Notification texts go here Contact Us Join Now!

Priyotoma (প্রিয়তমা) Full Movie Explained Script in Bangla - Entertain Times

Priyotoma (প্রিয়তমা) Full Movie Explained Script in Bangla - Entertain Times | Priyotoma Movie Download
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

এন্টারটেইন টাইমস প্রতিবেদক: Priyotoma (প্রিয়তমা) Full Movie Explained Script in Bangla - Entertain Times

Priyotoma (প্রিয়তমা) Full Movie Explained Script in Bangla - Entertain Times


বিঃদ্রঃ স্ক্রিপ্ট লেখায় কিছু ভুল থাকতে পারে যেগুলো আপনারা ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং কিছুটা নিজে সাজিয়ে কমিয়ে, বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ! এটা তো আপনি একা ব্যবহার করছেন না, আপনার মতন আরো কিছু লোক এখান থেকে স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে।

....

আপনার ইন্ট্র দিন

মুভির শুরুতেই জায়েদ খানের বড় ভাই এই আইক্কা আলা বাসটা এর পেটে ভরে দেয়। কি কারনে বা কেন এই কাজটা করলো সামনেই জানতে পারবেন।

দৃশ্যপট এখানে আসে। তো সুজন এবারের হাটের সম্ভবত কোন এক প্রার্থি হিসেবে দারিয়েছে। আমার ধারনা ভুল হতে পারে। আপনারা পরে মিলিয়ে নিয়েন। এরা গত ১২ বছর ধরে এই হাট চালাচ্ছে তাই এই বছরও তারাই চালাবে। সুজন যেন এই নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে তাই থ্রেড দিতে আসছে। সুজন তাদের কথায় রাজি না হলে তারা ভাংচুর সুরু করে। তখনি আপনার আমার বাংলার হিরো শাকিব মানে সুমন চলে আসে।

হিরো এন্ট্রি নিছে মোটেও হিরগিরি দেখাবেনা তা তো হতে পারেনা। তাই না! তাই তার স্লো মোশন স্টাইলে একটা এন্ট্রি প্লাস ফাইট হয়। এখন ভাবতেই পারেন। সে হুদাই এখানে কেন আসছে। আসল কথা হচ্ছে- সুজন হচ্ছে সুমনের বড় ভাই। তাই বড় ভাইকে প্রটেক্ট করতে আসছে। আর এই বড় ভাই-ই তাদের সংসার চালায়। তো এখানে বেশ হালকা-পাতলা রকমের একটা ফাইট করে সে আসে কোরবানি গানে ডান্স করতে। সে না আসলে তো আবার এই গান হবেনা। তাই না!

সিন আসে সুমনদের বাসায়। সুমনের বাবা বাজার নিয়ে আসছে আর তাদের কাজের ছেলে মুস্তাকের থেকে জানতে পারে সুমন এখনো ঘুমায়। সে সুমনকে ঘুম থেকে উঠিয়ে সুজনের কাছে জেতে বলে টাকা নিয়ে আসতে। সুমন তার ভাইয়ের বাসায় এসে ভাতিজির সাথে খেলতেছিল। তখন সুজন নিচে আসলে তার থেকে জানতে পারি সে কক্সবাজার জাচ্ছে। কেউ একজন উপরে চলে গেছে আর তার কি এক ঝামেলার কারনে তাকে কক্সবাজার জেতে হচ্ছে। তার ভাবি তাকে টাকা দিয়ে যায়। আর সুজন সুমনকে কিছু একটা করতে বলে। তার কিছু হয়েগেলে তখন সংসার কে দেখবে।

দুই বন্ধু মিলে কেরাম খেলছে আর গল্প করছে। তখন লতার লাজুক চাহনি দেখে এ সুমনকে বলে- লতা তাকে দেখলে কেমন জেনো করে। কিন্তু তাকে পছন্দ করে সে, আর লতা পছন্দ করে তার বন্ধুকে। আর সে তো লতাকে পাত্তাই দেয় না। সুমন বলে- তার প্রেম এরকম ভাবে হবেনা। তার প্রেম হবে, এরকম ওরকম ভাবে। মানে আমি তো আর সিনেমার মতন ভাবে বলতে পারবোনা। তাই একটু স্কিপ করলাম। এক কথায়, নায়িকাকে পিছন  থেকে এক ঝলক দেখানো হলো আর কি। তার বাবা ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে জায়ানায়- সুজন আর নাই এবং সে ওখানেই সেন্স হারায়। সুমন তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে আর একটা এম্বুলেন্স পরে আর সেটায়ছিল তার ভাই সুজন। তার বন্ধুকে দিয়ে ভাইয়ের বডি পাঠিয়ে সে তার বাবাকে হসপিটালে নিয়ে আসে।

