Notification texts go here Contact Us Join Now!

Infinity Season 01 Full Web Series Explained Script in Bengali - Entertain Times

Infinity Season 01 Bengali Full Web Series Explain Script - Entertain Times
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

এন্টারটেইন টাইমস প্রতিবেদক: Infinity Season 01 Full Web Series Explained Script in Bengali - Entertain Times

Infinity Season 01 Bengali Full Web Series Explain Script - Entertain Times


বিঃদ্রঃ স্ক্রিপ্ট লেখায় কিছু ভুল থাকতে পারে যেগুলো আপনারা ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং কিছুটা নিজে সাজিয়ে কমিয়ে, বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ! এটা তো আপনি একা ব্যবহার করছেন না, আপনার মতন আরো কিছু লোক এখান থেকে স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে।

এক সাইন্টিস্ট এর অপরাধীকে খুজতে গিয়ে বের হয়ে আসে খুবি আশ্চর্য ও রহস্য জনক ঘটনা। যা আপনি ভাবতেও পারবেন না।

হ্যালো সিনে লাভার্স! আজকে আপনাদের মাঝে ২০২০ সালে Binge মুক্রি পাওয়া এমন এক একশন ক্রাইম থ্রিলার সিরিজ এক্সপ্লেন করতে যাচ্ছি। যেটা দেখে আপনার মনে হবে, এ যেন শেষ হয়েও হলো না। আর খুবি অসাধারণ লেভেলের একটা গল্প নিয়ে আজকের ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এরপরে আপনার ইন্ট্র দিবেন

সিরিজের শুরুতেই আমাদেরকে ৩ মাস আগের একটা ঘটনা দেখানো হয়। এ হচ্ছে এজেন্ট মুরাদ আর এ হচ্ছে তার স্ত্রি। এখানে তারা কিছু মুহূর্ত সময় কাটাচ্ছিল আর তখন মুরাদ জানতে পারে তার স্ত্রি গর্ভবতী। তখনি মুরাদের কাছে ফোন আসলে সে কথা বলার জন্য একটু সাইড নেয়। তখন তার স্ত্রী আইস্ক্রিম আনতে জায়। এরপরে সে যখন রাস্তা পার হতে যায় ঠিক তখনি একটা ট্রাক এসে মেরে দেয়। মুরাদ সেই কষ্টে সেখানেই গলা ছেড়ে চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। ঘুম বেঙ্গে যায় মুরাদের।

সিন বর্তমানে। হঠাৎ তার স্ত্রীর এক্সিডেন্টে তার জীবন অগসালো হয়ে যায় আর সে তার কাজ অনিশ্চিত ভাবে ছেড়ে দিয়ে এই ঘরেই পরে থাকে। তাকে তার মামা দুপুর ১২টার আগে ফোন দিয়ে ডেকেছে। এর জন্যই সে এখন রেডি হয়ে বেড়িয়ে পরে।

এ হচ্ছে মুরাদের মামা। প্রফেসর বারী। দেশ সেরা নিউরো সাইন্টিস্টদের একজন। কিন্তু থাকেন কিছুটা আইসোলেশনে। তো এখানে সে কি কি অ্যাওয়ার্ড কোথা থেকে পেয়েছে তাই আমাদেরকে বলছে। রাত দিন কাটে তার নিজেস্ব ল্যাবে গবেষণায়। গত আট, দশ বছর তার গবেষণার বিষয় হলো- মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা অনেক গুন বাড়িয়ে একজন সাধারণ মানুষকে সুপার পাওয়ারে পরিণত করার একটা ঔষুধ আবিষ্কার করার কাজ করছে। বারী চায়না এই পিলটা যেন কোনো খারাপ লোকের হাতে পরে।

মুরাদ তার মামার ল্যাবে চলে আসে আর সে মুরাদ কে জানায়, তাকে নিয়ে সে একটা এক্সপেরিমেন্ট করবে। সে মুরাদ কে একটা পিল দে যেটার নাম হচ্ছে CRL7 আর মূলত এই গল্পটা জুড়ে এই পিলের অনেক ভূমিকা আছে। বলতে গেলে সিরিজের মেইন বিষয় হলো এই পিলটি। বারী জানায়, তাকে কিছু সিরিয়াস কথা বলবে সে যেন মন দিয়ে তা শুনে। ১২ টা বাজতে এখনো কিছু সময় আছে। তবে তার জীবনে কতটুকু সময় আছে সে নিজেও বলতে পারছেনা। অন্য সব কিছুর গতি আলাদা-আলাদা। কোনোটা ফাস্ট তো কোনোটা স্লো। এই সময় জারা অতিক্রম করে সামনে চলে যায়, তারা জীবনে সফল হয়। সময় হচ্ছে সব কিছুর মাপ কাঠি। সে জানায় এখন সে কথা গুলো না বুঝলেও পরে ঠিকই বুঝতে পারবে। তার বিশ্বাস ছিল মুরাদের দ্বারা কারো ক্ষতি হবে না। এজন্যই এই এক্সপেরিমেন্ট তার উপর করা। এরপরে সে জানায়, যদি তার সময় কখনো ঘনিয়ে আয়, তার ল্যাবে কিছু রক্ষিত ফাইল আছে। সেই ফাইল গুলো জেন সে খুবি সাবধানে এখান থেকে নিয়ে যায় এবং তার কাছে যে ফাইল গুলো আছে, এটা যেন কেউ জানতে না পারে। মুরাদ জিজ্ঞেস করে, কি ফাইল আর সেই গুলো কোথায় আছে। মামা জানায়- ঝড়ে নৌকা ভেঙ্গে গেলেও তার ভাঙ্গা তকতাটা ধরেও বেচে থাকতে হয়, শুধু তাকে থাকতে হবে সময়ের আগে। তো এরপরে ১২ টা বাজায় তখনি সে তাকে পিলটা খেতে বলে। যখন সে পিলটা খায় তখন সে তার ভিতর একটা ব্যাপক পরিমানে পরিবর্তন লক্ষ করে। তার মস্তিষ্কের নিউরো সেল গুলা পুরা একটিভ হয়ে যায়। তার সব অতীতের ঘটনা, বর্তমান চোখের সামনে কি হচ্ছে না হচ্ছে, আসে পাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে সব কিছু দেখতে পারে, সব কিছু মনে পরে যায়। এমনকি তার সামনে উড়তে থাকা একটা মাছি প্রতি সেকেন্ডে কত বার তার পাকনা লারছে সেটাও সে দেখতে পারে। এবং সে সেই মাছিটা এভাবে ধরে ফেলে। মামা বলে- তুই সব দেখতে পাড়ছিস, সব বুঝতে পারছিস! ওয়াও, তাহলে তো আমি সফল। তুই এখন বাড়ি চলে যা, আগামীকাল ঠিক ১২ টায় এসে আমাকে রিপোর্ট করবি তুই গত ২৪ ঘন্টায় কেমন ফিল করছিস বা কি কি করেছিস।

