Notification texts go here Contact Us Join Now!

Punormilone (পুনর্মিলনে) Full Movie Explained Script in Bangla - Entertain Times

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

এন্টারটেইন টাইমস প্রতিবেদক: Punormilone (পুনর্মিলনে) Full Movie Explained Script in Bangla - Entertain Times

Punormilone (পুনর্মিলনে) Full Movie Explained Script in Bangla - Entertain Times


বিঃদ্রঃ স্ক্রিপ্ট লেখায় কিছু ভুল থাকতে পারে যেগুলো আপনারা ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং কিছুটা নিজে সাজিয়ে কমিয়ে, বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ! এটা তো আপনি একা ব্যবহার করছেন না, আপনার মতন আরো কিছু লোক এখান থেকে স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে।

....

আপনার ইন্ট্র দিন

সিন শুরু হয় ২৩ জানুয়ারির ২৩ সালে। দাদি এখানে বসে বসে কিছু ছবি দেখছিল আর সেখান থেকে একটা ছবি চোখে আটকে যায়। দাদির ভাবনা রিয়েকশন দিয়ে সিন আসে ১৯ সালের ১লা মার্চ।

এ হচ্ছে রিপা। এই ফিল্মটায় জত কাজিন দেখবেন তাদের সবার বরো। তার বিয়ে হয়েছে। আগামীকাল রিয়াদের গায়ে হলুদ কিন্তু রিয়াদেরি খবর নেই, কারণ! সে বাহিরে থাকে আর আজকেই সে আসবে। কখন আসবে, কেন এখনো আসেনি এটা সেটা বড় বোন হিসেবে তাই জিজ্ঞেস করছিল রিয়াদকে।

এ হচ্ছে রিয়াদের বাবা। সে সবার জন্য শহর থেকেই কেনাকাটা করে নিয়ে আসছে। আর তার মাকে একটা শাড়ি দিয়ে সেটার দাম কত, কোয়ালিটি কেমন সেটাই বলতে ছিল। তার এই সব কথা তাদের আর এক ভাইয়ের গায় লেগে যায়। তার কথা হচ্ছে, উপহারও দিবো আবার দামও বলবো। এটা নিয়ে গায়ে বাজাটা স্বাভাবিক। আর এখানে তারা কে ছোট ভাই আর বড় ভাই এটা নিয়ে আমি কনফিউজড, তাই কে বড় আর কে ছোট তা বলতে পারছিনা। তো এখানে তাদের এক কথায় দুই কথায় কোনো রকম জায়গা জমি নিয়ে কথা শুরু হয়। আর মূলত এই নিয়েই তাদের দূজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব। তবে তাদের এই দ্বন্দ্ব কাজিনদের উপর কোনো প্রভাব ফেলেনি। তো এও মেয়েবি এদের ভাইদের বোন হতে পারে, আমার বুঝতে অসুবিধা হতে পারে আপনারা কেউ জানলে বইলেন। তো সে সবাইকে থামিয়ে পজিটিভ মানে বি পজিটিভ ভাবতে বলে। আর তখনি এ চলে আসে। তো এ হচ্ছে নয়ন, সামনে যে কাজিনদের দেখবেন তাদের বোন জামাই। তার লক্ষ্য একটাই নেতা হওয়া। সে বি পজিটিভ কথা শুনেই এসে জিজ্ঞেস করে কার বি পজিটিভ রক্ত লাগবে সে এক্ষুনি ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এখানে থাকা সবাই কথাটা শুনে বেশ মজা নেয়।

এ হচ্ছে অন্তু। গল্পের লিড ক্যারেক্টার, তাকে ছাড়া এক কথায় কাজিনদের জমেই না। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সাজানোর জন্য অন্তু ফুল নিয়ে আসছে, তখনি সিনথিয়া এসে তাদের ঘরের ভিতর যে রেসলিন লাগছে সেটাই বলতেছিল আর তখনি সেখানে তাদের আর এক ছোট কাজিন আবরার চলে আসে। তো এখানে তাদের বন্ডিং দেখে বোঝাই যাচ্ছিল তারা কতটা ফ্রি হয়ে মজা করতে পারে।