সুজনের বউ, এর কাছে ফোন করে। আশাকরি তাকে চিনতে পারছেন। সে আর সুজন এক সাথে মাছের ব্যবসা করতো। বলা যায় বিজনেস পার্টনার ছিল। এখন কথা হচ্ছে তার সসুর অর্থাৎ সুমনের বাবার চিকিৎসার জন্য টাকা লাগবে আর সেটাই চাচ্ছিল তার কাছে। কিন্তু সে ঘুরাচ্ছে টাকা দিচ্ছেনা। তাই সে জেনো টাকাটা দেয় তাই বলছিল সুজনের বউ। সুমন তার ভাইয়ের কবরের কাছে দারিয়েছিল। তখন তার বন্ধু এসে জানায়- তার মনে হচ্ছেনা সুজন গারি এক্সিডেন্টে মারা গেছে। সুমন জানায়- সে জানে। কারণ! সে তার ভাইয়ের গলায় দড়ির ছাপ দেখছে। এদ্বারা বোঝাই জাচ্ছে তাকে কেউ মেরেছে। কিন্তু কে এই কাজ করছে তাতো সে জানেনা।

সুজনের বউ আবারো ফোন করলে সে তা রিসিভ না করে নাম্বার ব্লক করে দেয়। ভাবি সুমনকে ডেকে জানায়- সে কালকে কক্সবাজার যাবে ওসমানের কাছে। সে না গেলে হয়তো টাকা দিবেনা। সুমন জেতে চাইলে তাকে বলে- সে এর আগে কখনো ওখানে যায়নি। তাই সে চিনবেনা। সে যাবার আগে সুমনকে তার ভাতিজিকে দেখে রাখতে বলে। ভাবি কক্সবাজার থেকে ফিরে আসলে তাকে কেউ  মারছে বলে মনে হয়। সুমন বুঝে যায় এই কাজ কে করছে। সে নিজেই এবার কক্সবাজার আসার সিদ্বান্ত নেয়। সে নিজেই এসে টাকাও নিয়ে যাবে আর ওসমানকেও দেখে নিবে।

পরের সিনে সুমন কক্সবাজার চলে আসে আর এখানে কিছু ডায়লোগ বাজী আর ওসমানকে মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দিয়ে যায়। পরের মিটিংয়ে তার থেকে টাকা বুঝে নিবে। সুমন পুলিশ স্টেশন আসে টাকা বুঝে নিতে সাহায্য করার জন্য আর সে এখানে এসে কি কি করছে সব অফিসারকে বলে। সে তাকে জানায়- তার ওসমানকে মারা ঠিক হয়নি। আর সে এই বিষয়ে কোনো সাহায্য করতে পারবেনা। সে এখানকার চেয়ারম্যানের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়। সে কিছু একটা চাইলেও করতে পারে।

খোলা আকাশে ঘুড়ি উরাতে উরাতে বের হয় আমাদের নায়িকা দ্বিপিকা পাল অর্থাৎ ইতি। হির তাকে সালাম দিলে সে তার দিকে তাকাতে যেয়ে পায়ে ব্যাথা পায়। সে সুমনকে সুন্দর করে বাংলিশ বলে ঘুরিটা হাতে দিয়ে সোজা হয়। সে ঘুরির সুতো হাতে নিয়ে তার কাইট মানে ঘুরি আর আকাশে খুঁজে পায়না। নিচের দিকে তাকালে দেখতে পায়। তা পানিতে পরে রয়েছে। এবার সুমনকে এমন ভাবে বাংলিশ বলছে যে, সে কিছুই বুঝতে পারছেনা। যেমন- what you do, I give you ঘুরি sky, you ডুবাই water? অর্থাৎ! সে তাকে ঘুরি দিছে উরাই রাখতে আর সে পানিতে ডুবাই দিলো? তো আশাকরি বুঝতেই পারছেন সে এই ইংলিশ কোত্থেকে শিখছে। হ্যা! ৩০ দিনে ইংরেজি শেখার বই থেকেই। আপনারা ভুলেও এই কাজ করতে যাইয়েন না। পরে বিপদে পরলে কিন্তু টের পাবেন। তো এখানে অনেক বড় একটা বাংলিশ ভুল বোঝাবুঝি করে ইতি চলে আসে। সুমনও তার পিছু পিছু তাদের বারিতে চলে আসে মানে খালেক চেয়ারম্যানের বাড়ি চলে আসে। আর ইতি হচ্ছে চেয়ারম্যান এর মেয়ে।

সুমন তার থেকে এটা চেয়ারম্যান এর বাড়ি কিনা জানতে চাইলে সে বলে- আব্বুর সঙ্গে আপনার what কাজ? সুমন জানায়- সে কথা তাকেই বলবে। খুবি জরুরি একটা কাজ। ইতি বলে- আব্বু গো মার্কেট, বাজারে গেছে। সুমন জানায়- তাহলে সে অপেক্ষা করছে। ইতি বলে- your ইচ্ছা। but আব্বু yesterday আসবে। সুমন বলে- yesterday! মানে গতকাল আসবে? স্টেরেঞ্জ! গতকাল কেউ কেমনে আসবে। আগামীকাল আসবে, yesterday। ইতি ভিতরে আসলে দেখা যায়। চেয়ারম্যান বাসায় রয়েছে। সে কে আসছে জিজ্ঞেস করলে ইতি জানায়- ভিক্ষুক।