মুরাদ ল্যাব থেকে বের হয়ে একটা মানুষকে দেখে তার মনে হয়, এখন কিছু একটা হবে। তখনি লোকটা তার পাশের একটা করিয়ান মেয়ের হাত থেকে পার্সটা নিয়ে দৌড় দেয়। মুরাদ যেহেতু সামনে পিছনে কি ঘটবে তা বুঝতে পারে, তাই সে তার মাথা কাজে লাগিয়ে লোকটাকে ধরে ফেলে। আর সেই পার্স এনে সেই মেয়েকে দিয়ে দেয়। মেয়েটি তাকে করিয়ান ভাষায় ধন্যবাদ জানালে সেও তাকে কোরিয়ান ভাষাতেই রিপ্লাই করে। অবাক ব্যাপার, মেয়েটি তাকে জিজ্ঞেস করে, সে কিভাবে এই ভাষা জানে। সে জানায়, সেও করিয়ান জানে। অবশ্য সে এই ভাষায় রিল্পাই করে নিযেও অবাক হয়ে যায়। তো এরপরে সে ওখান থেকে ফিরে আসার সময় মনে করে ২০০৯ শালে একটা টিভি প্রোগ্রামে কোরিয়ান ভাষা সেখানো হচ্ছিল আর সেখানে কি কি সেখানো হচ্ছিল তার প্রতিটি লাইন মনে আছে। এরপরে সে দেখতে পায়, একটা মেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা সিএনজি কে থামানোর ইশারা করছে আর সিএনজিটা ব্রেক করে রাস্তার মাঝে থামিয়েছে। সিএনজির পেছনে আসা ট্রাক এসে সিএনজির আগে থামাতে পারবে কি না শুধু এক নজর দেখেই সে তা ক্যালকুলেট করে ফেলে আর সেই হিসাব মতে দাঁড়ায় এখন একটা এক্সিডেন্ট করবে আর সেটাই হয়। তো এটা ভেবেই সে অবাক হয়ে যায় যে, সে সময়ের আগে যেয়ে সব বুঝতে পারে। আর সেটা ভেবেই খুশি মনে বাসার দিকে চলতে থাকে।

সিন বসায়। মুরাদ তাদের বাসায় কলিংবেল বাজালে তার ছোট বোন নিম্মি এসে দরজা খুলে দেয়। সে নিম্মিকে দেখেই বলে দেয় যে, গত দুই দিন তুই ঘুমাচ্ছিস না, আজকেও ভার্সিটিতে যাসনি। সামনে একটা অ্যাসাইনমেন্ট, মাথায় প্রচুর চাপ। এদিকে তোর ব্রেকআপ হইছে, দুই দিন কথা বলিস না। তুই চুরান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছিস, ওর সাথে আর থাকবি না, কিন্তু খুবি চিন্তিত কারণ আগামীকাল তোর অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া লাগবে। তখন সে চলে যেতে ধরলে সে নিম্মির গালে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করে ওই ছেলে তাকে চড় দিছে কেনো? মানে সে এখন মানুশের চিন্তাভাবনাকেও বুঝতে পাড়ছে। মুরাদ আর বাসায় না ঢুকে তখনি নিম্মির বয়ফ্রেন্ডের বাসায় চলে আসে। আর দরজা খুলতেই একঘুসি মেরে ফেলে দেয়। তাকে ইচ্ছা মতন শাসিয়ে ওখান থেকে চলে আসে।

সে বাসায় এসে নিম্মির রুমে এসে দেখে সে তার অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে অনেক ব্যাস্ত, প্রচুর প্যারায় আছে। তখন মুরাদ নিম্মিকে বলে- যদি সে তাকে তার স্পেশাল নুডুস এনে তাকে খাওয়ায়, তাহলে সে তাকে একটা উপায় বলে দিবে। নিম্মি না চাইতেও তার জোড়া-জুড়িতে বেশ বিরক্তিকর শাস ছেড়ে নুডুস আনতে চলে যায়। আর এই সুযোগে মুরাদ নিম্মির অ্যাসাইনমেন্ট কয়েকমিনিটের বেগে খুব ধ্রুত করে দেয়। নিম্মি নুডুস এনে মুরাদকে জিজ্ঞেস করে, সে কিভাবে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সম্পর্কে জানলো?। মুরাদ তাকে পিলের কথা না বলে- জানায়, তোর চোখের নিচে কালি, তারমানে তুই দুইদিন ঘুমাসনি! মুখে মেকআপ নাই, তারমানে ক্যম্পাসে জাসনি। এক গাল লাল আর এক গালে কিছু নাই, তারমানে নিশ্চয় কেউ তাকে মেরেছে! এই দেখেই সে বুজতে পারছে- আরকি! কিন্তু এরপরেও নিম্মি তার কথা বিশ্বাস না করে সত্ত কথা বলতে অনেক জোড়া-জুড়ি করে। তবে সে পিলের ব্যাপারে কিছুই বলে না। এরপরে যখন নিম্মি তার ল্যাপটপের দিকে তাকায় তখন তো সে পুরাই অবাক। কারণ তার অ্যাসাইনমেন্ট কমপ্লিট করা। নিম্মি জিজ্ঞেস করে সে এইসব কিভাবে করলো! মুরাদ বলে- সে তার বয়ফ্রন্ডের বাসায় গেছিলো তখন তার থেকে নিয়ে আসছে। নিম্মি বলে- ও তো ইংলিশের স্টুডেন্ট, ও কিভাবে এসব জানবে! কি সব কথা কস। মুরাদ তখনো নিম্মিকে কিছু বলে না।

