মেরেছে। তাই তাকে একাই যেতে বলে এবং যদি এই ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করে! তাহলে সে জেনো কিছু স্বিকার না করে।

সামাদ বিদুর বাসায় এসেই একটা বডি সরাতে দেখে। একেতো রয়েছে এক ভয়! তার উপর আবার সামনে একটা লাশ। সে কোনো ভাবে ভয়ে বিদুর সামনে গেলে বিদু তাকে বসতে বলে এবং তার বউ মনিকে সামাদের জন্য পায়েস নিয়ে আসতে বলে। সামাদ যখন পায়েস খাচ্ছিল। তখন আমি নিজেই অনেক ভয় পাচ্ছিলাম, আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল এই না সামদকে বিদু মেরে দেয়। জাই হক! সব কিছুরি ভালো হোক! বিদু সামাদকে জিজ্ঞেস করে- সে জেনে গেছে তাকে কে মারছে। তাকে সজল মারছে জানে এবং যার থেকে সে রাইফেল নিচে সে তাকে অলরেডি মেরে দিছে। তার এই সব কথা শুনে সে বিদুর পায়ে পরে যায় এবং তার কাছে মাফ চায়। বিদু তখন তাকে বলে- তাকে সে মারবে না, কিন্তু তাকে কিছু কাজ করে দিতে হবে জার জন্য তাকে টাকাও দেওয়া হয়। সামাদ তাতে রাজি হয়ে যায়।

বিদু গেসুকে দিয়ে সামাদকে গোপন যায়গা পাঠিয়ে দেয়। যাতে সজল সামাদের কিছু না করতে পারে। গেসু তখন সামাদকে তাদের গোপন একটি আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানেই সামাদ থাকা শুরু করে এবং সামাদকে দিয়ে বিদু একের পর এক কাজ করিয়ে নেয়।

একদিন সামাদ সজলকে টার্গেট করতে গিয়ে দেরি হওয়ায় তখন গেসু তাকে একটা ফ্রি উপদেশ দেয়। যদি দেখে তার টার্গেট সামনে আসতে দেরি করছে, তখনি সে জেনো বুঝে নেয়, সে নিজেই টার্গেট। আর যেহেতু সজলের তাদের নিশানায় আসতে দেরি হচ্ছিল, তাই তারা সেখান থেকে চলে আসে।
বিদু গেসুকে বলে- সজল কেম্নে জানলো আজকে তারা তাকে টার্গেট করছে!

পরের সিনে গেসুর শরিরে রক্ত দেখা যায় আর তাই সে বিদুকে দেখাতে আসছে। বিদু তাকে জিজ্ঞেস করে- তাকে কে মেরেছে। গেসু তখন সজল এর কথা বলে। বিদু তখন গেসুকে- তার স্ত্রি মৌকে কলকতা পঠানোর ব্যবস্থা করতে বলে। 

পরের সিনে মনি বিদুকে জানায়- সে কলকাতা যেতে রাজি না। কিন্ত বিদু তার কথায় অটুট।

তখন গেসু ভিতরে আসলে সে মনির মুখে দাগ দেখতে পায়। তার মুখে কিসের দাগ জানতে চাইলে। বিদু বলে- কুপের পারে পরে যেয়ে এরকম অবস্থা হয়েছে।
দৃশ্যপট এখানে আসলে দেখতে পাই, সামাদ তার সত্তার সাথে কিছু কথা বলছে। তার সত্তা তাকে বিদুকে মারার জন্য উস্কাতে ছিল, কিন্তু সামাদ তাকে মারতে রাজি নয়। সে একটা জায়গা পালিয়ে যেতে চায়। আর তখনি মুন্না চলে আসে। সামাদ তার মানসিক অবস্থার কথা মুন্নার কাছে শেয়ার করে আর সে বুঝতে পারে তার বন্ধুকে একা থাকতে দেওয়া যাবেনা। তাই সে সামাদের পাশে থেকে সামাদকে গুম পারায়। গুম থেকে উঠে দুই বন্ধু ঘুরতে বের হয়।