সিন এখানে আসলে জানতে পারি, তারা সুমনকে খুজছে কিন্তু পাচ্ছেনা। রাঙা জানায়- তাকে সুমনকে মারতে হবেনা। সে সুমনকে জেলে ভরার ব্যবস্থা করবে।

পরেরদিন সুমন আবারো এখানে আসে। সে এবারো তার বাবার কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলে- তার বাবা বাজার থেকে আসছিল কিন্তু আবারো ঢাকা গেছে বাজারে। তাকে yesterday মানে আগামীকাল আসতে বলে। সিন ভিতরে আসলে চেয়ারম্যানের থেকে জানাযায়- সে রাতের বাসে এবার সত্যি ঢাকায় যাবে তার কোনো এক কাজে। সুমন রাতটা কাটিয়ে পরেরদিন আবারো চেয়ারম্যানের বাসায় আসে আর ইতি কিছু বলতে না দিয়ে তার সমস্যার কথা বলে আর সে জেনো তার বাবার সাথে দেখা করিয়ে দেয় সেই রিকুয়েস্ট করে। ইতি জানায়- তার বাবা আজ সত্যি ঢাকায় গেছে। সে চাইলে ঘরের ভিতর জেয়ে দেখে আসতে পারে। সুমন চলে আসার সময় ইতি তাকে কালকে আবারো আসতে বলে। সে তার বাবাকে যেভাবেই হোক এনে রাখবে।

ইতি তার বাবাকে ফোন দিয়ে বারিতে নিয়ে আসে। পরের সিনে ইতি খবিরকে বলে- সে কিভাবে করবে জানেনা। কিন্তু যেভাবেই হোক তাকে সুমনকে এই বারিতে রাখতেই হবে। আর তা নাহলে তার রাত্রের খাবার বন্ধ। চেয়ারম্যান সুমন আর ওসমানকে নিয়ে একটা সালিশ বসানোর ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন খবির চেয়ারম্যানকে কিছু বুঝদিয়া সুমনকে বারিতে রাইখাদে।

সুমন এখানে বসে তার ভাবির সাথে তার বাবাকে নিয়ে কথা বলছিল। কথা শেষে ইতি আসে তাকে সরি বলার জন্য। ইতি বলে- সে ঘুরি উরাতে পারে কি না। সুমন বলে- না, সে উরাতে পারেনা। ইতি তাকে ঘুরি উড়ানো শিখাতে চাইলে সুমন জানায়- তার সরিল ভালো লাগছেনা। এভাবে সে বলতে থাকে তার পুরো সরিল ব্যাথা সে এখন কিছু করতে পারবেনা। তখন ইতি খবিরকে বলে- ওকে কোলে করে কাম প্লিজ। এবার সে এগিয়ে আসলে দেখা যায় সুমনের ব্যাথা ভালো হয়ে গেছে।

ওসমান আসে চেয়ারম্যানের কাছে। এখানের সালিশিতে চেয়ারম্যান জানায়- ওসমান সুমনকে এখন ১০ লাখ টাকা দিবে আর প্রতি মাসে ৩ লাখ করে টাকা দিবে। যদিও এই কথায় সুমন রাজি ছিলনা। কারণ! তারা প্রায় ৫ কোটি টাকা ওসমানের কাছে পায়। আর সে যদি মাসে ৩ লাখ করে দেয়, তাহলে তাদের টাকা সব নিতে কতদিন লাগবে! ওসমান একটা অফার দেয়- সে তাকে ১০ লাখ না ২০ লাখ টাকা দিবে আর মাসে ৩ লাখ টাকাই দিবে। কিন্তু সর্ত হচ্ছে তাকে এই জায়গা ছেরে যেতে হবে, কোনদিন এখানে আসতে পারবেনা। চেয়ারম্যান তার কথায় একমত, কিন্তু সুমন জানায়- চেয়ারম্যান যদি তার সাথে একমত হয়! তাহলে তার আর কি করার থাকে।

সুমন আসছে তার টাকা নিতে। ওসমান বলে- অনেক বছর আগে সে একটা বাংলা মুভি দেখছিল, নায়ক মাথায় বারি খেয়ে সব ভুলে যায়। সুমনও জেনো ঢাকায় জেয়ে সেইরকম একটা মাথায় বারি দিয়ে এখানের সব কথা ভুলে যায়। সুমন বলে- বদ্দা, ওই ফিল্মটা আমিও দেখছিলাম। মুভির হাপটাইম পরে হিরোর মাথায় আর একটা বারি খেয়ে সব মনে পরে যায়। রাঙা বলে- পোলার কিন্তু দম আছে। মৌমাছির চাকে ঢিলা মাইরা মধু নিয়া সামনে দিয়া হাইটা গেলো। ওসমান বলে- এখনো যায়নায়। পরবর্তী সিনটা দেখ।