সিন বর্তমানে। দাদি এখান থেকে উঠে কিছুটা পথ যেতেই সেন্স হারিয়ে ফেলে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জানতে পারে, বয়সের কারণে এমনটা হচ্ছে আর হার্টেও কিছুটা সমস্যা আছে। তবে ফ্যামির সবার সাথে থাকতে পারলে মন ভালো থাকবে। অন্তু তার চাচার থেকে দাদির বার্থডে জানতে চাইলে সে বলেনা। অন্তু চাচ্ছে দাদির বার্থডেতে সবাইকে এক করবে। তাদের পরিবারের পুনর্মিলন ঘটাবে। তবে তাদের মধ্যে কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সামনে চলুন সব জানতে পারবেন।

সিন পিছনে আসলে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের আমেজ দেখা যায়। তারা বিয়ের অনুষ্ঠানটা নিয়ে কতটা এক্সাইটেড। তারা কাজিনরা এখানে বসে লুডু খেলছিল আর তখনি অন্তু চোরামি শুরু করে। আর এটা তাদের মধ্যে একটা কমন ব্যাপার ছিল। দিন শেষে রিয়াদের প্লেন ল্যান্ড করবে। তারা দুজন তাকে নিয়ে আসতে যাবে। কিন্তু কাজিনরা সবাই তাদের সাথে যেতে চাইলে তারা সবাই এক সাথে গিয়ে মজা করতে করতে রিয়াদকে নিয়ে আসে। আর এই হচ্ছে আর এক লিড ক্যারেক্টার রিয়াদ।

এখন গায়ে হলুদ বলে কথা। নাচা গানা না হলে হয়! হয়না, তারা সব কাজিনরা মিলে অনেক নাচা-গানা করে, মজা করে আর এবং নাচা-গানা শেষে আর এক লিড ক্যারেক্টার বের হয় "তৃনা"। তাদের বেশ সুন্দর ভাবেই বিয়েটা হয়ে যায়।

সিন বর্তমানে আসলে দেখা যায় তৃনা অন্তুর খোঁজ নিচ্ছে। আর সে অন্তুকে দাদির জন্মতারিখ খোজার জন্য তার গ্রামের বারি জেতে বলে। আর সেই লক্ষ্যেই অন্তু আর নয়ন বেরিয়ে পরে। তারা অনেক খোজাখুজি করার পরে তারা সেই কাঙিত কাগজটা খুজে পায় যেখানে তাদের দাদির জন্ম তারিখ লেখা ছিল আর সেই তারিখ অনুযায়ী অন্তুরও একই দিনে জন্ম দিন। এবার তারা বেশ খুশি মনে দাদির অনুষ্ঠান প্লানের জন্য প্রস্তুত।

সিন পিছনে। সবাই অন্তুর জন্ম দিন সেলিব্রেট করছিল। তারা সবাই রেস্টুরেন্টে বার্গার খেতে বসলে নয়ন তার মনের মতন সবাই যেরকম খাচ্ছে সেরকম খেতে পারছিলনা, তাই সে রুটি আলাদা করে খেতে শুরু করলে তাদের সামনের টেবিলে থাকা ছেলে মেয়েগুলো তা দেখে হাসি তামাশা শুরু করে।

অন্তু ব্যাপারটা সামলানোর জন্য সেও নয়নের মতন খাওয়া শুরু করে আর নয়নের দেখা দেখি তারা সব কাজিনরা একই রকম খাওয়া শুরু করে। তখন তাদের এক কাজিন বলে উঠে, এটা নিয়ে যারা হাসাহাসি করে তাদেরকে তারা বোকা বলতে পারে। তখন পাশ থেকে নয়ন বলে উঠে চো দা বলতে গেলে অন্তু নয়নের মুখ চেপে ধরে। অন্তুর এভাবে ব্যাপারটা সামলে নেওয়াটা তৃনার বেশ ভালো লাগে।