অন্য দিকে মনি কলকাতার উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিল কিন্তু তখনি গেসু এসে বিদুকে বলে- সজল এখন তাদেরি বাজারে। সে গেসুকে মনির ফ্লাইটের উদ্দেশ্যে বেরোতে বলে, সে একাই সজলকে মারতে চলে আসে। এদিকে রিয়ার সাথে সামাদ আর মুন্নার দেখা হয়ে যায়। রিয়া মুন্নাকে ডেকে তার সাথে কিছু কথা বলে চলে যায়। সামাদ বলে- আমার সাথে কথা না বলেই গেলোগা! তখন তার কোলে কিছিলো জানতে চাইলে মুন্না বলে- তার মেয়ে, নাম রাখবে তাই দাওয়াত করছে।

এদিকে বিদু তার কিছু লোক নিয়ে এসে সজল এর সাথে গোলাগুলি করে এবং গোলাগুলি করার এক পর্যায় তার পায়ে একটি গুলি লাগে তাই সে বেশি দূর পালাতে পারেনা। আর হ্যা তাদের এক ধরনের স্পেশাল পটকা আছে, তা হচ্ছে তাবিজ পটকা। you know what i mean. সে একটা জায়গায় বসে সেটাই চেক করতেছিল, সে দেখে তার ভিতর ভারত নাই। আর তখনি তার সামনে সজল চলে আশে। তো এখানে একটা বড় টুইস্ট রিভেল হয়। যেটা হচ্ছে- বিদুকে জেসু আর সজল দু'জন মিলে মারার জন্য এক হয়ে বাজারে নিয়ে আসে আর তারা তাদের প্লানে সফল হয়। এবং সজল বিদুকে মেরে ফেলে।

বিদু মরার পরে গেসু তার চেয়ারে বসে। সে সজলকে কল দিয়ে জানায়- সে জেনো সামাদের দিকে হাত না বাড়ায়। সামাদকে সে ব্যবহার করবে। গেসুও চায় সামাদকে তার কাছে রাখতে। তখন সে গেসুকে বলে- সামাদ যদি তার আসল বাপের কাছে ফিরে যেতে চায় তখন? এই কথাটা মনে রাখবেন। কথাটা এখন হালকা মনে হলেও সামনেই এর ওজন বুঝতে পারবেন।

আন্যদিকে সামাদ আর তার বন্ধু আনন্দ করে নেশা করতে করতে রাস্তা দিয়ে বাসায় যাচ্ছিল, তখন রাস্তা বাড়ি সব নিস্তব্ধ দেখে তারা জানতে চায়, এলাকার ভিতর কিছু হয়েছে কি না। তখন একটা লোক এখান থেকে যাওয়ার পথে তার থেকে জনতে পারে সজল বিদুকে উপরে পাঠিয়ে দিছে। এই কথা শুনেতো মুন্না বেশ খুশি। তার বদলা নেওয়াও হয়ে গেলো আর তার বন্ধুও বিদুর হাত থেকে বেচে গেলো। ঠিক তখনি তাদের পিছনে কিছু লোক তাড়া করে। সামাদ আর তার বন্ধু দুইজনেই পালিয়ে যায় কিন্তু মুন্নার আর শেষ রক্ষা হয় না। সামাদের সামনেই তার প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে কেউ একজন একটি ছোট ছুড়ি দিয়ে মেরে ফেলে। এই ছুড়িটার কথা মনে রাখবেন।

সিরিজের শেষ এপিসোডের শুরুতে আমরা দেখি সামাদ তার বন্ধুর লাশ দেখে ভয়ে মুন্নার বাড়ি চলে আসে আর তার বেগ গুছাতে থাকে পালিয়ে জাবার জন্য। কিন্তু তখন মুন্নার মা মুন্নার কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলে মুন্না কাজে গেসে। তখন মুন্নার মা সামাদকে খবার খেতে দেয় আর তখনি সামাদের সত্তা তাকে তার বন্ধুর কথা বলে যে, তার বন্ধু রাস্তায় মরে পড়ে রইছে আর তুই এইখানে বসে বন্ধুর চল্লিশা খাস?। সামাদ নিজেকে আর ধরে রাখতে না পেরে খাবার রেখে উঠে চলে আসে। সে রুমে গিয়ে তার জানেকা দোস্তের জন্য অনেক কান্না করে। এরপরে সে তার রাইফেল নিয়ে সেই গোপন রুমে চলে আসে। সেখানেই গেসু চলে আসে আর সামাদকে বলে- তার সাথে কাজ করতে। সে জানায়- তার আর সামাদের শত্রু একি, তাই তারা মিলে সজলকে মেরে দিবে। গেসু মনিকা আসার আগে সজলকে মেরে দিতে চাইছিল। সামাদ তার কথায় রাজি হয়।