সুমন চলে আসবে  তখন তার গারিতে ইতিকে সেন্সলেস অবস্থায় দেখতে পায়। সুমন গারি স্টার্ট করলে তা স্টার্ট হয়না। তখন ওখান কার লোক এসে যখন দেখতে পায় সুমন চেয়ারম্যানের মেয়ে নিয়ে পালাচ্ছে, তখন সবাই মিলে গনধোলায় দেওয়ার চেষ্টা করে। আর বুঝতেই পারছেন, এসব ওসমানের সাজানো প্লান। ইতির সেন্স আসলে, সে সবাইকে থামানোর চেষ্টা করে। তখন একটা লোক এসে ইতির মাথায় কাঠাল ভাংগে মানে গ্লাসের বোতল ভাংগে। সুমন এখান থেকে কোনো ভাবে বের হবার চেষ্টা করে।

রাঙ্গা ওসমানের সুনাম করতেছিল। সে সুমনকেও মার খাওয়াইলো আবার চেয়ারম্যানকেও টার্গেট করে তার মেয়েকে মারলো এক ঢিলে ৩ পাখি মারলো। বড়দা! আপনি একটা জাওরা আছেন। ওসমান বলে- সুনাম কইলি! না সুযোগ বুঝে গালি দিলি। তাকে এক লাথিদিয়ে পানিতে ফালাই দেয়।

সিন হসপিটালে আসলে দেখা যায়। ইতি ও সুমন এখানে ভর্তি হয়ে আছে। চেয়ারম্যান বাহিরে দারিয়ে ঠিক করলো, সে সুমনকে তার বাসায় এনে রাখবে সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত। তার মেয়ে আর সুমনকে নিয়ে যে কথা ছড়াইছে তা কিছুটা হলেও চাপা পরবে। সে ওসমানের সাথে এবার রাজনীতিতে নামার জন্য প্রস্তুত। তার সাথে সে দেখা করবে।

এখান থেকে জানায় যায়। সম্ভবত চেয়ারম্যানি সুমনকে মারতে চাইছিল, আর তা জেনো ওসমান না জানে সেই সাবধানো করা হয় তার লোকদের। কিন্তু তার আগে ওসমান এই কাম ঘটাই ফেলছে। চেয়ারম্যান ওসমানকে জানিয়ে দেয়- সে তার মেয়েকে মারার চেষ্টা করছে। তার সাথে এটা শেষ কথা। ওসমান যাওয়ার পথে তাকে জানিয়ে দেয়। সুমন তার মেয়েকে মাইরের হাত থেকে বাচানোর চেষ্টা করছে। তাই এই কথা সে ভুলবেনা আর ওসমানকে তা ভুলতে মানা করে। এক কথায়, ওসমান জেনো সুমনকে মারার চেষ্টা না করে, সেই ওয়ার্নিং দিয়ে দেয়। সুমন ইতি আসার পথে, সুমনকে মন খারাপ অবস্থায় দেখা গেলেও ইতিকে বেশ লাজুক অবস্থায় দেখা যায়। সে সুমনকে দেখে মনে মনে মনকলা খাচ্ছিল।

এখানে তারা চেয়ারম্যানকে নিয়েই কথা বলছিলো, ঠিক তখনি এ চলে আসে। সে এখানে আসছে একটা যায়গার জন্য। সে এখানে কোথাও একটা রিসোর্ট বানাতে চায় আর সেই যায়গা ওসমানকে বের করে দিতে বলে। সেই কাজের জন্য সে তাকে ১ কোটি টাকা দিবে। যা শুনে এরা বেশ লোভে পরে যায়। সে তার কথা শেষ করে উঠতে ধরলে, ওসমান তাকে বলে- চাইলে এখানে থাকতে পারে। ইংলিশ ফ্যান আছে। কিন্তু সে আবারো আসার কথা বলে চলে যায়।

ইতি সুমনের পাশে বসে বাংলিশ ভাবে কথা বলছিল। তখন সুমন বলে- সে কি সারাদিন ঘুড়ি উড়ায়! নাকি পড়াশুনাও করে। ইতি বলে- তার বাবার অনেক টাকা। তাকে কোনো এক বড়লোক ঘরে বিয়ে দিয়ে দিবে আর সে রানির হালে থাকবে। তার পড়াশুনার দরকার নাই। সুমন বলে- বিয়ে করবে ভালো কথা, তার আগে নিজের পায়ে ধারানোর চেষ্টা করো। শুধু টাকার জন্য পড়াশোনা করতে বলছিনা, সুশিক্ষা মানুষকে মুক্তি দেয়, সত্যি কারের মানুষ করে গরে তুলে। ইতি বলে- সে পড়াশুনা করলে কি তার ভালো লাগবে? সুমন বলে- অনেক ভালো লাগবে। ব্যাছ! মেয়ে হেসে দেয়। আর লার্কি হাসাতো তো.... যাই হোক। ইতি বলে- আজ গো। yesterday again come. Timely take medicine please. সুমন তাকে এই ইংরেজিটাও বাদ দিতে বলে। ইতি বলে- যদি সে ইংরেজি না বলে, তাহলে কি তার ভালো লাগবে? সুমন বলে- ঠিক ঠাক ইংরেজি বললে ভালো লাগবে। এখন ছেলে বলেছে ইংরেজি ঠিক ঠাক বলতে আর মেয়ে তা ঠিক করবেনা, তা তো হতে পারেনা। তাই না! তাই পরেরদিন থেকেই মেয়ে ইংরেজি প্রাইভেটে লেগে পরে।