এবার তারা রিয়াদ আর তৃনা কিভাবে নিজেদেরেক খুজে পেয়ে বিয়ে করলো তা জানতে চায়। তখন তৃনা বলা শুরু করে। তাদের ফেসবুকে পরিচয় ৪ মাসের মতন, আর সেখানেই তাদের চ্যাটিং করতে করতে লাভ আর সেখান থেকেই বিয়ের ডিসিশন। তৃনার বাসায়ও এ নিয়ে কোনো চাপ ছিলনা, তাই কোনো সমস্যাও হয়নি। তাদের কথা শেষে রিয়াদ অন্তুকে একটা হেলমেট গিফ করে আর হেলমেট গিফ করা মানেই একটা বাইক গিফট করা। যাইহোক, তাদের এই বাইক নিয়েও অনেক কাহিনি রয়েছে ওদিকে আমরা না যাই। এক কথায় তাদের দাদার বাইকটা অন্তুকে গিফট করলো।

পরের সিনে বুঝতে পারি রিয়াদ খুবি তারাতাড়ি লন্ডন ব্যাক করছে আর তৃনার পেপারস রেডি করতে যতদিন লাগে, এরপরে সেও চলে যাবে। আর হ্যা! তারা দুইজন হচ্ছে সব থেকে কাছের এবং বেস্ট কাজিন। তাদের সম্পর্ক অন্য কাজিনদের থেকে একটু বেশি গভীর। সিন আসে এয়ারপোর্টে, রিয়াদের চলে যাবার সময় হয়েছে তাই সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।

সিন বর্তমানে। এ হচ্ছে নয়নের বউ ন্যান্সি। দাদির জন্য ফল কাটছে। আর দেখা যায় তার দাদির জ্ঞান ফিরছে। এখানে তারা দারিয়ে কল ছারতেছিল আর অন্তু নয়নকে রিয়াদকে ফোন করে দাদির বার্থডে অনুষ্ঠানে জইন করার জন্য ফোন করে বলতে বলে। আর সে ফোন দিলে নাকি তার ফোন রিসিভ করবেনা। গত ৪ বছরে তাদের মিধ্যে কিছুতো একটা হয়েছে। চলুন সামনে এগোই।

সিন পিছনে। তৃনা পাসপোর্ট অফিসে আসছে তার কাগজ পাতি ঠিক করার জন্য। তৃনাদের গারি অসুস্থ থাকায় তার বাবা অন্তুকে তাকে নিতে পাঠিয়েছে। কথা হচ্ছে তৃনা বাইকে চরতে ভয় পায়। অন্তু সেই ভয়কে জয় করে তৃনাকে বাসায় নামিয়ে দেয়। আর তৃনার অন্তুর প্রতি ভালোলাগাটা জেনো বেরেই চলছিল।

অন্তু গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে এসে তাকে সিয়া সেন উইন এর সুবিধা সমূহ ব্যাখ্যা করতেছিল। এখানে যেহেতু সাবিলার নাম উল্লেখ করা হয়নি তাই তাকে তার নাম ধরেই আমরা চিনবো। এক কথায় সাবিলা তার কাজ কর্মে বেশ অসস্থি ফিল করতেছিল। তৃনা এই রেস্টুরেন্টেই ছিল। সে ব্যাপারটা লক্ষ্য করে অন্তু কে টেক্সট করে জিজ্ঞেস করে তার গার্লফ্রেন্ড কি না। অন্তুর রিপ্লাই হচ্ছে সে একটু পরে তার সাথে ব্রেক আপ সং গাবে। শেষ মেশ সাবিলা উঠেই চলে যায়। 