এরপরে তার মনে হয়, পূরানো কেস গুলো নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখি নতুন কিছু আইডিয়া মাথায় আসে কি না। অনেক দিন ধরেইতো ধরা হয় না। একটা কেস নিয়ে সে ঘাটাঘাটি করে, সেই কেস ছলভ করে ফেলে। সে ভাবে তার মাথাতো বালোই কাজ করছে। এরপরে তার রুমে এসে কয়েক মাস ধরে অগসালো রুমটাকে গুছিয়ে শুয়ে পরে আর এখানেই তার আজকের দিনের ইন্ডিং হয়।

পরেরদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় উঠে সে ভাবে, যেহেতু তার মামাকে ১২ টায় গিয়ে রিপোর্ট করতে হবে! তাই গত ২৪ ঘন্টায় সে কি কি করছে তা মনে আছে কি না সেটাই একটু ভেবে দেখে। তো সে দেখে গতকাল সে যা যা করেছে যা যা বলছে প্রতিটি কথা তার স্পষ্ট ভাবে মনে আছে। তারমানে তার মেমরি পাওয়ার অনেকগুন বেড়ে গেছে। ১১ টা বেজে ৪৭ মিনিটে যখন তার মামার ল্যাবে যায় তখন একটা লোকের সাথে তার ধাক্কা লাগে। তো এই লোকটার কথা মনে রাখবেন সামনে কাজে লাগবে। তো সে তার মামার ল্যাবে এসে দেখে সব এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। আর তার মামাকে কেউ মেরে দিয়ে চলে গেছে। তখন মুরাদ ভাবে- তাকে তার মামা একটা গোপন ফাইলের কথা বলছিল। তো সে, সেই কথা ভেবে একটা কথা ধরে ফেলে, যেটা ছিল- সময় সব ঠিক করে দিবে, শুধু তাকে সময়ের একটু আগে থাকতে হবে। তো সে এই কথা ভেবে তার মামার ঘড়ি চেক করে আর সেখানে একটা পিল পায়। সে ভাবে এই কেসটা সলভ করার জন্য এই সময় তার এই পিলটা খাওয়া খুবি জরুলি, তাই সে ওটা খেয়ে নেয়। এরপরে সে পুলিশের গাড়ির শব্দ পায়, যার মানে পুলিশ অলরেডি জেনে গেছে। তাদের এখানে আসতে ৫ মিনিট সময় লাগবে আর তাকে সেই ৫ মিনিটের ভিতর যা করার করতে হবে। তো এরপরে সে তার মামার আর একটা কথা নোট করা, যেটা ছিল- ঝড়ে নৌকা ভেঙ্গে গেলেও তার ভাঙ্গা তকতাটা ধরেও বেচে থাকতে হয়। সে ভাবে ঝড়তো শুরু হইলোই এখন নৌকা। তখনি সে একটা নৌকার পেন্টিং লক্ষ করে তার পিছনে অনেক গুলো সে CRL7 পায়। তখনি সেখানে পুলিশ চলে আসলে। সেখানে থাকা কিছু রাসায়নিক কেমিকেল এক সাথে করে ধোয়া ছড়িয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

বাসায় এসে সে ভাবে তার মামার মৃত্যুর কারণ হয়তো CRL7, কেউ চাইছিল না হয়তো তার মামা এটা বানাক, নাকি তার আবিষ্কার চুড়ি করার জন্য! তো এরপরে সে বুঝতে পারে, তার মামা হয়তো পুলিশের অবজারভেশনে ছিল, যার ফলে সাথে সাথেই তার মামার খবর পুলিশ পেয়ে যায়।

এরপরের সিনে এই ক্যারেক্টার বের হয়। সে রোল খেতে গেলে কেউ একজন এসে রোলে আগুন লাগিয়ে দেয়। তখনি আমরা দেখতে পাই লোকটা আর কেউ নয় মুরাদ। আর এই লোকটা হচ্ছে তাদের এজেন্ট অফিসের বস। মানে পুলিশের বড় একজন। যেহেতু এখানে তার কোনো নাম বলা হয়নি, তাই তাকে অফিসার বলেই সম্মোধন করছি। তো এখানে মুরাদ তার মামার খুনের রহস্য উন্মোচনের জন্য সে অফিসারের কাছে আসছে। তো এখানে এসে মুরাদ জানতে পারে, তার মামাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছিল, তার কারণ হচ্ছে, সে একটা সিক্রেট পিলের ব্যাপারে সরকারের কাছে আবেদন করছিল, যেটা এপ্রুভ হয়নি। আর সে যে একটা সিক্রেট পিল নিয়ে কাজ করছে তা এরা সবাই জানতো। তো সে জানায়- সেই পিল এখনো আবিষ্কার হয়েছে কি না, সেটা তারা জানেনা। এটাই সে জানতে চাইছিল মুরাদের থেকে। তবে মুরাদ জানায়- যেহেতু তার মামার সাথে পার্সোনাল সম্পর্ক আছে, তাই সে যখন তখন তার মামার সাথে দেখা করতে ওই ল্যাবে যাওয়া আসে করতেই পারে, তাই বলে তাকে এই পিলের ব্যপারে জানে কি না এটা নিয়ে সন্দেহ করা ঠিক হবে না। তো এরপরে অফিসার মুরাদের হাতে একটা পিস্তল ধরিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে এটা তাদের কাছে কেন, সে জানায় তারা দেশের সুরক্ষার জন্য কাজ করে তাই। অফিসার তার এই কথা দ্বারা এটাই বুঝালো যে, তার মামার আবিষ্কার পিলটাও একই রকম। ওটা কোনো খারাপ লোকের হাতে পরলে ব্যাপারটা খারাপ হবে। তখন মুরাদ জানায়- তারা বারীর খুনিকে অবশ্যুই বের করবে। তখন অফিসার তাকে আগামীকাল ফিটনেস টের্নিং জমা দিয়ে রি-জইন করতে বলে।