পরের সিনে সজলের সাথে সালেকি দেখা করতে আসে, যেখানে সজলকে সে মনিকাকে মারার কথা বলে আর সজল জদি মনিকাকে মারে, তাহলে সে নিজেই নমিনেশন পাবে। এ কথা শুনে সজল তার কথায় রাজি হয়ে যায়। আন্যদিকে সামাদ বিদুর বাসায় আসলে দেখতে পায়, মনিকা এখন বাংলাদেশেই, সে ভারত যায়নি। সে তখন সামাদকে বলে- বিদুকে মারার পিছনে শুদু সজলই নয় গেসুরও হাত আছে। আর মনিকা তাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু তারা যেহেতু তাদের খাচাতেই বন্ধি তাই আর কিভাবে পালাবে।  তখন সে বাসায় চলে আসে আর তখনি আবার তার ভিতরের সত্তা সজলকে মেরে তার বন্দুর প্রতিশোধ নিতে বলে। আর সেও ঠিক করে নেয়, সে সজলকে মেরে তার বন্ধুর প্রতিশোধ নিবে। আর তার সত্তা তাকে বলে তুই সেরা My name is এজিমেন্ডিয়াস। The King Of Kings. তখন সামাদও তার সত্তার সাথে বলে উঠে  My name is এজিমেন্ডিয়াস The King of Kings.

পরের সিনে দেখতে পাই গেসু সজলকে মারার জন্য সামাদকে নিয়ে আসছে। সে লঞ্চের কেবিনের দিকে তাকে টার্গেট করতে বলে। এরপরে যখন সজল বের হয়ে আসে ঠিক তখনি সামাদ তাকে,,,,,

গেসু সামাদকে লাল পানি দিলে সে খায় না, কিন্তু গেসু লাল পানির বটল খুলতে যখনই তার ছুড়ি বের করে।
কি বলছিলাম না এই ছুরির কথা মনে রাখতে। হ্যা এটাই সেই ছুড়ি, সামাদ তখন ছুরি দেখে চিনে ফেলে এই ছুরি দিয়ে তার বন্ধু মুন্নাকে মারা হইছে। তার মানে হলো, সজল মুন্নাকে মারেনি বরং মুন্নাকে মেরেছে গেসু। সামাদের সেটা বুজতে আর বাকি থাকে না, তাই সে সেখান থেকে বাসায় চলে আসে।

সে সিধান্ত নেয় যে, এবার সে গেসুকে খাইয়া দিবে। তাই গেসুকে টাকা লাগবে বলে তার জায়গায় ডাকে। আর সে রাইফেল নিয়ে গেসুর জন্য আপেক্ষা করতে থাকে। কিন্ত গেসু দেরি করায় সামাদের সেই গেসুর উপদেশের কথা মনে পড়ে যায়। যেখানে গেসু বলছিল- যদি তার টার্গেট দেরি করে তখন জেনো সে বুজে নেয় যে, সে নিজেই তার টার্গেট। তাই সামাদ বুঝতে পারে সে নিজেই এখন গেসুর টার্গেট।