সিন বর্তমানে। অন্তু তার কোন এক প্রজেক্টের কাজের জন্য এই রাত্রেই তার বাসা মানে শহরের জন্য বের হচ্ছে। ন্যান্সি এসে একটু লেবুর সরবত খায়ি দেয় তখন তৃনা ফোন করে জিজ্ঞেস করে সে বের হইছে কি না। কি সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছেনা? তৃনা বিয়ে করলো রিয়াদকে আর খোজ নিচ্ছে অন্তুর! সামনে চলুন। অন্তু তার চাচার থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পরে।

প্রথমে তার সেই বড় বোনের কাছে আসে তাদের দাদির জন্মদিন অনুষ্ঠানে জইন করার জন্য বলতে আর সে জেন এ কথা রিয়াদকেও বলে। কিন্তু সে অন্তুর সাথে কথাই বলতে চাইছিলনা। তাদের কাজিনদের সম্পর্ক ৪ বছর আগে কেমন ছিল আর এখন এরকম কেনো হলো খুবি জানতে ইচ্ছে করছে তাইনা!

সিন পিছনে। ২ দিন পরেই রিয়াদ এসে তৃনাকে নিয়ে যাবে, কিন্তু তার লন্ডনে যাবার ইচ্ছে করছেনা আর তা নিয়েই তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তৃনাকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে, তার কি হয়েছে বড় আপা জানতে চায়। তখন তৃনা তাকে জিজ্ঞেস করে সে তার স্বামিকে ভালোবাসে কি না। তখন সে সুন্দর একটা কথা বলে। সে ওভাবে কখনো ভেবে দেখেনি তবে যখন সে তার পাশে থাকে তখন কিছু বুঝেনা আর যখন দূরে চলে যায় তখন তার খারাপ লাগে, তার মনে হয় কিছু একটা হারিয়ে ফেলছে। এটাই হয়তো ভালবাসা। তৃনা জিজ্ঞেস করে আর যদি দূরে গেলে তার খারাপ না লাগে! সে জানায়- তাইলে এটা ভাবার বিষয়। ঝগড়া হয়েছে তাই এরকম মনে হচ্ছে, ঠিক হয়ে গেলে এরকমটা মনে হবেনা।

সম্ভবত তার মন খারাপ কথাটা অন্তুকে জানায়। আর অন্তু তাকে চিড়িয়াখানায় চলে আসতে বলে। অন্তু চিড়িয়াখানার ভিতরে এসে হরিন গুলোকে ভালোভাবে দেখতে বলে। কারণ! ওদেরও মন খারাপ। আর তা তোমার চেয়ে একটু বেশি। ওদের মন খারাপ কারণ! ওরা এক কথায় জেলে বন্ধি। চাইলেও বাহিরে বের হতে পারবেনা, কিন্তু কিছুক্ষণ পর তোমার মন ভালো হয়ে যাবে কিন্তু ওরা এখানেই বন্ধি থাকবে। আর তখন তোমার ওদের উপর একটু মায়া হবে সেই সাথে নিজের একটু ভালোলাগা। মায়া সব সময় নিম্নমুখী। যার পেট ভরা থাকে তার ক্ষুধার্তর প্রতি মায়া হয় আর যে ক্ষুধার্ত তার আর এক ক্ষুধার্তকে দেখে মায়া হয়না, রাগ হয়। এভাবেই অন্তু তৃনার মন ভালো করে দেয়।

সিন আসে কাজিনদের পার্টিতে। তারা কথা বলছিল আর তখন নয়নের ইংরেজি কথা শুনে অন্তু বলে- তুই তো ইংরেজির পূনর্জন্ম করে ফেলবি। কারণ! সেও আমাদের মতনি বাংলিশ বলছিল। তখন নয়ন জানায়। সে i walk english, i sleeping english, i talk english. তারা বেশ মজা করে এখানে। তাদের পার্টি শেষে তৃনা অন্তুকে ম্যাসেজ করে, তাদের পার্টি শেষ হইছে কিনা তা জানার জন্য, এরপরে তারা আবার নিজেরা দেখা করে। তাদের কথায় বুঝতে পারি তৃনা ও রিয়াদ তারা ১ দিন পরেই চলে যাচ্ছে। তাদের দুজনের সব কথায় একটা কথাই ক্লিয়ার হয় তারা দুজন দুজনের প্রতি দূর্বল হয়ে পরেছে। you know! তবে তাদের এখন কিছুই করার নেই তবে তৃনা অনেকবার ব্যাপারটা অন্তুকে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং অন্তুও! এবং তারা এই আধার থেকে বিদায় নিয়ে নেয়।