সিন আসে মুরাদের বাসায়। সে এখানে বসে ভাবছিল তার মামাকে, কে বা কারা মারতে পারে। তবে সে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলনা আর তাই তার এবার একমাত্র ভরসা CRL7 যার জন্য এতকিছু।

মুরাদ পরের দিন তার ফিটনেস নিয়ে লেগে পরে। বাইক টা অনেক দিন ধরে পরে থাকায় সেটাকে পরিষ্কার করে ফ্রেস হয়ে অফিসে চলে আসে। এ হচ্ছে মুকিত বা বলতে পারেন কিচমিচ ম্যান। যেহেতু তার সাথে মুরাদের গত ২ মাস ২৮ দিন দেখা হয়নি তাই তার কাছে মুরাদ ২৮৮টি কিচকিচ পায়। এটাই তাকে দিচ্ছিল। মানে সে নিজেও কিচকিচ খাবে আর অন্যকেও তার হিসাব মতন খাওয়াবে। এ হচ্ছে সামিয়া, তার সাথে মুরাদের ট্রেনিং দিতে গিয়ে পরিচয়। তো এরপরে তাদের অফিসার তার রুমে ডাকে তাই তারা সেখানে যায়। অফিসার সামিয়াকে মুরাদকে নিয়ে ফিজিকেল ট্রেনিং সেন্টারে নিয়ে যেতে বলে আর তার আপডেট তাকে জানাতে বলে।

তো মুরাদ এখানে এসে ফিজিক্যাল চেক আপ ও যা যা চেক আপ আছে সব করে। যখন তার রিপোর্ট জমা দেয়। তার বস দেখে বেশ অবাক হয়ে যায়। কারণ সেখানের রিপোর্ট আগের থেকেও ভালো এসেছে। তাই তাকে অফিসে জইন হতে বলে। তখনি সামিয়ার কাছে একটা ফোন আসে আর সেখান থেকে জানতে পারে বিখ্যাত ব্যবসায়ী জামান আকরাম খুন হয়েছে। তখনি তারা সেই কেছের তদন্ত করতে বেরিয়ে পরে।

সেখানে এসে দেখে পুলিশ অলরেডি সেখানে তদন্ত করছে আর তাদেরকে দেখে পুলিশ অফিসারও বেশ বিরক্ত হয়। সে বলে- তারা এখানে কেন আসতে গেলো। তারা তো এখানে আছেই আর তাছাড়া তদন্ত শেষ করে সেই রিপোর্ট তাদের কাছেই পাঠিয়ে দিতো। তো মুরাদ তদন্ত করার জন্য তার থেকে একমিনিট সময় চায়। পুলিশ বলে- আমরা এক ঘন্টা ধরে খুজে কিছু পেলাম না আর আপনি একমিনিটে কি বা পাবেন, ঠিক আছে করুন। মুরাদ খেয়াল করে দেখে, লাশের এক হাতে রক্তের ছাপ, এক হাত ক্লিন আর সরিল ভেজা। তারমানে লোকটি এমন জায়গা থেকে এসেছে, যেখানে বৃষ্টি হয়েছে। সে অনলাইনে ওয়েদার দেখে বুজতে পারে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। এবার মুরাদ জানায়- তার তদন্ত করা হয়ে গেছে এবার তারা তাদের কাজ করতে পারে। তখনি মুরাদ জিজ্ঞেস করে ব্রিফ কেস কোথায়? পুলিশ বলে- কিসের ব্রিফ কেস। তখন মুরাদ তাদেরকে জানায় সে কিভাবে তদন্ত করছে আর সেই তদন্ত অনুযায়ী এখানে একটা ব্রিফ কেস থাকার কথা। তখনি মুরাদ দূরে দারিয়ে থাকা একটা লোকের হাতে ব্রিফ কেস দেখতে পায়। তখনি মুরাদের চোখে তার চোখ পরতেই সেখান থেকে পালিয়ে যেতে ধরে। তবে তার আগে মুরাদ তাকে ধরে ফেলে আর তার হাত থেকে ব্রিফ কেস পরে খুলে যায়। মুরাদ ব্রিফ কেসের মধ্যে তার মামার তৈরি CRL7 এর একটা ফর্মুলার কাগজ দেখতে পায়। যেটা সে দেখার সাথে সাথেই নিজের কাছে লুকিয়ে ফেলে। এরপরে সে ভাবতে থাকে এই CRL7 এর সাথে কি যোগসূত্র থাকতে পারে এই লোকের সাথে।

এই ঘটনার পরেরদিনই তারা একটা খবরে দেখতে পায় পুরাণ ঢাকার লাল বাগে অবস্থিত একটা ঔষধ কম্পানিতে আগুন লাগছে। সাধারণ একটা আগুন লাগার ঘটনা মনে হলেও অফিসার সে জানায় যদি তারা এখানে তদন্ত করে তাহলে এর মধ্যে গভীর কিছু পেতে পারে। মুরাদ তার কথায় এক মত, কারণ একদিন পরপর দুই জন ব্যক্তির খুন এরপরে বড় একটা কম্পানিতে আগুন লাগার কোনো একটা যোগসূত্র থাকতে পারে বলে সে মনে করে।