সে পিছনে গুরতেই গেসুর লোক চলে আসে আর এইখান থেকে শুরু হয় গেসু আর সামাদের লড়াই। এক পর্যায় সামাদ গেসুর ঘাড়ে ও পায়ে গুলি করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। আর তখন সামাদ গেসুকে তার বন্ধু মুন্নাকে কেন মারছে সেটা জিজ্ঞেস করলে গেসু বলে- সামাদকে তার দলে পাওয়ার জন্য মুন্নাকে সজলের নামে মেরে ফেলছে। কি বলছিলাম না সজল কোন বাপের কথা বলছিল মনে রাখতে! এবার বুঝতে পারছেন! সেই কথার ওজন কতো টুকু ছিল। এরপরে সে গেসুকে মেরে দেয়।
নেক্সট সিনে দেখতে পাই, সামাদ তার রাইফেল নিয়ে মনিকার সাথে দেখা করতে আসে। এবং সে মনিকাকে জিজ্ঞেস করে- সে কেন কলকাতায় যায় নি। মনিকা তাকে বলে- গেসু তাকে যেতে দেয়নি। তখন সামাদ মনিকাকে একটা লাগিয়ে দিয়ে। এবার আমাদেরকে একে একে সব ঘটনা দেখানো হয়, যেখানে মুল কালপ্রিট ছিল মনিকা।

মনিকা প্রথমে সজলকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিদুকে মারে আর তার প্রমান সামাদ নিজে। আর সেই সিন মনে আছে! সজলের সাথে রিক্সায় একটি মেয়ে ছিল। আর সেটা ছিল মনিকাই। যাই হক! বিদু মারাযাওয়ার পরে মনিকা গেসুকেও প্রেমের ফাদে ফেলে হাত করে নেয় আর সামাদের মাধ্যমে সজলকে মেরে দেয়। কারন! সজল থাকলে তার সমস্যা ছিল।

তো! সজল বিদুকে মারছে নমিনেশনের জন্য, গেসু টাকার জন্য আর মনিকা ক্ষমতার জন্য। এরপরে আমাদেরকে মনিকার সব প্লান দেখানো হয়। যা ছিল বিদুকে মারার জন্য। আর বিদুও জেনেগেছিল যে মনিকা সজলের সাথে কুতুকুতু খেলে। তাই সে মনিকাকে চড় দিলে মনিকা খাটের সাথে ধাক্কা খেয়ে গালে দাগ লেগে যায় আর এটাই সেই দাগ যেটা গেশুকে বিদু কুপের পারে পরে যেয়ে লেগেছে বলছিল।

যাই হক! মেয়ে মানুষ যে কি! তা তখন দেখা যায়। বিদু মনিকাকে তখন কিছু বলতে পারে না। যার জন্য সে মনিকাকে কলকাতা পঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আর এটাই ছিল মনিকাকে কলকাতা পাঠানর কারন। কিন্ত তারপরে মনিকা আর কিছু স্বিকার করে না।

কিন্ত যখন সে বলে আমি নিজে দেখেছি আপনি সজল এর সাথে। তখন মনিকা সব স্বিকার করে।  আর তখনি সামাদকে মনিকা তার প্রেমের জালে ফেলে সাদা কাপড় ছেরে সামাদের জন্য লালশাড়ি পড়ে। কিন্তু সামাদের সত্তা তাকে মেয়ে মানুশকে বিশ্বাস করতে মানা করে।

আর এটাই সেই সিন যেটা আপনাদের সর্বপ্রথম দেখানো হইছিল। সামাদ তার সত্তাকে বলে- সে যদি মনিকাকে না মারে তাহলে সে মনিকাকে পাবে সাথে সে কমিশনারও হতে পারবে। আর যদি সে মনিকাকে মারে, তাহলে সে আন্ডারওল্ডেছিল সেটা কেউ যানতেই পারবে না। মনিকাই ছিল একমাত্র যে সুদু সামাদকে এই রুপে চিন্ত। তখন সামাদের সত্তা সামাদকে বলে তাহলে তো ভালোই, হাতি মরলেও লাখ টাকা বাচলেও লাখ টাকা। কিন্তু সামাদ বলে লাখ না কোটি  টাকা। তখন তার সত্তা বলে- তাহলে কি করবি এখন। আর তখনি সামাদ তার পিস্তল মনিকার দিকে তাক করে এবং স্ক্রিন কালো হয়ে যায়। আর এরি মাঝে আজকের অগচোরার খেইর শেষ হয়ে যায়।
....
এখানে আপনার আউন্ট্র দিবেন

THE END

আমরা যেভাবে ভিডিও তৈরি করেছি


Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.