পরের সিনে রিয়াদ ও তৃনার দৈনন্দিন লন্ডনে কাটানো কিছু সিন দেখানো হয় যা নরমালি চলছিল। অন্তু তাদের বড় বোনের সাথে দেখা করে তৃনার ব্যাপারে খোজ নেয় আর সে যে তৃনাকে ছাড়া বেশ খারাপ সময় পার করছে তা তার মুখটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। তৃনার ব্যাপারেও এর উল্টোটা হয়নি, তারও একই অবস্থা। তৃনা চলে যাবার পরে তাদের মধ্যে আর কখনো কথা হয়নি। অন্তু তার কাজ করতেছিল তখন তৃনা তাকে ফোন করে। অন্তুর ভিতর দিয়ে জেনো ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। সে ফোনটা কোনো রকম ভাবে ইগনোর করে। এরপরে সে নিজেই ব্যাক করে। অন্তু এক মিত্থে অজুহাত ধরিয়ে দেয় তবে সেটা তৃনা ধরে ফেলে। তো এখানে তাদের মিস করা করি নিয়েই কথা হচ্ছিল। তাদের সাথে এমনটা কেনো হলো, এভাবে কি ভালো থাকা যায়! তৃনার সব প্রশ্নের অন্তু একটাই উত্তর দেয়। হাত ধরলেই হাতের লেখা পালটে ফেলা যায়না তৃনা। বেশ সুন্দর একটা কথা। এরপর থেকে তাদের আরো বেশ খারাপি সময় যাচ্ছিল।

রিয়াদ বসে বসে মুভি দেখছিল আর তখন তৃনা এসে তাকে কিছু কথা তার বলার আছে বললে সে বেশ সহজ ভাবেই তাকে বলতে বলে। কিন্তু তৃনা তাকে যখন সরি বলে সে ব্যাপারটা বুঝে যায়। সে আসলে কল্পনাও করতে পারেনি তৃনা তাকে ছেড়ে চলে যাবে। রিয়াদের মনে হয়তো তৃনাকে নিয়ে ভালবাসা ছিল কিন্তু তৃনার মনে তার জন্য হয়তো সেই ফ্লিংসটা ছিলনা। পরের সিনে রিয়াদ তৃনাকে এয়ারপোর্টের গারিতে তুলে দেয় আর সে তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবে বলে চলে যায়।

তৃনা যে অনুভূতি নিয়ে দেশে আসছিল তা তার নিজের লোকেরাই ভেঙ্গে দেয়। কারণ এভাবে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় নিশ্চয় কোনো পরিবার খুশি হবেনা। এবং সব শেষে আপনাদের সবার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়, মানে তারা তাদের পছন্দ মতন বিয়ে করে নেয় আর মূলত একারণেই তারা এখন তাদের প্রিয় মানুষগুলোর কাছে আজ অপ্রিয় হয়ে গেছে। তবে দিন শেষে তারা তাদের হ্যাপিনেস নিয়েই বেচে আছে।

সিন বর্তমানে। অন্তু ফোন পেয়ে আবারো গ্রামে ছুটে এসেছে, তার দাদি আবারো হস্পিটালে। অন্তু নয়নকে রিয়াদের কাছে ফোন করতে বললে সে কিছুটা রাগ দেখিয়েই রিয়াদের কাছে ফোন করে, তবে সে রিসিব করেনা। এরপরে আবার ফোন করলে রিয়াদ রিসিভ তো করে, তবে সে রাগ দেখিয়ে জন্মদিনে আসতে পারবেনা বলে ফোন কেটে দেয়। অন্তু বেশ ভেঙে পরে।