টিচার ইতির জন্য কিছু সাজেশন তৈরি করছে। আর সেখানে ট্রান্সলেশন আছে ৪টা। এই ৪টা ট্রান্সলেশন যদি সে মুখস্থ করতে পারে! তাহলে সে পরিক্ষার খাতায় ৮টা ট্রান্সলেশন করতে পারবে। আপনারাও ট্রান্সলেশন গুলা একটু মনযোগী হয়ে শুনবেন। আপনারও কাজে লাকতে পারে। নাম্বার ১| ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগিটি মরেগেলো। নাম্বার ২| ডাক্তার আসিবার পর রোগিটি মরেগেলো। টিচার নাম্বার ৩ বলতে গেলে ইতি তাকে থামিয়ে বলে- ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগিটি মরেগেলো, এই শোকে রোগীর বাপও মরে গেলো, এই শোকে রগীর ভাই এসে ডাক্তারকে বেদম মারলো, এই শোকে ডাক্তারের বউ এসে রোগীর ভাইকে দা দিয়ে বেদর কি করলো বুঝতেই পারছেন। অতঃপর ডাক্তার আসার পূর্বে রোগীর ভাইও মরে গেলো এবং তারা ভুত হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো। পরিক্ষায় যদি এই ট্রান্সলেশনটা আসে তাহলে কি করবে? টিচার বলে- সেটাও সম্ভব, তার আগে তাকে প্রপার গ্রামার শিখতে হবে। খবির এসে বলে- কি হয়েছে বুবু! ইতি বলে- সে আর কতকাল ইন্টারে পরবে। তার অনার্স, মাস্টার, চাকরি করতে হবেনা! টিচার বলে- এই তুমি কি চাকরি করবে সত্যি। ইতি বলে- চাকরির লোভে পড়াশুনা করা উচিৎ নয়, কিন্তু সুশিক্ষা মানুষকে মুক্তি দেয়। তাইনা খবির। এই যাহ। খবিরের কি হলো। যাইহোক! ইতি বলে- ডাক্তার আসিবার পূর্বে আমার খবির মাথা ঘুরে পরেগেলো। এটার ট্রান্সলেশন কিভাবে করবো? টিচার হতোভম্ব।

ওসমান এখানে বসে ডাবের পানি খাচ্ছিল আর ডিল করতেছিল। তখন সে জনকে বলে- সে এরকম রিসোর্ট কইরা কি করবে। তার থেকে সে একটা ব্যবসা করছে, সেই ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে যা লাভ আসবে তার থেকে তারা 50% করে নিবে। জন তার অফারে রাজি হয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে যায়। তখন ওসমান তার লোককে ফোন করে জনের ডিটেলস জানাতে বলে।

ইতি সুমনকে বলে- কাল অনেক রাত জেগে পরছে, তাই ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেলো। সুমন বলে- রাত জেগে পরলে চেহারা কালি হয়ে যাবে। ইতি বলে- আমার চেহারা নিয়ে দেখি, আপনার অনেক চিন্তা! তখন সুমন বলে- সরিলে অনেক জড়তো! তাই আবোলতাবোল বলছে মনে হয়। ইতি কপালে হাত দিয়ে বলে- জর এখনো কমেনি? সুমন বলে- আমার জর নিয়ে দেখি তোমার অনেক চিন্তা। ইতি বলে- এরকম করে বললে, যে কেউ জর দেখে। ইতি বলে- তাকে নিয়ে চিন্তাকরা কি তার ভালোলাগেনা? ছেলে তো আর না বলতে পারেনা। তাই সে মাথা নাড়ায়। ইতি জানায়- বিকেলে পাহারে সুর্য ডোবা দেখতে তার খুব ভালোলাগে, যদি আর কারো ভালোলাগে সেও আসতে পারে। আরে ভাই সরাসরি বলে দিলেই তো হয়ে যায়। সে তাকে নিয়ে সুর্য ডোবা দেখতে চাই। হুদাই প্যাচায়।

তারা পাহারে আসলে ইতি বলে- এই জায়গাটা খুব পছন্দের। তার মন খারাপ হলে, সে এখানে এসে বসে থাকে। বসে বসে সে কল্পনা করে। সুমন তার কল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, ইতি বলে- সে কল্পনা দেখে, কোনো রাজপুত্র পঙীরাজ রাজ ঘোড়ায় করে আসবে, আর এসে বলবে, ইতি, তুমি কি আমার প্রিয়তমা হবে? বলেই হেসে দে। ইতি বলে- সে মজা করছিলো, যখন যা মনে পরে তাই ভাবে। সে এখন বাসায় জেতে চায়, নয়তো তার বাবা চিন্তা করতে পারে। ইতি চলে যেতে ধরলে সুমন তাকে থামিয়ে দেয়। এরপরে আর কি! এবার হিরো চান্স পেয়েছে, তাই তার প্রিয়তমা হওয়ার অফারটা করেই দেয়। আর যেহেতু মেয়ের মনে আগে থেকেই লাড্ডু ফুটে রয়েছে! তাই সে আর না করতে পারেনা। দৌড়ে এসে.... ইস আর বলবোনা, আমার লজ্জা করেনা বুঝি! ব্যাছ! ও প্রিয়তমা ও প্রিয়তমা শুরুকরে দেয়। যাইহোক, সে অধিকার তাদের আছে আমরা সামনে এগোই।