এরপরে তারা সেই জায়গা চলে আসে আর তাদের কাজে লেগে পরে। তো মুরাদ এখান থেকে কয়েকটা জিনিস লক্ষ করে। সেখানে সে CRL7 এর একটা ফর্মুলার কাগজ দেখতে পায়, যেটা তার কাছে সন্দেহ জনক মনে হয় এবং ওইখানে কোনো একজন ব্যক্তির পায়ের ছাপ লক্ষ করে, যে পায়ের ছাপ দুই রকম। তাই সে মনেকরে একটা হয়তো অরিজিনাল পা আর একটা হয়তো নকল পা।

সে ওই জায়গা থেকে আনা কিছু ফটো দেখছিল যে গুলা থেকে কিছু পাওয়া যায় কি না এটাই চেক করছিল। তখন সে পরিকল্পনা করে, বাংলাদেশে যত আর্টিফিশিয়াল পা তৈরি বা স্থাপন করার হাসপাতাল রয়েছে সেখানে গিয়ে যদি গত কয়েক মাসে প্রতিস্থাপিত হওয়া পায়ের মালিক দের সন্ধান করা যায় এবং একটা সর্টলিস তৈরি করা যায় তাহলে হয়তো কোনো মিল পাওয়া যেতে পারে। তো সে বিগত ছয়মাসের রিপোর্ট ঘেটে ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে মাত্র ছয়জন লোককে পায়। যার মধ্যে একজন ছিল রসায়ন বিদ। মুরাদ মনেকরে এই রসায়ন বিদ এবং ঔষধ কম্পানিতে আগুন লেগে যাওয়ার সাথে কোনো সম্পর্ক হয়তো থাকতে পারে। এরপরে তারা ঔ রসায়ন বিদকে খোজ করে বের করে ফেলে। তারপরে তাকে জিজ্ঞাস করলে সে জানায় সে কিছু জানেনা। এরপরে অফিসার জানায় তাহলে তারা ভুল লোককে ধরে এনেছে তাই তাকে যেতে বলে। অবশ্য সে যাওয়ার আগে তার ঘারের উপর একটা জিপিএস ট্রাকার লাগিয়ে দেয় মুরাদ। যাতা তারা বুজতে পারে লোকটা কোথায় কোথায় যায়।

এরপরে তারা লোকটাকে ফলো করতে করতে একটা বাড়ির সামনে চলে আসে যেটা সব সময় বন্ধ থাকে। মুরাদ প্রথমে মুকিদ কে পাঠায় আর সে পানির কথা বলে গার্ডকে ভিতরে পাঠিয়ে দেয় আর সেই সুযোগে মুরাদ তার টিম নিয়ে ভিতরে ঢুকে এক একটাকে ডিজে বাজিয়ে ভিতরে চলে আসে। এরপরে তারা রুমে গিয়ে দেখতে পায় অনেক গুলা লাশ। এরপরে লোকটাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, সে কিছু জানেনা। তখনি মোকিত বলে স্যার মাথায় গুলি করেন মাথায় গুলি করেন। তো সেই ভয়ে সে বলে দেয় ডক্টর এক্স এর কথা। এছাড়া সে কিছু দেখে নায়। শুধু তাকে মেইল পঠাতো আর ভয়েস পাঠাতো।

তো এরপরে তারা আবার খোজা খুজি করলে লক্ষ করে ওই রুমে শুধু লাশই নয়। মানুষের কিডনি ও চোখ অপারেশন করার বিভিন্ন জিনিষ রয়েছে। তো এরা লাশ গুলো দেখে বুজতে পারে। প্রথমে এরা কোথাও মরেছে, তারপরে লাশ হয়ে এখানে এসেছে। আসার পরে তাদের চোখ কিডনি এই ধরনের অর্গান গুলো পাচার করা হইছে। তারা আরো লক্ষ করে দেখে ওইখানে মাত্র একটা করে কিডনি রাখা। তখন মুরাদ সামিয়াকে জানায়- এর মানে হচ্ছে একটা করে কিডনি এনে বাকিদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন তাদের ডক্টর এক্স কে খুজে বের করতে হবে।

কিন্তু তার আগে তারা খুজে বের করে যাদের একটা কিডনি নাই। তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলি রাস্তা, বস্তি ও রেলস্টেশনে খুজে তারা অনেক গুলো বাচ্চা দেখতে পায়। যাদের পেট কাটা দেখে বুঝতে পারে এদের অপারেশন করা হয়েছে। ওখান থেকে একটা বাচ্চাকে নিয়ে তারা একটা সূত্র খুজে পায়। বাচ্চাটা তাদের একটা হাসপাতালে নিয়ে আসে। যেখান থেকে তাদের অপারেশন করা হয়েছে। তো সেখানে এসে একটা ডক্টর কে দেখতে পায়। তাকে জিজ্ঞেস করে ইনকাম সোর্স কে?। তখন সে কিছু না বলতে চাইলে তাকে একটা লাগিয়ে দেয়। এরপরে ডক্টর বলে এটা তো একটা বাহিরের সংস্থা। বাহির থেকে ফান্ড আসে আর আমরা গরিব বাচ্চাদেরকে ফ্রিতে চিকিৎসা দেই- আমি এই সবের কিছুই জানিনা। তখনে বাচ্চার থেকে জানতে পারে তার পেট কাটছে একটা চাইনিজ ডক্টর। তো ডক্টর সেই চাইনা ম্যানের সম্পর্কে কিছু বলতে না চাইলে! তাকে হালকা করে উত্তম-মাধ্যম দেওয়ার পরে বলে যে, সে উপরে। আরে বোকা খোকা! এটা আগে বললে কি আর এই ক্যালানিটা খেতে হতো! এরপরে মুরাদ উপরে এসে চাইনিজ কে ধরলে সেও কিছু না বলতে চাইলে তাকেও একটু সান্তনা পুরষ্কার দেওয়া হয়। এরপরে সে জানায়, ডক্টর এক্স হচ্ছে ডক্টর আব্দুল কাদের।