সে নিজেই রিয়াদকে ফোন করে তবে রিসিভ হয়না। এক কথায় রিয়াদ অন্তুকে নিয়ে বেশ খারাপ ভাবনা তার মাথায় ঢুকিয়ে রেখেছে। আর কেনইবা রাখবেনা, তার ভালবাসার বউকে তার থেকে কেরে নিছে, তার উপর এভাবে চরাও হওয়াটা বেশ স্বাভাবিক। তবে সে অন্তুর রাগটা তার দাদির উপর ফেলতে পারেনা। রিয়াদ বড় বোনকে ফোন করে জানিয়ে দেয় যদি তাদের কোনো কাজিন সেই অনুষ্ঠানে যায় তাহলে সে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেনা। মানে নিজেও যাবেনা আর অন্যকেও যেতে দিবেনা।

বড় আপা সে অন্তুকে টেক্সট করে জানিয়ে দেয় সে জন্মদিনে থাকতে পারবেনা, রিয়াদ চাচ্ছেনে। তারা নিজেরা সময় করে দাদিকে দেখে আসবে। এবার অন্তু বুদ্ধি করে অন্য একটা সিম দিয়ে রিয়াদকে ফোন দেয় এবং সে রিসিভ করে। তবে সে উল্টো অপমানিত হয় আর ফোন কেটে দেয়। এবার যখন রিয়াদ বার্গার খেতে যাবে তখন তার নয়নের কথা মনে পরে যায়। সে যে তাদেরকে মিস করেনা এমনটা নয়, তবে সেই ঘটনা তাদের পরিবারকে আলাদা করে দিছে। সে এবার নয়নের মতন করেই বার্গার খায় আর নয়নের নাম্বারটা দেখে। পরের সিনে কাজিনদের তার ঘোর দেখে বুঝতে পারি রিয়াদ হয়তো তাদেরকে এই অনুষ্ঠানে আসতে বলেছে আর সেও হয়তো আসার জন্য রাজি হয়েছে।

এরপরে অন্তু আর নয়ন তাদের অনুষ্ঠানের কাজে লেগে পরে। অন্তু সময় পেলে তার মায়ের কবর জেরত করে। অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থা করে তার আগের দিন রাত্রে অন্তু বাহিরে দাঁড়িয়ে আর নয়ন তাকে জেতে নিষেধ করছে।

সিন পিছনে। সেই দিন রাতে রিয়াদ নয়নকে ফোন করে জানায় সে জন্মদিনে জইন করবে তবে অন্তুকে সে এই অনুষ্ঠানে দেখতে চায়না। আর একারণেই অন্তু এখন চলে যাচ্ছে। আর সে চলে যাচ্ছে এবং তা রিয়াদের কারনে এ কথা জেনো নয়ন কাউকে না বুঝতে দেয় বলে চলে যায়।

পরেরদিন রিয়াদ চলে আসে। অন্তু ঘরে বসে মন খারাপ করে বসে আছে, তার বেশ খারাপ লাগছে। সবাই বসে লুডু খেলতে ছিল, যখন কেউ খেলায় চিট করতেছিল তখন বড় আপা বলে উঠে- অন্তু চিট করতেছিস কেন। দাদি রিয়াদকে জিজ্ঞেস করে অন্তু কোথায়। রিয়াদ বেশ বুঝতে পারে অন্তুকে ছাড়া তারা কাজিনরা কতটা অসহায়। তারা কতটা অন্তুকে মিস করছে। সে নিজেও তার সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলো ভাবতে থাকে। বেশ ইমোশনাল করে দেওয়ার মতন একটা অবস্থা।