ওসমান আর জন তাদের ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি করছিল। তখন জন তার টাকা সে নিয়ে লাভের টাকা ওসমানকে দিয়ে দেয়। সে জানায়- সে তাকে টাকা দিবে আর সেই টাকা তাকে লাভ সহ ফেরত দেবি! এটাতো ব্যবসার লাভ না, এটা হচ্ছে সুদের ব্যবসা। সে সুদের ব্যবসা করতে চায়না। সে তাকে চেক করে দখেছে যে, সে তার টাকা মেরে দেয় কি না। কিন্তু সে তাকে লাভ সহ টাকা এনে প্রমান করেছে তার কাছে ব্যবসা আছে। এখন সে যদি তাকে তার ব্যবসা সম্পর্কে বলে, তাহলে সে তার সাথে ব্যবসায় যোগ দিবে, নয়তো এখানেই তাদের ডিল শেষ। ওসমান তাকে পার্টনার হিসেবে নিয়ে নেয়। কিন্তু এখনো তার ব্যবসা নিয়ে কিছু বলেনি।

সিন এখানে আসলে বাকি সব প্রেমের মতনি এরা কথা বলছিল। সে তাকে না পেলে বাঁচবেনা এটা সেটা লেজ ফিতা।

ওসমান তার ব্যবসা সম্পর্কে জনকে জানিয়ে দেয়। যা ছিল, পাউডার আর চকলেটের ব্যবসা। you kno, what i'mean. ওসমান জানায়- তার পার্টনারের কারনে সে চাইলেও এই ব্যবসা বড় করতে পারেনি। তাই সে তার পার্টনারের গলায় দড়ি পেচিয়ে উপরে পাঠিয়ে দেয়। আর তার যে ম্যানেজার ছিল, সে ছিল তার পার্টনার মানে সুজনের লোক। তার এই ব্যবসা সম্পর্কে সে জানতে পেরে তা সুজনকে বলে দিতে চাইলে সে তাকেও উপরে পাঠিয়ে দেয়। এবার সেই প্রথম আইক্কা আলা বাস আর সুজনের মৃত্যুর ব্যাপারে আসাকরি আপনাদেরকে ক্লিয়ার করতে পেরেছি। এবার যেহেতু তার পার্টনার জন! তাই সে তাকেও উপরে পাঠানোর জন্য এই কফিন বক্স এনে রাখছে। এখন বলতেই পারেন, সে আবার কি করলো। রুকো জারা, সাবুর করো। ওসমান জেনে গেছে, জন খালেক চেয়ারম্যান আর সুমনের হয়ে তার সাথে গেম খেলছে। তাই সে তাকে ২০ মিনিটের ভিতর জনকে এখানে ডাকতে বলে। নয়তো তার বডি কে নিবে। জন বলে- সুমন যদি জানতো, সে তার ভাইকে মেরেছে। তাহলে এতদিনে তাকে সে পুতে ফেলতো। তাকে ২০ মিনিটের ভিতর আসার বলার দরকার নাই, সে ২০ সেকেন্ডেন ভিতর চলে আসবে। সো এখন কি হতে পারে বুঝতেই পারছেন। এখানে বড় এক ধরনের ফাইট হয় আর শেষে ওসমানকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়।

এবার চলে যাবার সময় হয়েছে। সে এদিক ওদিক উঁকিঝুঁকি মেরে কাউকে দেখতে পায়না। সে চেয়ারম্যানের রিন কখনো শোধ করতে পারবেনা বলে যেতে ধরলে, চেয়ারম্যান তার রিন শোধ করার জন্য তার মেয়েকে ভুলে যেতে বলে। সে তার মেয়েকে এম্পির ছেলের সাথে বিয়ে দিবে বলে কথা দিয়েছে। সে তার কথা ফিরিয়ে নেওয়ার লোক না। ইতি তার জন্য তার পছন্দের পাহারে অপেক্ষা করতেছিল। সুমন জিজ্ঞেস করে- তার যে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে তা সে জানে কি না। ইতি জানায়- সে সম্পর্কে সে সব জানে। সে জেনো চিন্তা না করে। ইতি তার বাবাকে বুঝিয়ে সে তার ঘারেই বসবে। এরপরে আর কি। কিছু ইমোশনাল ডায়লগ।