তো এই কথা তাদের বস জানার পরে সবাই চিন্তায় পরে যায়। কারণ! ডক্টর আব্দুল কাদেরও প্রফেসর বারীর মতন অনেক বড় বিখ্যাত। সারাদেশে তার অনেক সুনাম রয়েছে। এছাড়াও সরকারি বেসরকারি সবাই তাকে সম্মান করে। তাকে তো আর হুট করে ধরা যায় না। তাই তারা প্লান করে, আগামীকাল যখন সে সম্মেলনে জইন করতে রাস্তা দিয়ে যাবে। ওই সময় তাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে আসবে। তো তাদের প্লান অনুযায়ী তারা কাদেরকে তুলে নিয়ে আসে তারপরে তাকে জিজ্ঞেস করে। কিন্তু জায়েদ খানের মতন এরও চুলকানি ওইঠা যায়। এই তোমরা আমাকে জানো! আমি কে? কি করতে পারি!

তখন অফিসার বলে- আপনি যে এতো বড় স্মাগলার, প্রফেসর বারীর খুনি সব কিছু আমরা জানি। তাই আমাদের কাছে সব কিছু খুলে বলুন নয়তো খারাপ হবে। সামিয়া জানায়- স্যার অসুবিধা হবে না। আমরা যে তাকে তুলে নিয়ে আসছি তাতো কেউ জানেনা। তাই আমরা তাকে মেরে কোথাও ফেলে আসি চলেন। তো এবার এই কথা শুনে সে ভয় পেয়ে যায় আর জানায় যে, সে বারীর খুনের ব্যাপারে কিছু জানেনা। এসব কিছুর পেছনে রয়েছে ডার্ক ওয়েব। তখন মুরাদ তাকে চাপ দেওয়ায়, সে একটা ডার্ক ওয়েবের আইপি অ্যাড্রেস দেয়।

এরপরে আমরা মুরাদকে কম্পিউটারের সামনে দেখি। মানে সে ওই অ্যাড্রেস দিয়ে খোজার চেষ্টা করছে কিন্তু দেখা যায় ওটাতে প্রবেশ করতে হলে তাকে হ্যাক করে ঢুকতে হবে। তো সে যেহেতু হ্যাকিং সম্পর্কে কিছুই জানতো না। তাই সে অনলাইন থেকে একটা বই নামিয়ে সেটাকে পড়ে তামাতামা করে ফেলে। এরপরে সে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করে। তো সে ডার্ক ওয়েবের ওই অ্যাড্রেসে ঢুকে তার মাথাই নষ্ট হয়ে যায়। কারণ! সেখানে দেখে এক একটা লাইভ গেম চলছে তাও আবার মারামারি, কাটাকাটি এই ধরণের সব লাইভ। এখানে মারামারি, কাটাকাটি বলতে কথাটা সহজ ভাবে নিবেন না। এটাকে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ব্লু-হোয়েল গেমটার মতন ধরতে পারেন। আর যদি আপনাদেরকে ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে বলি- তাহলে সহজ কথায় এখানে যত খারাপ ধরনের কাজ আছে সব এখানে সহজ ভাবেই করা যায়। এর আবার লেভেলও আছে। তো এখানে যে লাইভ গেম চলছে সেটা অনেক মানুষ দেখছে আর সেখানে অনেকে জইনও হচ্ছে। আর কিছুক্ষণ আগে যে বাসায় রেড দিয়ে কিছু লাশ পাইলো! সে বুঝতে পারে সেইগুলা এই গেম খেলেই গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই কাজ গুলো কারা করছে এটা খুজে বের করতে পারলেই আসল অপরাধী কে পাওয়া যাবে। তো এটাই ভাবছিল এজেন্ট মুরাদ। বেশ কয়েকঘন্টা ভেবে সে নিজেও ডার্ক ওয়েবে একটা একাউন্ট খুলে। এবার কাদের এর দেওয়া ওই অ্যাড্রেস কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে চালানো হচ্ছে সেটা বের করার চেষ্টা করে। সে খুজে দেখতে পায়, যারা এটা চালাচ্ছিল তারা ভিপিএন ব্যাবহার করছিল

যার ফলে প্রতি সেকেন্ডে তাদের লোকেশন চেইঞ্জ হচ্ছিল। এরপরে মুরাদ অপেক্ষা করতে থাকে তারা কখন ভিপিএন বন্ধ করবে আর কখন বাংলাদেশের অ্যাড্রেস দেখাবে। অবশেষে তার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পেয়ে যায় বাংলাদেশের লোকেশন আর তখনি তার টিম নিয়ে বেরিয়ে পরে।