এবার সব রাগ অভিমান ভেঙে রিয়াদ নিজেই অন্তুকে ফোন করে এবং এখনি তাকে রওনা হতে বলে। তৃনা ডক্টর দেখাতে এসে জানতে পারে সে প্রেগন্যান্ট। অন্তু তাকে অনেক বার ফোন করেও পাচ্ছিলনা তবে তাকে ভয়েস পাঠিয়ে দিছে এবং সে গ্রামের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে। সবাই খুশি। বৃষ্টি হচ্ছে, পরিবেশটা বেশ ঘোলাটে হয়ে উঠছে, রিয়াদ অন্তুকে ফোন করছে কিন্তু রিসিভ হচ্ছেনা। অন্তু বৃষ্টির ভিতর দিয়েই বাইক চালিয়ে আসছে। একটা ট্রাক তাকে প্রায় মেরেয় দিচ্ছিল একারনে ওইদিক তাকিয়ে সামনে তাকাতেই একটা হরিণ দেখতে পায় আর সেটাকে বাচাতে গেলে স্ক্রিন অন্ধকার হয়ে যায় এবং কিছু পরে যাওয়ার একটা শব্দ পাই। বাসায় অন্তুকে নিয়ে চিন্তা করতে করতে ভোর হয়ে গেছে। তাদের ফোন কল আসলে স্ক্রিন অন্ধকার হয়ে যায় আর পরের সিনে অন্তুর বাইকটা একটা মেশিনে করে উঠাতে দেখি, মানে অন্তু আর বেচে নেই। তারা অন্তুর বডি নিয়ে বারির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে। রিয়াদ জেনো পাথর হয়ে গেছে। আজ কারো চোখেই জেনো বাধা মানছেনা। অঝোরে পানি বেরিয়ে আসছে। তারা কি হারিয়ে ফেলছে তারাই বুঝতে পারছে, তৃনাও এখানে চলে আসছে। তাদের সাথেই আছে। আপনি ফিল্মটা দেখলে নিজের চোখকে সামলে রাখতে পারবেন না। তৃনা অন্তুর কবরের দিকে তাকিয়ে থেকেই চলে যায় আর অন্তুকে তার মায়ের কবরের পাশেই রাখা হয়েছে।

নয়ন জানায়- জন্মদিনের অনুষ্ঠান হবেনা। কিন্তু রিয়াদ অন্তুর শেষ ইচ্ছাকে পূরণ করার জন্য এই অনুষ্ঠান করতে চায়, সিন্থিয়া কেদে ফেললে নয়ন আগামী দুইদিন কাউকে কাদতে দেখতে চায়না বলে জনিয়ে দেয়। বার্থডের দিন এক লোক এসে অন্তুর অডার করা কেক দিয়ে যায় কিন্তু সেই নয়নেরি চোখ জেনো থামছেনা, কেদে ফেলে। দাদিকে অনুষ্টানের জন্য সাজানো হয়, সবাই রেডি হয়ে অনুষ্ঠানে জইন করে। রিয়াদ এখান থেকে চলে যেয়ে আর একটা কেক এনে তাদের সামনে রাখে, যেটা ছিল অন্তুর জন্য। আপনাদের মনে আছে! অন্তুর আর দাদির জন্মদিন একি দিনে। উফফ,,,, এখানের সিনটা জাস্ট ওয়াও। চোখে পানি ধরে রাখতে পারবেন না।

সব শেষে দেখা যায়- এখন সবার পুনর্মিলন হয়েছে কিন্তু তাদের মাঝে শুধু একটা ব্যাক্তি নাই। আর হ্যা তৃনার বাচ্চাও হয়েছে কিন্তু, আর তারা সবাই এখন সেই প্রথমের মতন এক সুখি পরিবার। রিয়াদও বিয়ে করছে এবং তারও বাচ্চা আছে। আর এখানেই ফিল্মটির এন্ডিং হয়।
....

এখানে আপনার আউন্ট্র দিবেন

THE END

আমরা যেভাবে ভিডিও তৈরি করেছি


إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.