সুমন ঢাকায় এসে তার বাবার কাছে আসে। তার সাথে কথা বলে বের হয়ে সে ইতিকে ফোন করে। কিন্তু তা বন্ধ বলে। এভাবেই সে তাকে প্রতিদিন ফোন করতে থাকে কিন্তু ফোন বন্ধ বলে। এরি মধ্যে সুমনের বাবার অপারেশন হয়ে যায়। কিন্তু তার ইতির ফোনের আর অপারেশন মানে ফোন আর খোলেনা। বন্ধ বলে। সুমন চেয়ারম্যান বাড়ি আসে, কিন্তু তাদের কাউকে দেখতে পায়না। পাশের বাসার লোকের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারাও জানায়। তারা কিছুদিন ধরে তাদেরকে দেখছেনা। কোথায় গেছে তাও জানেনা। সে পুলিশ স্টেশন জেয়েও কোনো খোজ পায়না। এবার একটু দুইলান আপনাদেরকে কষ্ট করে শুনতে হবে, চাইলে স্কিপ করতে পারেন।

তুমি এই রোদের মতো 
আমি তোমায় মাখছি গো,
তুমি এই মেঘের মতো 
বৃষ্টির আশায় থাকছি গো। 

ভাবি যেতে যেতে থেমে 
সেই দেখা শেষ দেখা না হোক,
তোমার আমার প্রেমে 
আমি কি একাই স্মৃতির বাহক। 

তুমি সব ভালো আমার 
তুমি সব আলো আমার,
অন্ধকার তো না,
তবে কি বৃথা যাবে প্রেম প্রার্থনা। 

ঈশ্বর কি তোমার আমার 
মিলন লিখতে পারতোনা ?
ঈশ্বর কি তোমার আমার 
মিলন লিখতে পারতোনা ?


সুমনের ঘুম ভাংলে তার বাসার বাহিরে ইতিকে দেখতে পায়। সে তার প্রিয়তমাকে পেয়ে জড়িয়ে ধরে। তার প্রশ্ন, সে এতদিন কোথায় ছিল। ইতি জানায়- সে ঢাকায় ছিল, তার শশুর বাড়িতে। বাছ! হয়ে গেলো। সে জানায়- সুমন চলে আসার পরে তার বাবা তার থেকে ফোন কেরে নিয়ে মারধোর করে এম্পির ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য আটকিয়ে রাখে। আর তাকে জোর করে এম্পির ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। তার হাসবেন্ড লন্ডন থাকে, তারা ৫ মাস এক সাথে থেকে খেয়ে সংসার করেছে। পরের মাসে তাকেও তার হাসবেন্ড লন্ডন নিয়ে যাবে। সে এখন আর তার কেউ না। সে জেনো সব কিছু ভুলে জেয়ে নতুন করে তার জীবন শুরু করে। এখানে বেশ ইমোশনাল কথা হয়। আর তাকে চলে যেতে বলে। কিন্তু আবারো তাকে দার করায়। আবার হালকা ধরনের কিছু ইমোশনাল কথা এবং তাকে খেদিয়ে দেয়। আবারো তাকে দার করায়। এবং তাকে চ্যালেঞ্জ দেয়। সে পরের মাসে লন্ডন যাবার আগেই তার থেকে হাজারগুন সুন্দরি মেয়ে বিয়ে করবে। দেন, এবার ফাইনালি পাঠিয়ে দেয়।

এখানে দুই বন্ধু দারিয়ে গল্প করছে। সুমন বলছে- ওই দিন ওরে বের করে দিয়ে ভাবছিলাম কষ্ট পামু, কিন্তু এখন ওর কথা তো মনেই নাই। সুমন কার কথা বলছে তা জিজ্ঞেস করলে সে বলে- আরে ওই মেয়েটা, ইতি না ফিতি। তার বন্ধু বলে- ভালো তো, তারে মনের পরার মতন তো কিছু হয়নায় তাই না! কতো আইবো আর যাইবো। তো এরপরে সে আর তার বন্ধু রাতুল বেশ গল্প করে, যা কষ্ট থেকে আসে। যদিও কথা গুলো শুনে আপনার হাসি আসবে, কিন্তু যদি আপনি এই কষ্টটা ফিল করতে পারেন, তাহলে তার কষ্টটা আপনি বুজতে পারবেন। সে আসলে কোন পরিস্থিতিতে এই কথা গুলো বলছে।

সুমন তার বাবা ভাবিকে এক জায়গা করে জানায়- সে এক সপ্তার ভিতর বিয়ে করবে। পাশের বাসার করিম চাচার মেয়ে তাকে পছন্দ করে, চাইলে তার সাথেও তাকে বিয়ে দিতে পারে। তার কোনো সমস্যা নেই। চাইলে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে পারে, কিন্তু এক সপ্তার ভিতর এই কাজ হতে হবে। তারা বউ শশুর আলোচনা করে লতার সাথে সুমনের বিয়ে দেয়ার প্লান করে। তাদের এনগেজমেন্ট হয়ে যায়।