এরপরে তারা ওই রুমে প্রবেশ করার আগে একটু পিস্তল থেকে ডিল ছোড়া ছুড়ি হয়। তারপরে ভিতরে ঢুকে দেখে এক এক জায়গা লোক মরে পরে আছে। আর তার পাশেই একটা রুম পায়, যেখানে লাইভ গেম চলছিল। এখানে ৩টি ছেলে আর ১টা মেয়েকে তাদের হাতে শক্ত করে আঠা দিয়ে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে রেখেছে। একটা ভয়েস তাদের বলছে- তাদের শরীরের ভিতর আগে থেকেই একধরণের বিষ প্রয়োগ করা আছে। যদি তারা দশ মিনিটের ভিতর এখান থেকে ছুটতে না পারে, তাহলে তারা সবাই এখানেই শেষ হয়ে যাবে। তো এখান থেকে যেকোনো একজনকে ছুটতে হবে এবং যেকোনো দু'জনকে সামনে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে দিতে হবে। তাহলে যে দু'জন বেচে থাকবে তারা ওই ইনজেকশন দুটো পেয়ে যাবে। এরপরে তাদের ছোট একটা বুদ্ধির গেম খেলে এখান থেকে বের হতে হবে। তবে দশ মিনিটের মধ্যে ওখানে বিষক্রিয়া ঘটবে। যদি তারা এর ভিতর এখান থেকে বের না হতে পারে! তাহলে তারা ওখানেই শেষ হয়ে যাবে। তাই তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এখান থেকে বের হতে হবে। যত নৃশংসতা, তত ভিউ, তত টাকা। যেহেতু তাদের হাতের সাথে আঠা লাগানো ছিল তাই তাদের ওখান থেকে হাত ছুটাতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। তবে এই ছেলেটি যখন তার একটা হাত ছুটিয়ে নেয় তখন দেখা যায় তার হাতের চামড়া দেয়ালের সাথে চলে গেছে তারপরেও তার দ্বিতীয় হাতটাকে ছাড়িয়ে নেয় আর সাথে সাথে ওখান থেকে একটা ইনজেকশন নিজে নিয়ে নেয়। তখন ভয়েজ বলে- এবার তাকে যেকোনো দু'জনকে মেরে দিতে হবে আর বুদ্ধি খাটিয়ে ওখান থেকে পাসওয়ার্ড বের করে তা টাইপ করে বের হতে হবে আর সেই পাসওয়ার্ড এখানেই আছে। এরপরে যখন সে দু'জনকে মেরে দিবে তখনি ওখানে মুরাদের টিম এসে পরে। আর তাকে থামিয়ে বলে- সে জেন ওরকম কিছু না করে সে তাদের বের করে নিবে। তখন মুরাদের দেয়ালে থাকা একটা ছবির উপর চোখ পরতেই সে ওখানে থাকা কয়টা বাড়ি, কয়টা গারি, কত মানুষ আছে তা হিসেব করে কিছু সংখ্যা বের করে আর সেটা কোনো এক বিখ্যাত লোকের সাথে মিলাতে গেলে আলবার্ট আইনস্টাইন এর জন্ম তারিখ খুজে পায়। তো সে লোকটাকে ওখানে তার জন্ম তারিখ টাইপ করতে বলে। কিন্তু সে জানায় ওখানে কোন সংখ্যা দেওয়া যাবেনা অ্যালফাবেট চাইছে। তাই সে ওখানে তার নাম টাইপ করতে বলে আর তারা সফল হয়। কিন্তু ওখানে টাইপ করে শুধু দুইটা ইনজেকশন পায়। কিন্তু তারপরেও দু'জন বাকি থাকে। এদিকে সময় আছে মাত্র তিন মিনিট। তখনি মুরাদ দেয়ালে লক্ষ করলে একটা কবিতার লাইন দেখতে পায় যেটা ছিল কবি জসীমউদ্দিনের কবর কবিতা থেকে। তাই সে তাকে জসীমউদ্দিন টাইপ করতে বলে। কিন্তু সেখানে দেখা যায় কোনো আলফাবেট চাচ্ছে না ওখানে নাম্বার চাচ্ছে তখন সে তার ব্রেন্ট কাজে লাগিয়ে তার জন্ম তারিখ বের করে। আর সেটাই তাকে টাইপ করতে বলে আর তখনি তাদের গেট খুলে যায়। তখন একটা ভয়েস বলে তারা এরকম কয়জনকে বাচাবে, এখানে এদেরকে বাচালেও অনেক রুমে অনেক প্লেয়াররা খেলছে। কিন্তু মুরাদ তাদের বের করবেই বলে সেই বক্সের উপর টিগার চেপে দেয়।

সিন আসে অফিসে। সেখানে তাদের সাথে মুকিত না থাকায় সামিয়া জানায়- তার স্ত্রি অসুস্থ থাকার কারনে সে ছুটি নিছে। আর তখনি মুরাদকে ফোন করে জানানো হয় তার বোন নিম্মিকে কিডন্যাপ করা হইছে। তাই সে অফিসারের থেকে একঘণ্টার ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পরে।

তো তাকে বলা হয়েছিল- তার বোনকে কিডন্যাপ করা হইছে, বাড়াবাড়ি করলে একদম শেষ করে দিবে। যদি সে এখানেই থেমে যায় তাহলে তার বোনকে যেখান থেকে এনেছে সেখানে দিয়ে আসবে। মুরাদ ওই ভয়েসটা নিয়েই ভাবছিল, তখন সে খেয়াল করে পেছনে একটা লঞ্চের শব্দ হচ্ছিল এবং একটা গান বাচ্ছিল আর সেখানে মাজার থেকে আসা জিকিরের শব্দ পাচ্ছিল। তো তার ভাবনার মানে দারায় এমন একটা জায়গা যেখানে লঞ্চ থাকবে আসে পাশে ছোটো খাটো চায়ের দোকান থাকবে আর তার পাশে একটা মাজার থাকবে। তাই সে ওই লঞ্চ ঘাটের পাশে জেতেই খেয়াল করে ফোনে কথা বলার সময় যে গানটা বাচ্ছিল। সেই গানটা এখানেও একটা দোকানে বাজছে। তাই সে বুজতে পারে! এখানেই কোনো একটা জায়গায় লুকিয়ে আছে।