এদিকে ইতি বেশ মন খারাপ করে সময় কাটাতে থাকে। সুমন তাকে ফোন করে বেশ জালানোর মতন তাকে কথা শুনায় আর তার বিয়ের ইনভাইট করে। আর তাকে তার বউয়ের কেনাকাটা করার জন্য  তার সাথে মার্কেটে জেতে বলে। সে রাজি হয়ে যায়। তারা মার্কেটে আসে। এবার ইতি যাই পছন্দ করে সুমন সেটাই তাকে বলে- এটা তার সাথে মানাচ্ছেনা। তার লতার সাথে মানাবে। মানে যেভাবে তাকে ছোট করা যায়, বা বলতে পারেন কষ্ট দেওয়া যায়, তাই করে। যদিও সিন গুলো বেশ কমেডি, কিন্তু ইতির ভিতর যে ফেটে যাচ্ছে তা বোঝা জাচ্ছে। তাকে কালকে তার অনুষ্ঠানে এসে নেচে গেয়ে যেতে বলে। এরপরে আরো কিছু কথা বলে ইতি ওখান থেকে চলে আসে। তবে তার চোখে আমরা পানি দেখতে পাই।

এবার আসে গল্পে টুইস্ট। খবির আসে সুমনের কাছে। সে বলে- সে বিয়ে করতেছে ভালো কথা, কিন্তু সে তার বুবুকে কেনো কষ্ট দিচ্ছে। সুমন জানায়- তারা বুবু যে তার থেকে পালিয়ে বিয়ে করছে, তখন সে কোথায় ছিল। তখন তার কষ্ট হয়নি। সেটাই সে তাকে ফেরত দিচ্ছে। খবির জানায়- যেদিন সে ঢাকায় চলে আসে, সেই দিনি ইতি আর তার বাবার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় তাকে নিয়ে। এক পর্যায় যখন ইতির ফোন ভেঙ্গে ফেলে, তখন জোড়ে আওয়াজ করে কথা বলার কারনে তার মাথায় বেথা উঠে। এবং তারা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার তার মাথা টেস্ট করে জানায়, তার মাথায় রক্ত জমাট হইছে। তাকে ফাসানোর জন্য ওসমানের লোক ইতির মাথায় বারি দিয়েছিল। সেই কারনেই ইতির মাথায় রক্ত জমে আর সেই থেকেই তার মাথার ভিতর কিছু একটা হইছে। তাকে ইন্ডিয়া নিয়ে ডাক্তার দেখানো হইছে, তারা জানিয়েছে ইতি আর বেশিদিন বাচবেনা, বড় জোড় ৩ মাস। এরপর থেকেই তারা ঢাকায় থাকে। মাঝে মাঝে ইতির মাথায় অনেক ব্যথা উঠে। যা শুনে সুমন নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিল। সে কি করেছে তার প্রিয়তমার সাথে।

সুমন লতাকে ডেকে জানিয়ে দেয়- সে তাকে বিয়ে করতে পারবেনা। সে ইতি আর তার সম্পর্কের সব কথা লতাকে জানিয়ে দেয়। আর তার থেকে ক্ষমা চেয়ে চলে আসে।

ইতি বৃষ্টির পানিতে তার কষ্ট ধুয়ে ফেলছে। পরেরদিন সুমন জামাই সেজে ঘোরার গাড়ি করে ইতিদের বারি আসে। ইতিকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু সে ইতিদের বারির সামনে অনেক লোক জনের ভির দেখতে পায়। ব্যাপারটা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য ভিতরে আসলে সেখানে তার প্রিয়তমাকে শুয়ে থাকতে দেখে। মানে, ইতি আর পৃথীবিতে নেই। আমার কাছে এই মুভিটির সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সঠিক জায়গা সঠিক মিউজিক গুলা ব্যবহার। আপনার মাথা হ্যাং করে দেওয়ার মতন সব মিউজিক। আর এই সিনের মিউজিকটা ছিল জাস্ট অসাধারণ। ইতি পৃথীবি ছেড়ে যাবার আগে তার জন্য একটা চিঠি রেখে গেছে, যা ছিল- ডাক্তার বলেছিল আমি আর মাস খানেক বাঁচবো। কিন্তু আমি যদি আর একটা দিন বাচি, লতার সাথে আমার সুমনের বিয়ে দেখতে হবে, এ ভাংয়া সরিলে সেই ভার আমি সইবো কেমন করে। যেতেই যখন হবে, তখন সুমন অন্য কারো হবার আগেই চলে যাই। আমি সুমনকে ভালোবাসি। প্রচণ্ড, যাবার আগে এটাই আমার শান্তি যে, সুমন আমাকে ভুলে খুশি মনে লতাকে বিয়ে করছে। প্রিয় আমার, ভালো থেকো!

বেশ কিছু বছর পর। ব্যাকগ্রাউন্ডে ঈশ্বর গান আর অন্য এক সুমনের দেখা। সে তার প্রিয়তমার কবরের পাশে এসে বসে। আর মুভিটি এখানেই শেষ হয়ে যায়।
....

এখানে আপনার আউন্ট্র দিবেন

THE END

আমরা যেভাবে ভিডিও তৈরি করেছি


إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.