তখন সে তিনটা পয়েন্ট মিলিয়ে একটা জায়গা বের করে আর সেখানে গিয়ে সন্দেহ করে ছাদের উপর থাকা দুইটা লোককে মেরে দেয়। এরপরে বাসার ভিতরে এসে কিছু লোককে মেরে একটা রুমে এসে দেখে তার বোনের মাথায় পিস্তল ঠেকানো আছে। এরপরে মুরাদ তাকে কেলিয়ে নিম্মির হাতের বাঁধন খোলার সময় খেয়াল করে কেউ একজন তাদেরকে দেখছে। সে তখন তাকে ধরতে গেলে দেখে পুরাতন বিল্ডিংয়ের ভাংয়ার মধ্যে একজন লোক পরে আছে। মানে সে লুকাতে গিয়ে এখানে এসে পরে গেছে। তখন সে লোকটাকে ঘুরিয়ে দেখে অবাক হয়ে যায়, কারণ ওটা মুকিত ছিল। কি বুঝলেন! আর কারো থেকে কিচমিচ খাবেন! তাহলে কিন্তু সে আপনার পিছু নিবে। তো যাইহোক। আপনারা হয়তো ভাবছেন এর পিছনে শুধু মুকিতই রয়েছে, কিন্তু এটা ভুল ধারণা। খেলাতো এখনো শুরুই হয়নি, দেখতে থাকুন। তখন মুরাদ ভাবছিল মুকিত এরকমটা কেন করবে। সে তো একজন ভালো মানুষ। তখনি সামিয়া তাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে তার কি অবস্থা, সে ঠিক আছে কি না। মুরাদ হয়তো তার উপর বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে খারাপ শুনলে খুশি হবেন! না ভালো কিছু শুনলে খুশি হবেন। সামিয়া জানায় আশ্চর্য! খারাপ কিছু শুনলে খুশি হবে কেন! অবশ্যই ভালো কিছু শুনলে খুশি হবে। আপনি এমন করছেন কেন! আপনার হয়তো রেস্ট দরকার অনেক চাপ পরে গেছে মনে হয়। মুরাদ বলে- হ্যা তাইতো, আমাকে রেস্টে দিলেতো কেস থেকে সরানো জাচ্ছেনা তাইনা! সামিয়া এই কথা শুনে ফোন কেটে দেয়।

এরপরে সিন আসে মুকিতের বাসায়। মুরাদ তার ব্যাপারটা আরো গভির ভাবে দেখার জন্য এখানে এসেছে। সে মুকিতের মার থেকে জানতে পারে, তার স্ত্রি অনেক অসুস্থ, কিডনির সমস্যা। সে টাকার জন্য অনেক জায়গা ছোটাছুটি করছে কিন্তু পায়নি আর তাছাড়া অফিসেও অ্যাডভানস চেয়েছিল ওখান থেকেও দেয় নি। কিন্তু হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন সব কিছু ম্যানেজ করে বউকে নিয়ে হস্পিটালে ছোটাছুটি করছে অপারেশন করার জন্য। এই কথা শুনে মুরাদের আর বুজতে বাকি থাকেনা যে, সে এরকমটা তার সাথে কেনো করলো আর টাকাও বা আসলো কোত্থেকে।

সে ওখান থেকে সরাসরি চলে আসে কাদের এর কাছে। যদি সে এই ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারে। কিন্তু এখানে এসে দেখে এত করা সিকিউরিটির মধ্যেও তাকে কেউ মেরে চলে গেছে। তখনি সে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে গেলে দেখতে পায় সিসিটিভি ফুটেজ অন্যদিকে ঘুরানো। আবার সে এখানে এসে ভাবতে থাকে, যদি মুকিতই আসল অপরাধী হতো তাহলে একে তো সে মারতে পারতো না। কারণ সে তো আগেই ডেট হয়ে গেছে। তাই সে ভাবছে এর সাথে আর কে জড়িত থাকতে পারে। তাদের অফিসের কেউ না তো! তো সে এখানে এসে চেক করছিল খুনি কোনো প্রমান রেখে গেছে কি না। তখন সে সিসিটিভি ক্যামেরে যেদিকে ফিরানো, সেখানে একটা স্টিলের বাটি দেখতে পায়। তাই সে আর দেরি না করে দৌড়ে আবারো ক্যামেরা ফুটেজ চেক করতে যায়। এবার সে ওই স্টিলের বাটির উপর অনেক রকম ফিল্টার কাজে লাগিয়ে জুম করে সেই লোকটাকে বের করে। তবে লোকটি একটা হুডি জ্যাকেট পরা থাকায় তাকে দেখা যাচ্ছিল না।

কি! লোকটার কথা মনে রাখতে বলছিলাম না! যখন মুরাদ তার মামার ল্যাবে যাবার সময় ধাক্কা খেয়েছিল তখন! এবারতো বুঝলেন! কেসটা কোথা থেকে শুরু হইছে বা কোন লিংকে জড়িত।মুরাদও সেটাই ভাবছে, তার স্পষ্ট ভাবে মনে আছে সেই দিনের কথা। তখনি সে তার স্যারের রুমে আসলে দেখতে পায়! তার স্যারের চেয়ারের উপর ওই জ্যাকেটটা। তাই সে সন্দেহ করে তার স্যারই এই সবের পিছনে জড়িত। তাই সে জিজ্ঞেস করে সে কেনো এরকমটা করলো? কিন্তু তার কোনো উত্তর না আসায় মুরাদ তার চেয়ার ঘুরালে দেখতে পায়! লোকটি তাকেও মেরে দিসে। মুরাদ জেনো কেস সলভ করেও সলভ করতে পারলো না। সে ভাবছিল কেসটা হয়তো প্রায় ক্লোস করে নিয়ে আসছে! কিন্তু এই মুহূর্তে তার মনে হয়, এই কেস এখনো শেষ হয়নি। তাকে এখনি দৌড়াতে হবে ইনফিনিটির জন্য।

আমরা কাদেরের মারা যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার পর থেকে সামিয়াকে আর দেখতে পাইনি। তারমানে সামিয়াও কি এর সাথে জড়িত! আর তাছাড়া ওই হুডি পরা লোকটাও বা কে? এরকমি কিছু প্রশ্ন রেখে শেষ হয় ইনফিনিটির প্রথম সিজন।
এখানে আপনার আউন্ট্র দিবেন

THE END

আমরা যেভাবে ভিডিও তৈরি করেছি


Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.